১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ শাবান ১৪৪৬
`
রক্তরাঙা ফেব্রুয়ারি

খাজা নাজিমউদ্দিন ও আবুল কাসেমের চুক্তি

-

১৯৪৮ সালে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে ভাষা আন্দোলন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১১ মার্চ হরতাল পালিত হয় পূর্ব পাকিস্তানে। হরতালে পুলিশের নির্যাতন এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদে পরের তিন দিন ঢাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালন করা হয়। মিছিল মিটিংয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ নামকরা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাধাগ্রস্ত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় আসার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নির্দেশে পূর্বপাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন, প্রিন্সিপাল আবুল কাসেমকে ডেকে পাঠান ভাষার প্রশ্নে সংগ্রাম পরিষদের সাথে একটি মীমাংসায় পৌঁছার জন্য। প্রিন্সিপাল আবুল কাসেমের নেতৃত্বে দুই দিন ধরে খাজা নাজিমউদ্দিনের সাথে বর্ধমান হাউজে বৈঠক চলে সংগ্রাম পরিষদের।
বৈঠকে সংগ্রাম পরিষদের সাত দফা দাবি মেনে নেয় সরকার। এ বিষয়ে ১১ মার্চ সরকারের সাথে সংগ্রাম পরিষদের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সাত দফার মধ্যে ছিল গ্রেফতারকৃত সবার মুক্তি, ভাষা আন্দোলনে সমর্থনকারী ইত্তেহাদসহ সব পত্রিকার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, আইনসভার অধিবেশন ডেকে বাংলাকে অফিস-আদালতের ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া, দমন-পীড়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা প্রভৃতি।
১১ মার্চ চুক্তির পরও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন অব্যাহত থাকে এবং সরকার রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি মেনে নিয়ে ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষাসংক্রান্ত আরেকটি চুক্তি করে। চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন খাজা নাজিমউদ্দিন এবং সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম, সংগ্রাম পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম শামসুল আলম এবং কমরুদ্দিন আহমদ ও অন্যরা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে এক সমাবেশের মাধ্যমে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম রাষ্ট্রভাষা চুক্তির বিষয়ে ঘোষণা প্রদান করেন। সরকার বাংলার দাবি মেনে নেয়ায় ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলন স্তিমিত থাকে। কিন্তু পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন ১৯৫২ সালের ২৪ জানুয়ারি পল্টনে এক সমাবেশে চুক্তি লঙ্ঘন করে উর্দুকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে ভাষা আন্দোলন নতুন রূপ নেয় এবং চূড়ান্ত পর্যায় শুরু হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
হাসিনার কলরেকর্ড ট্রাইব্যুনালে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ ভারতীয় পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল তিস্তা অববাহিকা বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা অগ্রাধিকার পাবে : তারেক রহমান গাজায় ২৬৬ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের সৌদি থেকে আউট পাসে ফেরত আসছেন শত শত বাংলাদেশী জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে এ টি এম আজহারকে মুক্ত করে আনবে : ডা: শফিক তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা দিতে চায় চীন : রাষ্ট্রদূত ওয়েন পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কে চলতে হবে ভারতের উচিত হাসিনাকে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেয়ায় ‘নিষেধ’ করা সব চাপ উপেক্ষা করে জন-আকাক্সক্ষা পূরণের বার্তা নিয়ে ফিরলেন ডিসিরা

সকল