ব্যাংক ডাকাতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৯
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19691313_150.jpg)
- অর্থ পাচারে জড়িত ১২ গ্রুপ চিহ্নিত
- এস আলম গ্রুপের সব সম্পত্তি জব্দ
- বিদায়ী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ২২
- ৬ মাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি
- ‘সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার’ কাজ শুরু করেছে
ব্যাংক ডাকাতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন ব্যাংক ডাকাতরা দেশের জনগণের সম্পদ লুট করেছে। এই ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
গতকাল রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি : সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, এস আলম গ্রুপের সব সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানি ‘নগদ’-এর বিরুদ্ধেও কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত ১২টি গ্রুপকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ বৈঠক শেষে গতকাল বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল আলম বলেন অর্থনীতি নিয়ে নীতিনির্ধারকদের বৈঠকে গত ছয় মাসে দেশের অর্থনৈতিক অর্জন এবং আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন অর্থসচিব ড. মো: খায়রুজ্জামান। বৈঠকে জানানো হয়, পতিত সরকারের ফেলে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ইতিমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কমেছে মূল্যস্ফীতি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট (বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য) এবং মাথা পিছু আয় বেড়েছে। তবে গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত, অর্থাৎ বিদায়ী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
প্রেস সচিব বলেন, যারা ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদেরকে খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব আরো বলেন, ‘যারা ব্যাংকের টাকা লুট করেছেন তারা আসলে দেশের সাধারণ মানুষের টাকা লুটপাট করেছেন। তাই যেভাবে হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরি’। সভায় অধ্যাপক ইউনূস অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তবে তিনি বলেন, শুরুতে অর্থনীতি খুব বাজে অবস্থায় ছিল। সেই জায়গা থেকে এখন ভালো জায়গায় আসছি। তবে আরো ভালো জায়গায় নিতে হবে। এটা সরকারের চ্যালেঞ্জ’। বেক্সিমকোর যে জটিলতা রয়েছে, তার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অধ্যাপক ইউনূসকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘প্রবাসী আয়ে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অভিবাসন বাড়ছে। তবে তিনি বলেছেন এখনই এটা নিয়ে উৎসব করার কিছু নেই। এ খাতে এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া অধ্যাপক ইউনূস অভিবাসন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যেসব দেশে বর্তমানে বাংলাদেশী অভিবাসনগামীদের ভিসা বন্ধ রয়েছে, সেগুলো যেন দ্রুত চালু করা যায়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ব্যাংকের চুরি হওয়া টাকা উদ্ধারে ইতিমধ্যে এস আলম গ্রুপের সব সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নগদের বিরুদ্ধে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যাংক থেকে টাকা লুটপাট করেছেন, এমন ১২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরা কিভাবে টাকা নিয়েছেন সেগুলো বের করতে আমরা বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিচ্ছি। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের সব সংস্থা এ নিয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বৈঠকে আহসান এইচ মনসুর আরো বলেন পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ঘুরে গেছে। সুইজারল্যান্ডের একটি প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশে আসছে। এর বাইরে আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে কথা বলছি। এক্ষেত্রে সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে যে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৮ লাখ কোটি টাকা) অর্থ পাচার হয়েছে তা দেশে ফিরিয়ে আনা। এ টাকা কারা নিয়েছেন, কোথায় গেছে এগুলো চিহ্নিত করতে পারলে কাজ অনেক এগিয়ে যাবে। প্রথমে যে দেশে টাকা পাচার হয়েছে, সেখানে এই টাকা বা সম্পদ জব্দ করতে হবে। পরবর্তীতে তা দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা থাকবে’।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। বর্তমান যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। রির্জাভের অবস্থা সামনে আরো ভালো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, দ্রুত আইনশৃঙ্খলা উন্নতি হবে। সব বাহিনীর সমন্বয়ে ‘সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার’ রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কাজ শুরু করবে। কমান্ড সেন্টার সমন্বয় করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে সব বাহিনীর সদস্যরা থাকবে। তিনি বলেন পাঁচ মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে অর্থনীতির ১০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে আসবে। মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চলতি বছরে ৯ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বকেয়া পরিশোধে ভর্তুকির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানোর মাধ্যমে ভর্তুকি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে চলতি বছরে প্রায় ১১ হাজার ৪ শ’ ৪৪ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ১০ শতাংশ ব্যয় কমানো সম্ভব হবে। গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কূপ খনন করে দৈনিক ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫ শ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন মিটিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অটোনমি নিশ্চিত করতে বলেছেন।
প্রেস সচিব আরো বলেন বর্তমানে টাকা ছাপানো বন্ধ আছে। কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বন্ধ আছে। নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় অব্যাহত আছে। দেশের ১ কোটি পরিবার ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য পাচ্ছে। ১৩ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য মজুদ আছে। যে পরিমাণ মজুদ আছে আর আমদানি হচ্ছে তাতে পণ্যের দাম আরো কমে আসবে। তিনি বলেন দেশে কোরিয়ান ইপিজেড নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। জমি জটিলতার কারণে তারা বিনিয়োগ করছিল না। পতিত স্বৈরাচারেরা এই সমস্যা তৈরি করেছিল। এখন এই ভূমির সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। কোরিয়ান ইপিজেডকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের ভূমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন সেখানে আর বিনিয়োগে কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন এই ইপিজেডে কোরিয়ার অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে। আশা করছি সমস্যা সমাধানের ফলে সেখানে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়বে।
শফিকুল আলম জানান, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় দাড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩৮ মার্কিন ডলার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা আসছে। কিন্তু বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। পুলিশের তথ্য বলছে গত ৫ বছরের মধ্যে বর্তমানে খুন সবচেয়ে কম।
৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের নেতাদের পালিয়ে যেতে যারা সহায়তা করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না কেন? জবাবে প্রেস সচিব বলেন, যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে, তাদের বেশিরভাগই ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে গেছে। ওই সময়ে দেশে কোনো সরকার ছিল না। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। পুলিশকে কাজে ফেরাতে অনেক সময় লেগেছে। এরপর এই অপরাধে কারা জড়িত ছিল, তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে জুলাই শহীদ পরিবারের সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কয়েকটি শহীদ পরিবার। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তারা এ সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদফতর গঠন, আহত ও শহীদ পরিবারের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বীকৃতি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা এ বৈঠকে শহিদ পরিবারের প্রত্যাশার কথা শুনেছেন এবং সরকারের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, জুলাই অভ্যুত্থানে অন্যতম সংগঠক সারজিস আলমও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা কাল আরব আমিরাত যাচ্ছেন
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় ‘বিশ্ব সরকার সম্মেলন ২০২৫’-এ যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম গতকাল বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, প্রধান উপদেষ্টা বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন।’
পাবলিক ডিপ্লোমেসি উইংয়ের মহাপরিচালক আলম আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময়, প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে সৌজন্য বৈঠক করবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।’
আলম জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। এর জবাবে, প্রধান উপদেষ্টা তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন।
আলম বলেন, এই বছরের শীর্ষ সম্মেলন সরকার ও জনগণের মধ্যে সংযোগ জোরদার করার জন্য বৈশ্বিক সংলাপ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের মধ্যে কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে।
উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশী প্রবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেন, যারা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এ ছাড়াও বস্ত্র, কৃষি পণ্য ও জ্বালানির মতো খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা