পলাতক শেখ হাসিনা উসকানি দিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত করছেন
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ও সিদ্ধিরগঞ্জ সংবাদদাতা
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েও দেশের মধ্যে উসকানি দিয়ে দেশে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। মুক্তিপাগল মানুষ এসব সহ্য করবে না। এ দেশের হাজার হাজার মানুষ যারা খুন গুম হলো, রক্তাক্ত পঙ্গু হয়ে এখনো হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে সে সময় আপনারা উসকানি দেন এটি কি বাংলাদেশের জনগণ সহ্য করবে? উসকানির কারণে যত পরিবেশ সৃষ্টি হবে তার সব দায় উসকানিদাতাদের নিতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা: শফিক বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকারের আমলে দেশ থেকে গত সাড়ে ১৫ বছরের ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সেগুলো ফেরত এনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ দেশের কল্যাণে সুষম ব্যয় করার দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক ধান্দাকে ঘৃণা করে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন দেশের স্বপ্ন দেখে যেখানে ঘুষ দুর্নীতি থাকবে না।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ এত দিন অনেক কষ্টে ছিল। এই নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের রাজধানী বানিয়ে রাখা হয়েছিল। আমাদের তৎকালীন জামায়াতের আমির ছিলেন গোলাম আযম। তার বিরুদ্ধে এই শহরের এক গডফাদার নারায়ণগঞ্জের সড়কে ৭২ ফিট লম্বা ব্যানার টানিয়ে ছিল। তাতে লেখা ছিল, নারায়ণগঞ্জে গোলাম আযমের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ডিসি, এসপির উপস্থিতিতে গডফাদার শামীম ওসমান বলেছিলেন, আমার বিরুদ্ধে খুনের অগ্রিম মামলা করে রাখেন। আমি অধ্যাপক গোলাম আযমকে খুন করতে চাই।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে গোলাম আযম মারা যান। গডফাদারের সুযোগ হয়নি? আজ তিনি কোথায়? নারায়ণগঞ্জে নেই, এত অহঙ্কার ভালো না, দাম্ভিকতা ভালো না। সন্ত্রাসকে কখনো প্রশ্রয় দিতে হয় না। তা হলে দুনিয়াতেই তার করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়। এ ছাড়া আখিরাতে তাকে শূলে চড়াবেন। যেটা হবে আগুনের মহাকুণ্ড। তাই বলি, তওবা করুন। মানুষের মতো মানুষ হোন।
জামায়াত আমির বলেন, গত ৫৪ বছর এই জাতিকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। আর সুকৌশলে এ বিভক্তি সৃষ্টি আওয়ামী লীগ করেছিল। তারা বিভক্তির শুরু করেন পাহাড়িদের নিয়ে। তারা ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা সবাই বাঙালি। কিন্তু এটি নিয়ে পাহাড়িরা প্রতিবাদ করেন। তখন থেকে এই যে বিভক্তি শুরু হয়েছে, তা এখনো চলমান রয়েছে। এখনো ওইখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি। তারা এখন বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেরা সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। এ বিভক্তি যত দিন থাকবে তত দিন এই জাতির মধ্যে একতা সৃষ্টি হবে না; যা দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর প্রত্যক্ষ করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের একজন নাগরিকের সব অধিকার পাওয়ার অধিকার আছে। এটিই মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। আমাদের এই সমাজ হবে বৈষম্যহীন। আওয়ামী লীগ দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। প্রশাসনকে, বিচারব্যবস্থাকে আওয়ামী লীগ পুরোদমে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ডা: শফিক আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে সবার আগে শিক্ষাব্যবস্থায় হাত দিবে। এ দেশের ছাত্র সমাজের জন্য উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা করে তুলবে। শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পর কাউকে আর বেকার থাকতে হবে না। প্রত্যেকের জন্য যথোপযুক্ত কর্মের ব্যবস্থা করা হবে। নারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হবে। এ দেশের কৃষি শিল্প, এগ্রো শিল্পগুলোকে আরো সমৃদ্ধশালী করা হবে।
জামায়াত আমির বলেন, এই বাংলাদেশে কে কোন ধর্মের এই প্রশ্ন সম্পূর্ণ অবান্তর। ১৮ কোটি মানুষের দেশ একটা সাজানো ফুলের বাগান। আল্লাহ যাদেরকে এই বাগানে পয়দা করেছেন মিলেমিশে সবাই হবে এর অধিবাসী। বাংলাদেশের সংবিধান সবাইকে সাংবিধানিক অধিকার দিয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধান যতগুলো অধিকার দিয়েছে সবগুলো এ দেশে নিশ্চিত হবে। ক্ষমতায় যারা যাবে তাদের অধিকার নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব এটি কোনো দয়ার দান নয়। বাঁচার অধিকার, সম্মান পাওয়ার অধিকার, বিচার পাওয়ার অধিকার, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার, সন্তানের শিক্ষা পাওয়ার অধিকার, কাজের অধিকারসহ কিছু তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। এটিই স্বাধীনতার মূল চেতনা। এ সমাজ হবে বৈষম্যহীন,মানবিক।
শেখ হাসিনার সরকার সবগুলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছেন উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, তিনটি মৌলিক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পার্লামেন্ট, নির্বাহী ও বিচারব্যবস্থার সবগুলোতে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এজলাসে দাঁড়িয়ে বলতে পারেন আমি হচ্ছি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ। লজ্জা! একজন বিচারক যখন শপথ নেন, তখন তিনি বলেন, আমি কারো প্রতি কোন পক্ষ-বিপক্ষ অবলম্বন করব না, নিরপেক্ষ থাকব। যার যা পাওয়া বিচারে সে তাই পাবে। সে যখন বলে আমি অমুক দলকে অন্তরে ধারণ করি, তার পক্ষে কি ন্যায়বিচার সম্ভব?
তাদের কেউ কেউ এ দেশের নন্দিত গর্বিত ব্যক্তিদের রায় দেয়ার পর টকশোতে গিয়ে বলতেন, অমুককে আজ ফাঁসি দিয়ে এসেছি। নাম ধরে ধরে বলতেন। তিনি একজন বিচারপতি, তিনি টকশোতে যাবেন কেন? তার তো বিচারাঙ্গনের বাইরে বিচরণের কথা নয়। সেই বিচারকরা সিলেট সীমান্ত দিয়ে পার হতে নিয়ে ছিলেন, জনগণ তাদের জঙ্গলের মধ্যে আবিষ্কার করলেন। তার অপকর্ম ছিল আকাশচুম্বী, তাই সাহসের সাথে তিনি বাংলাদেশে থাকেননি।
তিনি আরো বলেন, এমন দেশ হবে যেখানে কোনো দুর্নীতি দুঃশাসন থাকবে না। নারায়ণগঞ্জেও যদি চাঁদাবাজি, দখলদারি হয়, অফিস আদালতে ঘুষ চলে, তাহলে কেন এতগুলো মানুষের জীবন গেল, কেন এত মানুষ পঙ্গু হলো, কেন এতগুলো রক্তের ফোঁটা ভাসল? আমি বিনয়ের সাথে দলমত, ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে অনুরোধ করব- এ অপকর্মের সাথে যারাই জড়িত আছেন মেহেরবানি করে এই অপকর্মগুলো ছেড়ে দেন। এই অপকর্ম করলে এই শহীদদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। তাদের রক্তের সাথে অপমান করা হবে। ১৮ কোটি মানুষকে অপমান করা হবে। মানুষকে স্বস্তিতে বাঁচতে দেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ আবদুল জব্বারের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ড. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া।
সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসিফ ঈসা আল দোহাইলানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, মতবিনিময়কালে তারা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো: তাহের ও প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতার নামে পরাধীনতার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান: স্বাধীনতার নামে পরাধীনতার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে না। কেবল বাংলাদেশের জনগণকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য জীবন ও রক্ত দিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা কেবল একটি পতাকা পেয়েছি। এই পতাকার মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ হাইজ্যাক করে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে যারাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মসনদে বসেছে তারাই ভারতের তাঁবেদারি করেছে।
গতকাল জামায়াত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের চকবাজার-বংশাল জোনের অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এবং বংশাল-চকবাজার জোন পরিচালক মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নবনির্মিত ভবনে অনুষ্ঠিত অগ্রসর কর্মী শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি শামসুর রহমান, বংশাল-চকবাজার জোনের সহকারী পরিচালক এস এম আহসান উল্লাহ, মহানগরীর মজলিশে শূরা সদস্য মো: মাহবুবুল আলম ভুইয়া, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য যথাক্রমে চকবাজার দক্ষিণ থানা আমির মাওলানা আনিসুর রহমান, বংশাল উত্তর থানা আমির মাওলানা বেলাল হোসেন, চকবাজার পশ্চিম থানা আমির আবুল হোসেন রাজন, চকবাজার পূর্ব থানা আমির রফিকুল ইসলামসহ চকবাজার-বংশাল জোনের দায়িত্বশীল নেতারা।
বাড্ডায় জামায়াতের বিক্ষোভ : প্রয়োজনে নতুন আইন তৈরি করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী-বাকশালীদের সকল খুন, গুম ও জুলাই গণহত্যার বিচার তরান্বিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
গতকাল জুমার নামাজের পর বাড্ডা থানা জামায়াত আয়োজিত ফ্যাসিস্ট, পতিত আওয়ামী সরকারের গুম, খুন, জুলাই গণহত্যার বিচার ত্বরান্বিত, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ সকল হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো এবং চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার ও কর্মপরিষদ সদস্য হেদায়েতুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন বাড্ডা থানা আমির কুতুব উদ্দিন, আব্দুস সবুর ফরহাদ, মাসুদূর রহমান রানা প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিলটি উত্তর বাড্ডা ওভার ব্রিজের নিচ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেরুল বাড্ডার ইউলুপের নিচে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা