নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রামের পদক্ষেপ নিলে ব্যবস্থা নিবে ডিএমপি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৫
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ যদি ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো ধরনের প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল শুক্রবার ‘অমর একুশে বইমেলা’ ঘিরে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী।
বইমেলাকে কেন্দ্র করে গত সরকারের আমলে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। পরে এসব ঘটনার সাথে অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তারা এখন কারামুক্ত। তাদের বিষয়ে কোনো নজরদারি থাকবে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রকম যারা সন্দেহভাজন আছেন, তাদেরকে আমরা নজরদারিতে রাখছি।’
প্রতি বছর বইমেলাকে কেন্দ্র করে কিছু লেখক বা প্রকাশনী উসকানিমূলক কিছু বই বের করে। এ বিষয়ে আপনাদের কোনো নজরদারি রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কয়েকটি সমন্বয় সভা করেছি। বাংলা একাডেমির কর্মকর্তাদের আমরা বলেছি, কোনো ধরনের উসকানিমূলক বই যেন মেলায় না আসে। তারা যেন বই যাচাই-বাছাই করে মেলায় পাঠায়।
এই মাসে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাদের একটি নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনও আছে। এ বিষয়ে আপনাদের প্রস্তুতি কেমন? জানতে চাইলে শেখ মো: সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সব সময় কাজ করছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আসতেছে। আমরা এসব প্রোগ্রাম প্রতিহত করছি। প্রোগ্রাম তো দিতেই পারে কিন্তু সেগুলো আমরা প্রতিদিনই মোকাবেলা করে যাচ্ছি। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তারা যদি কোনো প্রোগ্রাম করার পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। আমাদের দৃষ্টিতে কোনো আশঙ্কা দেখি না।
ঢাকাতে যে যেভাবে পারছে আন্দোলন করছে। এর ফলে মহানগরীতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এখন আবার বইমেলা শুরু হচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করবে পুলিশ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক অবস্থা খুবই নাজুক, মানুষ খুবই কষ্ট করছে। আমার নিজেরও কষ্ট লাগে, কারণ এই শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা তো আমি দেখি। যখন দেখি, মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে। ছোট একটা দাবি নিয়ে ২০ জন লোক রাস্তা আটকে দেয়। আমি তাদের বলব, আপনারা ছোট দাবি নিয়ে রাস্তা আটকাবেন না। আপনারা ফুটপাথে অবস্থান করুন। কিন্তু খুবই দুঃখজনক যেকোনো দাবি দেয়ার মোক্ষম স্থল হয়ে গেছে রাস্তা অবরোধ। উত্তরা থেকে রওনা দিয়ে মতিঝিল যেতে ৭ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে, ভয়ঙ্কর অবস্থা। পটপরিবর্তনের পর আমরা আমাদের পেশাগত পরিবর্তন করেছি। আমি ও আমাদের আইজিপি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমরা বলছি- আমরা কাউকে মারতে চাই না এবং আমরাও মরতে চাই না। আমি কোনো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমি ব্রিটিশ পুলিশের কমিশনার না। রাস্তার মধ্যে আমরা লোককে লাঠি দিয়ে পেটাতে চাই না। সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের মধ্যে যখন সমস্যা হচ্ছিল, তখন আমি আমার সহকর্মীদের বলেছি যেন কোনো লাঠিচার্জ না করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ঘটনার সময় লাঠিচার্জ করতে আপনি নিষেধ করেছেন, কিন্তু শাহবাগে মাদরাসাশিক্ষকদের ওপর তাহলে কেন লাঠিচার্জ করা হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা এখানে লাঠিচার্জ করিনি শুধু জলকামান দিয়েছি।
অনেকে আশঙ্কা করছেন বইমেলাতে মব হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এমন কিছু হবে না। ব্যবস্থা নিয়েছি এমন কিছু হবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা