উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভর্তি ও চাকরিতে কোটা নিয়ে তিন সিদ্ধান্ত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মেডিক্যালসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা প্রয়োগ নিয়ে তিন সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত ৫ শতাংশ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপন করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ বিষয়ে মতামত বা সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
সংস্কার বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের এপিএ কমিটি :
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) কাঠামো পুনর্গঠনে ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এই কমিটি মতামতসহ প্রতিবেদন প্রণয়ন করবে।
সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কমিটির কার্যপরিধি নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
এপিএ কাঠামো পুনর্গঠনে গঠিত কমিটিকে ৯টি বিষয় বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- সরকারের সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা; সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা; সরকারি অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা; প্রধান কর্মকৃতি নির্দেশকগুলোর উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা; কার্যক্রম বাস্তবায়নে আন্তঃমন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করা; মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মসম্পাদনের ফলাফল সঠিকভাবে নিরূপণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশক অন্তর্ভুক্ত করা; প্রাসঙ্গিকতা নেই- এ ধরনের কার্যক্রম এপিএ থেকে বাদ দেয়া; সরকারের বিভিন্ন নীতি, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম পুনঃনিরীক্ষা করে লক্ষ্যমাত্রা নিরূপণ করা এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করা।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মসম্পাদনে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গঠিত কমিটি বিদ্যমান বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কাঠামো পুনর্গঠন করার বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে।
আট সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক হলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। অন্য সদস্যরা হলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, অর্থসচিব, পরিকল্পনা বিভাগ সচিব, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ সচিব এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব। কমিটিতে ‘সচিব’ বলতে ‘সিনিয়র সচিব’ও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। কমিটি প্রয়োজনে এপিএ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ ও সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে এবং প্রয়োজনে প্রতি ১৫ দিন অন্তর সভা করতে পারবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা