২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৫ রজব ১৪৪৬
`

৩ সুপারিশে আপত্তি সিইসির

এসব সংস্কার বাস্তবায়ন হলে ইসির স্বাধীনতা ‘খর্ব হবে’
৩ সুপারিশে আপত্তি সিইসির -

- বিদায়ের পর ইসির বিষয়ে তদন্তভার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির হাতে দেয়া
- সীমানা পুনর্নির্ধারণ
- ভোটার তালিকা নিয়ে স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অন্তত তিনটি সুপারিশ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সারাংশ ইতোমধ্যে গোচরীভূত হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি অনুষ্ঠানের শুরুতে বলেন, সব সুপারিশ ভালো বা খারাপ বা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য এটা বলতে পারছি না। যিনি জুতা পায়ে দেন, তিনি জানেন পেরেকটা কোথায় খোঁচাচ্ছে। জুতা পায়ে না দিলে বুঝতে পারবেন না আসলে ব্যথাটা কোথায় লাগছে। এমনে তো জুতা দেখতে কত সুন্দর! জুতা পায়ে দিলে বুঝবেন কোথায় সমস্যা, আপনার পা কোথায় কেটে যাচ্ছে, ফোসকা পড়ছে কোথায়। আমরা যারা ভেতরে আছি, সুপারিশ তো অনেক দেয়া যায়, যিনি বাস্তবায়ন করেন, তিনিই জানেন হোয়েদার ইট ইজ রিয়েলি প্র্যাকটিসেবল, রিয়েলি ইমপ্লিমেন্টেবল অর নট। আমরা সে দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেছি সারমর্মগুলো রিভিউ করে দেখেছি।
যে তিনটি বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপত্তি তোলেন সেগুলো হলো, বিদায় নেয়ার পর ইসির বিষয়ে তদন্তভার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির হাতে দেয়া এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা নিয়ে স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ করা। তার মতে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে তা ইসির স্বাধীনতা খর্ব করবে।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন বিষয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আয়োজিত ‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি। এ অনুষ্ঠানে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সারসংক্ষেপ এবং আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির অবস্থান তুলে ধরেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন।

বদিউল আলম মজুমদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গত ১৫ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে কমিশন ১৫০টি সুপারিশ সংবলিত প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করেছে।
এর মধ্যে একটি সুপারিশে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনাররা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে এবং শপথ ভঙ্গ করলে মেয়াদ পরবর্তী সময়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রস্তাবিত সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর বিধান করতে হবে।
ভবিষ্যতে সীমানা নির্ধারণে আলাদা স্বাধীন সীমানা নির্ধারণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংস্থা নামে একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গঠন করার কথা বলা হয়েছে অন্য দুই সুপারিশে।

ইসির চারটি সাংবিধানিক ম্যান্ডেটের কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সংসদ নির্বাচন, ভোটার তালিকা ও সীমানা পুনর্নির্ধারণ। এ চারটির বাইরে সংবিধানে ক্ষমতা দেয়া না থাকলেও অন্য কোনো নির্বাচনের মধ্যে স্থানীয় সরকার অনুরাধ করলে কমিশন আয়োজন করে।
ভোটার তালিকা ও সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষমতা ইসির কাছ থেকে সরিয়ে নেয়ার সুপারিশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষমতা ইসির কাছ থেকে সরিয়ে নিলে বা এমন কোনো শর্ত আরোপ করলে যাতে কমিশন অভিযোগগুলোর সুরাহা করতে না পারে বা বিবেচনার সময় বাধার সৃষ্টি হয়, তাহলে বিশাল একটা সমস্যা দেখা দেবে। তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে উনারা প্রস্তাব করেছেন যে, বিস্তারিত আমি জানি না উনারা একটা আইন করবেন বলেছেন। শেষ পর্যন্ত বলেছেন এটা একটা স্বাধীন কর্তৃপক্ষ হবে। নির্বাচন কমিশন নিজেই তো স্বাধীন। আমাদের চেয়ে স্বাধীনতার মধ্যে আরেকটা স্বাধীন দিলে তো আরেকটা মুশকিল।
সিইসি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ ইসির সাংবিধানিক ম্যান্ডেট, এটার ওপর ইসির নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। এখন স্বাধীন একটা প্রতিষ্ঠানকে আমি যদি বলি ডিলিমিটেশন করে দেন, উনি উনার সময় মতো একটা দেবেন। তখন সীমানা নির্ধারণ করতে করতে নির্বাচনের তারিখই পার হয়ে যাবে। কারণ এতে ইসির নিয়ন্ত্রণ থাকবে না; উনি তো স্বাধীন কর্তৃপক্ষ।

সময়মতো, যথাযথভাবে সম্পন্ন করা, যেটা সাংবিধানিক দায়িত্বÑ এটি অন্য কোনো কর্তৃপক্ষকে দেয়াটা আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করি না।’
ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম স্বাধীন করার সুপারিশ নিয়েও আপত্তি জানান সিইসি। নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ভোটার এনআইডি কার্ড, ভোটার রেজিস্ট্রেশন যেটা উনারা বলেছেন পরবর্তী পর্যায়ে একটা আবার স্বাধীন অধিদফতর/পরিদফতরে হ্যান্ডওভার করার জন্য প্রস্তাব করছেন। আমি ভোটার লিস্ট করব, আর অন্য এক কর্তৃপক্ষ এটার দায়িত্বে থাকবে! তাহলে ইসির নিয়ন্ত্রণ থাকবে? মার্চ মাসে হালনাগাদ শুরু করার কথা, এখন আমরা জানুয়ারির ২০ তারিখ শুরু করে দিয়েছি, ৬৫ হাজার লোককে নিযুক্ত করেছি। মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। আরেকটা কর্তৃপক্ষকে দিলে আমার কি তার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে? ইটস ইমপসিবল।’ তিনি বলেন, ‘ভোটার নিবন্ধন অন্যের কাছে দিয়ে দেয়া অথবা ডিলিমিটেশন অন্যের কাছে দিয়ে দেয়া নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে, এর স্পিরিটের বিরুদ্ধে। আমাদের জন্য এ ধরনের সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয়। পরে তারা সিদ্ধান্ত নিলে বা সংবিধান সংশোধন হলে সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে এটা গ্রহণযোগ্য না।’

ইসির স্বাধীনতা ‘খর্ব হবে’ : নির্বাচন কমিশনার যদি ব্যর্থ হন বা শপথ ভঙ্গ হয়, তাহলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে তদন্তের সুপারিশ নিয়েও তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন সিইসি নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, মেয়াদের পরে আমি যখন থাকব না, পাঁচ বছর পরে আমার পেছনে পার্লামেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির লোকজন তদন্ত করে প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ দেবে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
দেখেন, যখন আপনি থাকবেন না সরকারি চাকরিতে, তখন দেশের বিভিন্ন আইনে বিচারের আইন আছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অতীতে দেখা গেছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রপতি ‘ইমিউনিটি’ ভোগ করতেন চেয়ারে থাকার সময়, যখন চেয়ারে নেই অনেক রাষ্ট্রপতিরও বিচার হয়েছে তো।
সাবেক এই আমলা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যেমনভাবে সংসদ নির্বাচন হবে, কেয়ারটেকার সরকার না থাকলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনটাও মানসম্পন্ন হবে যদি ইসির স্বাধীনতা অক্ষুণœ থাকে। সুন্দর ইলেকশন হবে।

কিন্তু পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির হেফাজতে দিয়ে দিলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে; এটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। সিইসি বলেন, বিদমান আইনে হয়েছে, নতুন আইন করা লাগেনি। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরাও আইনের ঊর্ধ্বে নই। যখন আমরা থাকব না, বিচার করার জন্য যথেষ্ট আইন আছে। এখন পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটিকে যদি এ দায়িত্ব দেয়া হয়, ধরুন স্থানীয় নির্বাচনে কোনো সংসদ সদস্য, পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটি আমাকে অনুরোধ করল ভোটকেন্দ্র বাড়ির পাশে আনেন, আমি মানলাম না। উনি বলবেন, আচ্ছা দাঁড়াও চার বছর যাক, পার হোক, তখন দেখা যাবে, এটি হবে। তাই পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে গেলে আমাদের স্বাধীনতা খর্ব হবে, স্বাধীনতা কম্প্রমাইজড হবে। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব না।

ইসির জনবল, বাজেট ইত্যাদির দায়িত্বও সংসদীয় কমিটির হাতে দেয়ার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন, যা নিয়েও আপত্তি তোলেন সিইসি। তিনি বলেন, এটি কোনো আসল ফোরাম না। এটি ওভারসাইট বডি। অর্থ মন্ত্রণালয়কে বাদ দিয়ে বাজেট করতে পারবেন? পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির ওপর আমরা নির্ভরশীল হতে চাই না; আমাদের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য এ জিনিসটা বাদ দিতে হবে। ইসির অধীনে একটা স্বতন্ত্র সচিবালয় রয়েছে। সিইসি ও চারজন কমিশনার যদি সারাদিন বদলি, পোস্টিং, পদোন্নতি, নিয়োগ এগুলো করতে যান, আসল কাজ ক্ষতিগস্ত হবে।
সিইসির মতে, সংস্কার কমিশন বিষয়গুলো ‘যৌথভাবে’ করার কথা বললেও তাতে ইসির ‘আসল কাজ’ বিঘ্নিত হবে।
নতুন ইসি গঠনে বিদ্যমান আইন সংস্কার করে ‘সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়া’ প্রস্তাব নিয়েও সমালোচনা করেন সিইসি।
তিনি বলেন, আমরা শুনছিÑ উনারা আইনের একটা খসড়া দিয়েছে কমিশন গঠনের জন্য; কী দিয়েছেন আমি জানি না। কোনো ল’ এ ধরনের হতে গেলে, দু’টি জিনিস দরকার। আমার জন্য আইন বানালে আমাকে জানাতে হবে, দেশের জনগণকে জানাতে হবে। কারণ আইন বানানোর প্রক্রিয়া আছে, ওয়েবসাইটে দিতে হবে। এটি অনেক দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্রিয়া।

নির্বাচনের প্রস্তুতি কতদূর
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে মে-জুন মাস বর্ষাকাল, অতীতে দেখিনি বর্ষাকালে নির্বাচন হয়। সুতরাং এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ডিসেম্বরে যদি নির্বাচন করতে হয়, অন্তত দুই মাস আগে শিডিউল ঘোষণা করতে হবে। তার মানে নিজেদের প্রস্তুতির জন্য অক্টোবর পর্যন্ত সময় পাচ্ছি। আমাকে যা কিছু করতে হবে, ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে গেলে আমাকে অক্টোবরের মধ্যে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে হবে। অক্টোবরের শেষের দিকে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
ভোটের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বলা সম্ভাব্য সময়সীমার কথাও তুলে ধরে সিইসি বলেন, মনে রাখতে হবে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার একটা টাইম লাইন দেয়া আছে ইলেকশনের। ন্যূনতম সংস্কার হলে উনি ডিসেম্বর বলেছেন, আর বড় ধরনের সংস্কার করতে হয় উনি জুন মাস বলেছেন।

দল নিবন্ধন ও সীমানা পুনর্নির্ধারণ
সিইসি বলেন, নির্বাচন একটা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। দ্রুত চাইলেই সব কিছু করা যায় না। বিশেষত যে পরিস্থিতিতে দায়িত্বটা নিয়েছি অথবা আমাদের কাঁধে দায়িত্বটা এসে পড়েছে, সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়।
সব কিছু রেডি নেই। আমাদের জন্য মাঠটা রেডি নেই, একটি মুভমেন্টের পরে দায়িত্বটা ক্রুশাল টাইমে পেয়েছি। ১৫টা সংস্কার কমিশন কাজ করছে। এখন রুলস অব দ্য গেম কী হবে ফিক্স করতে পারিনি।
তিনি জানান, নির্বাচনের আইনকানুন, বিধিবিধান চূড়ান্ত অবস্থায় নেই। সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট আসতে শুরু করেছে। এদের মধ্যে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে, আমরা এখনো নিশ্চিত নই। নির্বাচনী সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনো পাইনি, সারাংশ যতটুকু আপনারা পাচ্ছেন, সেটুকুর ভিত্তিতে মতামত দিতে হচ্ছে।

ভোটার নিবন্ধনের কাজেও যে সময় লাগে, সে কথা তুলে ধরে সিইসি বলেন, কাজটা শুরু করে দেয়া হয়েছে, সময়টাকে এগিয়ে আনা হয়েছে। বড় কাজ হচ্ছে সীমানা পুনর্নির্ধারণ। এ নিয়ে দেড় শ’ আবেদন এসেছে। এসব নিষ্পত্তি করা যাচ্ছে না।
সিইসির ভাষ্য, আইনের মধ্যে এমনভাবে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে যেন ফিক্স করতে না পারি। আইনটা সংশোধন করতে হবে। এটি নিয়ে আটকে যাচ্ছি। দলের নিবন্ধন, এটিও অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। দলের অফিসসহ অনেক কিছু যাচাই বাছাই করতে হয়। ইচ্ছে করলে রাতারাতি কেনা যায় না কিছু। আইন মেনে মূল্যায়ন, ওয়ার্ক অর্ডারের টাইম রয়েছে। এটাও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
আমরা চেয়েছিলাম ভোটার নিবন্ধনের পাশাপাশি কাজগুলো এগিয়ে নিতে। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে একসাথে কাজ করা যাচ্ছে না। আটকে আছে সীমানা পুনর্নির্ধারণ আর দল নিবন্ধন।

তিনটি সুপারিশ ইতোমধ্যেই বাস্তবায়ন
সংস্কার কমিশনের কয়েকটি সুপারিশ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের সম্মানিভাতার বিষয়ে রিভিউ করার কমিটি করা হয়েছে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইসির অধীনে আনার সুপারিশ করেছে। ইতোমধ্যে খুব দ্রুত ইসির অধীনে আনতে সরকার পূর্ণ সমর্থন দিয়ে তা করে দিয়েছে। ইসির অধীনে যত মিটিং, ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, সেমিনারে কোনো সম্মানীভাতা নেবেন না সিইসি ও তার নির্বাচন কমিশনার।
বলতে গেলে তিনটি সুপারিশ এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করে ফেলেছি। অনেক ছোটখাটো সুপারিশ পেলে আমরা মতামত দিতে পারব। যেসব সারাংশ পেয়েছি তার ভিত্তিতে মতামত দিতে পারব।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নওগাঁয় পুকুর থেকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবকের লাশ উদ্ধার ঢাবি ও সাত কলেজের ঘটনা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সিইসির বক্তব্যের সাথে একমত বিএনপি : দুদু আ’লীগ নেতা, পুলিশসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি গাছে আটকেপড়া বিড়ালকে উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস বরিশালের টানা ৫ জয়, কঠিন সমীকরণে খুলনা সিরাজদিখানে নিখোঁজের ৭ দিনেও সন্ধান মেলেনি স্কুলছাত্র রোমানের ৪৪তম বিসিএসে ৯০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ পাকিস্তানের হার, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাতে বাংলাদেশ ‘বাবা বেঁচে নেই, তাই আমাকে আর কেউ চিপস, চকলেট কেনার টাকা দেয় না’ শহীদ জসিমের ছেলে সিয়াম গাজাবাসীকে মিসর-জর্ডানে সরিয়ে নেয়ার মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

সকল