নীরবে সরে গেলেন ডোনাল্ড লু
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৬
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তার দায়িত্ব থেকে বিদায় নিয়েছেন। ডন এক প্রতিবেদনে বলছে, তিনি ১৭ জানুয়ারি তার মেয়াদ শেষ করেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে তার বিদায়ের ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না।
ডোনাল্ড লু ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে যোগ দেন। তার মেয়াদকালে তিনি বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে উৎখাতের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠার পর তিনি ব্যাপক আলোচনায় আসেন। তার আগমন ও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা নিয়ে সরব ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনও। ২০২৩ সালে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ২০২৪ সালের নির্বাচন এবং ভিসানীতির বিষয়েও তিনি তার মতামত প্রকাশ করেন। মার্কিন এই কূটনীতিক ২০২৩ সালে ঢাকা সফর করেছিলেন এবং বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর আলোচনা করেন।
ডোনাল্ড লু এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় মার্কিন স্বার্থ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তিনি ২০১০-২০১৩ সালের মধ্যে ভারতেও মার্কিন মিশনের ডেপুটি চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তিনি পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা সঙ্কট মোকাবেলায় দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫-১৯ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এ দিকে পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ট্রাম্পের নির্বাহী পদক্ষেপগুলো বেশ শক্তিশালী, প্রেসিডেন্টের প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো ইতোমধ্যেই ফেডারেল সরকারজুড়ে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে। তবে সেগুলোর সবটিতে বাস্তব পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। যেমনÑ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে যাওয়ার পর ফের যোগ দেয়ার বিষয়টি ভাবছেন ট্রাম্প। এবার তার প্রথম প্রায় পাঁচ ডজন নির্বাহী পদক্ষেপ ২০১৭ সালে তার প্রথম মেয়াদের প্রথম দিনগুলোতে করা পদক্ষেপগুলোর চেয়ে আরো ভালোভাবে তৈরি করা হয়েছে, এর আগের শাসনামলে ট্রাম্প প্রথম দিনে মাত্র একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন এবং তার প্রথম সপ্তাহে ছিল পাঁচটি। এবার ট্রাম্পের প্রাথমিক পদক্ষেপগুলোর অনেক দ্রুত প্রভাবের সাথে সরাসরি কাগজে-কলমে আদেশে পরিণত হয়েছে অথবা কিছু ফেডারেল কর্মীদের তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করেছে। কিন্তু অন্যরা রাষ্ট্রপতির এজেন্ডাকে ইঙ্গিত দেয়া ছাড়া আর কিছুই মনে করছেন না এবং বলছেন ট্রাম্পের এসব আদেশ আইনি লড়াইয়ে টিকে থাকার সম্ভাবনা কম। তাই ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে মামলাও হতে শুরু করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা