নিরপেক্ষ থাকতে পারছে না অন্তর্বর্তী সরকার : ফখরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৩, আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৮
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কিছু বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সাথে তিনি আশঙ্কা করেন, দ্রুত নির্বাচন না হলে অন্য শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শহীদ আসাদ পরিষদের উদ্যোগে ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের ৫৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে নির্বাচনের সময় একটা নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে। আমি কথাটা বলছি, এর কারণ আছে। কারণ হচ্ছে, আমরা দেখছি যে, বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছেন না।’
বর্তমান সরকারের কাছে প্রত্যাশা রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি অনুরোধ ও প্রত্যাশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের নিরপেক্ষতা পালন করবেন এবং দেশে যে সঙ্কট আছে সেই সঙ্কট থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য তারা কাজ করবেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একাত্তর সালের আগে থেকে শুরু করে আসাদ ও আবু সাঈদসহ অসংখ্য মানুষের জীবনদানকে যদি সত্যিকার অর্থে অর্থবহ করতে হয় এবং একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হয় তবে আমাদের প্রয়োজন হবে ন্যূনতম ঐক্যবদ্ধ হওয়া। আমরা যারা এক সাথে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করেছি, সবাই মিলে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। এখন যদি কোনো পরিবর্তন করতে হয়, পরিবর্ধন করতে হয় সেটাও সামনে আসতে পারে, ওটাকে সামনে রেখেই আমাদের এগোতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ন্যূনতম সংস্কার হবে নির্বাচন কেন্দ্রিক। সেই সংস্কার শেষ করে অতি দ্রুত নির্বাচনের পথে যাওয়া উচিত। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে সরকার বেরিয়ে আসবে তাদের দায়িত্ব হবে এখানে পুরোপুরিভাবে সেই সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতি আছে তা বাস্তবায়িত করা, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা।
দ্রুত নির্বাচন না হলে অন্যান্য শক্তির উত্থান হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, নির্বাচন যদি দ্রুত না হয়, সময়ক্ষেপন করা হয়, তাহলে অন্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। তখন জনগণের যে চাহিদা সেই চাহিদা থেকে তারা পুরোপুরিভাবেই বঞ্চিত হয়।
নির্বাচনের জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল একটা বিষয়ে একমত যে, একটা নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচনটা শুধু একটা দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, নির্বাচনটা হচ্ছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য একটা পথ সৃষ্টি করা, একটা দরজা খোলা। প্রশ্ন উঠছে, সবগুলো সংস্কার করে নির্বাচন যাওয়ার প্রশ্ন নিয়ে। তাহলে কি আমরা ৪/৫ বছর ধরে অপেক্ষা করব বা যতদিন সংস্কার সম্পন্ন না হয় ততদিন ধরে জনগণ অপেক্ষা করবে? তারা তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে?
এ সময় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরও জনপ্রশাসনে প্রত্যাশিত রদবদল না হওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর সভাপতিত্বে ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ‘৯০ এর ছাত্র নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমান, শহীদ আসাদের ছোট ভাই আজিজুল্লাহ এম নুরুজ্জামান নূর প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা