এ টি এম আজহারের রিভিউ শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪২
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আবেদন শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। বৃহস্পতিবার আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে রিভিউ আবেদনের বিষয়টি উত্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। তখন আদালত বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য রাখা হলো। সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের সাথে ছিলেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক, ইমরান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
এ বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আপিল বিভাগের বেঞ্চের একজন বিচারপতি না থাকায় শুনানির তারিখ পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। এর আগে ৯ জানুয়ারি আদালতে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন, তিনি ১০ বছর ধরে কনডেম সেলে আছেন। জরুরি ভিত্তিতে ওনার রিভিউ আবেদনের শুনানি করা দরকার। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ২৩ জানুয়ারি এ টি এম আজহারুল ইসলামের আবেদন শুনানির জন্য তালিকার শীর্ষে থাকবে বলে আদেশ দেন।
২০২০ সালের ১৯ জুলাই খালাস চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন করেছিলেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১৪টি যুক্তি দেখিয়ে ওনার খালাস চাওয়া হয়।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মো: নূরুজ্জামান।
ওই দিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী মরহুম খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (মৃত) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আপিল বিভাগের রায়ে এ টি এম আজহারে বিরুদ্ধে আনা ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। এ ছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর কারাদণ্ড থেকে খালাস দেয়া হয়। এ ছাড়া ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়।
রায় ঘোষণার পর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে সরাসরি অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার কোনো অভিযোগ ছিল না। তিনি কখনো ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি তখন ১৮ বছরের যুবক ও কলেজের ছাত্র ছিলেন। সব অপরাধ পাকিস্তানি আর্মিরা করেছে। তিনি বলেন, আইনের বিধান অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড দেয়া সঠিক হয়েছে কি না, সেটিই আমরা রিভিউ আবেদনের মাধ্যমে আদালতে তুলে ধরব।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে এ টি এম আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ এ মামলার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এ টি এম আজহারুল ইসলাম কাশিমপুর কারাগারে আছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা