সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০, আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪৮
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সম্মেলনে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে পৌঁছেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেনেভায় জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো: আরিফুল ইসলাম বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান। এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এই সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টা জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং থাই প্রধানমন্ত্রী পায়েংটার্ন শিনাওয়াত্রার সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা শেখা লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড, মেটাতে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ড. অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনজো-আইওয়ালার সাথেও বৈঠকে মিলিত হবেন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশ নিয়ে একটি পৃথক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে যেখানে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী নেতা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান নির্বাহীরা যোগ দেবেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সহায়তা করবে জার্মানি
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছেন, তার সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেবে। গতকাল মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোস শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করে এ কথা জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি ছয়টি কমিশনের দাখিল করা সংস্কার প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করছেন। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের গণতান্ত্রিক চেতনা বজায় রাখবে। দুই নেতা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের কারণ, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি।
কিভাবে তরুণরা দুর্নীতিপূর্ণ শাসনের অবসান ঘটানোর জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে যোগ দিয়েছিল, তা জার্মান চ্যান্সেলরকে ব্যাখ্যা করেন প্রধান উপদেষ্টা। একজন ১২ বছর বয়সী ছাত্র অভ্যুত্থানে যোগদানের আগে তার মায়ের কাছে একটি চিঠি লিখে শহীদ হন, এ ঘটনা প্রধান উপদেষ্টা শলৎসকে জানান।
ড. ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা দেখার জন্য একটি জার্মান ব্যবসায়ী দলকে ঢাকায় পাঠানোর অনুরোধ জানান। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরো জার্মান বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
একই সাথে তিনি জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য শলৎসের সহায়তা কামনা করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা