আড়াই হাজারের বেশি গায়েবি মামলা চিহ্নিত : আইন উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৫ বছরে বহু ‘গায়েবি’ মামলা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়ার সাথে সাথেই এসব মামলা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়। বিগত সরকারের দেড় দশকে ২৫ জেলায় আড়াই হাজারের বেশি ‘গায়েবি’ মামলা চিহ্নিত করা গেছে। এর বাইরেও অনেক মামলা থাকতে পারে। আশা করছি, ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের কাজ সম্পন্ন করতে পারব। গতকাল বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।
আইন উপদেষ্টা ‘গায়েবি’ মামলা শনাক্তে কয়েকটি মানদণ্ড নির্ধারণের কথা তুলে ধরে বলেন যেমন, মামলাগুলো পুলিশ দায়ের করেছে কি না; বিস্ফোরক আইনে করা কি না; অস্ত্র আইনে করা কি না: বিশেষ ক্ষমতা আইনে কিংবা পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে কি না ইত্যাদি। এসব মামলায় অনেক অজ্ঞাত আসামি থাকে। আমরা দেখেছি, মামলাগুলো হতো বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বড় বড় আন্দোলনের আগে-পরে। তিনটি ‘ভুয়া’ নির্বাচনের আগে-পরেও হয়েছে। এসব ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে আমরা আড়াই হাজারেরও বেশি মামলা শনাক্ত করেছি। এগুলো প্রত্যাহার হবে আশা করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। চিঠি লেখার পর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে তাহলে এটা বাংলাদেশের সাথে ভারতে যে প্রত্যর্পণ চুক্তি সেটার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। সে ব্যাপারে আমরা বিশ^সমাজে কী পদক্ষেপ নেবো সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারির লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের যা যা করণীয় আছে করে যাচ্ছি।
আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের আমলে করা ৩২২টি স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত মামলার বিচার চলছে। এগুলো প্রত্যাহার করার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা রাখার অবকাশ আছে। ৩২২টি মামলার মধ্যে সরকারি কৌঁসুলির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১১৩টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা আশা করছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত যতগুলো মামলা আছে সব প্রত্যাহার করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা কিছু শব্দ নিয়ে অনেক আপত্তি শুনেছি, বিয়ের কাবিননামায় এখন থেকে শুধু অবিবাহিত শব্দ থাকবে। এ ছাড়া বিয়ের ক্ষেত্রে ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এ গেজেট অনুযায়ী আপিল বিভাগ ও আটর্নি জেনারেলসহ ছয় সদস্যের একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। দক্ষ ও যোগ্য লোকদের নিয়োগ বাছাই করার পর সাক্ষাৎকার নেবে কমিশন। নীতিমালার আলোকে যে কেউ আবেদন করতে পারবে। এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পূর্ণ পুনর্গঠন করতে হয়েছে। পূর্ণ গতিতে বিচার চলছে। বিচারের গতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমি মনে করি আগামী দু-এক মাসের মধ্যে ঘন ঘন শুনানির ডেট পড়বে। বিচার আরো দ্রুতগতিতে করতে আমাদের প্ল্যান আছে। আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করব। উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ হয়ে গেলে আমরা এ কাজ করব।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিবাহ সম্পাদনে আরোপিত একটি কর ছিল। আইন মন্ত্রণালয় এই অযৌক্তিক কর আরোপ বাতিল করেছে। তিনি বলেন, এত দিন বিবাহ নিবন্ধন ফরমের (নিকাহনামা) একাংশে কন্যা কুমারী, বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত নারী কি না, তা জানাতে হতো। এখন সেই ফরমে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, কুমারী শব্দটি নারীর জন্য অমর্যাদাকর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা