০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১, ৫ শাবান ১৪৪৬
`

বাইডেনের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন ট্রাম্প

-

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ওভাল অফিসে ফিরলেন তিনি। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনার মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম ভাষণে বলেন, শিগগির বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ বাতিল করবেন তিনি। এএফপি।
এর কিছুক্ষণ পরই তিনি যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার মধ্যে শুরুতেই তিনি বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। স্থগিতাদেশে সই করার পর ট্রাম্প জনতার উদ্দেশে সেটি তুলে ধরে দেখান। এ ছাড়া প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশেও সই করেন ট্রাম্প। এর আগে ক্ষমতা ছাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফৌজদারি মামলার হুমকিতে রয়েছেন এমন বেশ কয়েকজনকে ক্ষমা করে দেন।
নিজের প্রথম ভাষণে ট্রাম্প বলেছন, ওই আদেশও বাতিল হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি আদেশেও সই করেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া দায়িত্ব নেয়ার পর যেসব নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তার মধ্যে একটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি। একটি জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত। এগুলো সই করার পরে ট্রাম্প বলেন, এটি একটি বিশাল সিদ্ধান্ত।
কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে তিনি জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিকত্ব পান। এই বিধান বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। শপথ নেয়ার পর এ-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন ট্রাম্প। তবে শুধু নির্বাহী আদেশ দিয়েই এই নীতি পরিবর্তন করা কঠিন। কারণ মার্কিন সংবিধানেই জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে যে ‘লাখ লাখ অপরাধী’ অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে, তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানো হবে। ট্রাম্পের রিমেইন ইন মেক্সিকো বা ‘মেক্সিকোতেই থাক’ নীতি ফের কার্যকর করা হবে। সীমান্ত এলাকায় আরো সৈনিক ও জনবল পাঠানো হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। মাদক চক্র বা কার্টেলগুলো বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হবে এসব নির্বাহী আদেশে।‘এলিয়েনস এনিমিস অ্যাক্ট অব ১৭৯৮’ পুনর্বহাল করা হবে, যাতে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলো ‘যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বিদেশী গ্যাংগুলো’ দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে পারে। শপথ গ্রহণের দিনটি (২০ জানুয়ারি, ২০২৫) ‘মুক্তির দিন’ বলে বর্ণনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট।
ইসরাইল ও সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার আশা ট্রাম্পের
আলজাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদি আরবকে কোনো চাপ প্রয়োগ করতে হবে না। দেশটি এমনিতেই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। এমনও হতে পারে, এ বছরই দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
সোমবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বিভিন্ন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার ফাঁকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা বলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস তার প্রধান কার্যালয়।
ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চাপ প্রয়োগ করবেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না, আমাকে কোনো চাপ প্রয়োগ করতে হবে। এটা এমনিতেই হবে। হয়তো এখনই নয়, কিন্তু তারা আব্রাহাম অ্যাকর্ডে থাকবে। সৌদি আরব এতে যোগ দেবে...হতে পারে (এই বছরেই) খুব শিগগিরই।’
এদিকে, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর সৌদি আরব একাধিকবার বলেছে, ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়িত না হলে তারা ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না। গত বছরের ১১ নভেম্বর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব-ইসলামী শীর্ষ সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে আরো একবার সেই অবস্থান তুলে ধরেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দেশটির শাসকদের ভূমিকা খর্ব করা ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকার নিশ্চিত করার এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন জাতিসঙ্ঘে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য। আমরা তাদের পাশে আছি। মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘আমরা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। ১৯৬৭ সালের সীমানার মধ্যে পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাঘ্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে শান্তিপ্রিয় দেশগুলোকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কাজ করছি।
তবে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টিকে একটি অবাস্তব লক্ষ্য হিসেবে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বর্তমান সময়ে এটা কোনো বাস্তবসম্মত বিষয় নয়। আমাদের অবশ্যই বাস্তববাদী হতে হবে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে সেটি হবে হামাসের রাষ্ট্র।’


আরো সংবাদ



premium cement
জুলাই বিপ্লব ও আমাদের অর্থনীতি কক্সবাজারে ২৮ মামলার আসামি আশিক গ্রেফতার জাবিতে ছাত্রদলের আয়োজনে 'শহীদ নাফিসা উইমেন্স ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট' শুরু জুলাইয়ের ইতিহাস বিকৃত হতে দিবে না জামায়াত : ডা: শফিকুর রহমান নোয়াখালীতে গুলিসহ গ্রেফতার ১ আগরতলায় বাংলাদেশের ভিসা কার্যক্রম শুরু, প্রথম দিনে ১২০টি আবেদন সমালোচনা আর চাপের মুখে সরকারের সামনে যে ৬ চ্যালেঞ্জ সন্তানহারা চিকিৎসক দম্পত্তি প্রতিষ্ঠা করলেন ক্যানসার ফাউন্ডেশন তিস্তা এখন উত্তরাঞ্চলের কান্না : দুলু রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ গাজীপুরে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতায় শহীদ যারা’ স্মারকের মোড়ক উন্মোচন

সকল