৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
- বিবিসি
- ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৫
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার দিকে ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস ভবনের ভেতরে ক্যাপিটল রোটুন্ডায় তিনি শপথ গ্রহণ করেন। ট্রাম্পের আগে শপথ নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। শপথ গ্রহণের কয়েক মিনিট আগে তিনি অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন।
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাম্প অনুষ্ঠানস্থলে আসার আগে সেখানে উপস্থিত হন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সাবেক ফার্স্ট লেডি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও সাবেক ফার্স্ট লেডি লরা বুশ এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প, ছোট ছেলে ব্যারন ট্রাম্প, টিফানি ট্রাম্প, লারা ট্রাম্প, এরিক ট্রাম্প, জ্যারেড কুশনার, ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র।
বিদেশী অতিথি হিসেবে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেইসহ আরো অনেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে স্পেসএক্স ও টেসলার সিইও ইলন মাস্ক, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের অঙ্গীকার ট্রাম্পের : যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় ফেরার একদিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অভিবাসনের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনায় এক সমাবেশে গর্জনরত হাজার হাজার সমর্থকের সামনে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচনের প্রচার চলাকালে দেয়া মূল প্রতিশ্রুতিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও প্রত্যয় জানান তিনি। রয়টার্স
‘মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ নামের এ সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সূর্যাস্তের সময় আমাদের দেশের আক্রমণ থেমে যাবে।’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির পুনরুক্তি করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিতারণ প্রচেষ্টা শুরু করার প্রত্যয় জানান।
এ উদ্যোগ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লাখ লাখ অভিবাসীকে তাড়ানো হতে পারে। তবে এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও বাস্তবায়নে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। জনসভায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও ভবিষ্যৎ এই প্রেসিডেন্ট উপস্থিত সমর্থকদের উল্লসিত করতে বড়াই, মিথ্যা দাবি ও একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক আন্দোলন আর ৭৫ দিন আগে আমরা আমাদের দেশের সবচেয়ে মহাকাব্যিক রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করেছি। আগামীকাল থেকে শুরু করে আমি প্রবল গতি নিয়ে কাজ শুরু করবো আর আমাদের দেশের প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান করবো।’
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির পর এই প্রথম ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনি বড় কোনো রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য রাখলেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই বক্তৃতার পর তার ক্ষুব্ধ সমর্থকদের একটি অংশ মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল। ওই হামলার সাথে জড়িত ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি লোককে অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে; এদের অনেককেই ক্ষমা করে দেবেন বলে ট্রাম্প জানিয়েছেন। এই সমাবেশে তার দেয়া বক্তৃতা ও সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর দিতে যাওয়া বক্তৃতাতে ট্রাম্পের এবারের মেয়াদের সুরটির পরিষ্কার পূর্ব ধারণা পাওয়া যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল অধিগ্রহণের কথা বলে এবং প্রতিবেশী কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত করা হবে, এমন মন্তব্য করে মিত্র বিদেশী রাষ্ট্রগুলোকে বিভ্রান্ত করে রেখেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের ‘প্রত্যেকটি মৌলবাদী ও নির্বোধ নির্বাহী আদেশ’ বাতিল করার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি। এই পরিকল্পনার বিষয়ে জ্ঞাত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার ট্রাম্প ২০০টিরও বেশি নির্বাহী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা