২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ মাঘ ১৪৩১, ১৯ রজব ১৪৪৬
`

যুগ্ম নামে কেনা যাবে না পারিবারিক সঞ্চয়পত্র

-

এখন থেকে যুগ্ম নামে কেনা যাবে না পারিবারিক সঞ্চয়পত্র। শুধু তা-ই নয়, একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা বেশি সঞ্চয়পত্রও কেনা যাবে না। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানোর পর পরিবার সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তন করে সরকার। উপসচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের যোগ্যতা ১৮ বছর এবং তার বেশি বয়সের যেকোনো বাংলাদেশী নারী, যেকোনো বাংলাদেশী শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও নারী) এবং ৬৫ ও তার বেশি বয়সের বয়োজ্যেষ্ঠ যেকোনো বাংলাদেশী পুরুষ নির্ধারিত ফরমে এই সঞ্চয়পত্র কেনার আবেদন করতে পারবেন। এতে বলা হয়েছে, একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার এই সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। এই সঞ্চয়পত্র যুগ্ম নামে কেনা যাবে না এবং প্রতিষ্ঠানের টাকাও এই সঞ্চয়পত্রে খাটানো যাবে না। এতদিন পরিবার সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করা যেত ৫০ লাখ টাকা। এবং যুগ্ম নামে এক কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের সুবিধা ছিল।

এ দিকে চলতি মাস থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বৃদ্ধি করেছে সরকার। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের আওতায় পরিচালিত সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর (স্কিমের ধরন অনুযায়ী) মুনাফার হার বেড়ে হতে যাচ্ছে ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত মঙ্গলবার বর্ধিত হার নির্ধারণের আদেশ জারি করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (আইআরডি) অনুরোধ করেছে। অর্থ বিভাগের তৈরি এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুনাফার এ হার ১২ দশমিক ২৫ থেকে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ বর্ধিত হারের কারণে কোনো সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ১২ শতাংশের কম হবে না। সবচেয়ে কম মুনাফা (১২.২৫ শতাংশ) পাওয়া যাবে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের বিপরীতে। সবচেয়ে বেশি মুনাফা (১২.৫৫ শতাংশ) পাওয়া যাবে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে। সুদহার পরিবর্তনের সাথে বিনিয়োগকারীদের ধাপেও পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে পাঠানো চিঠিতে। এর আগে ১৫ লাখ টাকা, ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি, এই তিন ধাপ ছিল সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। প্রতিটি ধাপে আলাদা মুনাফার হার উল্লেখ ছিল। তবে নতুন নিয়মে দু’টি ধাপের কথা বলা হয়েছে। একটি ধাপে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারীরা। আর অপর ধাপে এর ওপরের বিনিয়োগকারীরা থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement