৮ দশকের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি পাল্টাতে পারেন ট্রাম্প
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪২
যুক্তরাষ্ট্রে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমালোচকরা মাঝে মধ্যে হাস্যকর ও বিচ্ছিন্নতাবাদে বিশ্বাসী বলে অভিযুক্ত করেন। তবে আজ দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার আগেই ইতোমধ্যে তিনি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে এসব অভিযোগ তার তুলনায় সামন্যই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ কেমন হতে চলেছে তার কিছুটা ইঙ্গিত এরই মধ্যে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সহযোগিতা ও আর্কটিকে অবস্থিত খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ গ্রিনল্যান্ড দখলে নেয়ার আকাক্সক্ষা। ফলে তার দ্বিতীয় মেয়াদ যে আগেরবারের চেয়ে আরো জটিল হতে চলেছে তাই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র যে পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে তাও পরিবর্তন করতে পারেন তিনি।
কয়েক দশক ধরেই মার্কিন নেতারা যুক্তি দিয়ে আসছেন তাদের ক্ষমতার উৎস হলো বিশ্বকে অনেক বেশি স্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য ডিফেন্ডার হওয়ার দায়িত্ববোধ ও গণতন্ত্রের প্রতি যতœবান হওয়া। ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই মূল্যবোধ খাদে ফেলে দেবেন এবং ক্ষমতাকে ব্যবহার-কেন্দ্রীভূতে বেশি মনোযোগ দেবেন। তিনটি সঙ্ঘাতে তার দৃষ্টিভঙ্গি পরীক্ষিত ও সংজ্ঞায়িত হবে। সেগুলো হলো মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেন ও চীনের সাথে আমেরিকার স্নায়ুযুদ্ধ।
ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিরা গাজা নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। কারণ এক্ষেত্রে একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন তারা এটি করতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। চুক্তি যাতে দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছায় সে জন্য তিনি চাপ অব্যাহত রাখবেন।
মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্যদের চেয়ে আলাদা। প্রথম মেয়াদে তিনি আব্রাহাম চুক্তিতে অবদান রেখেছিলেন। জিম্মি চুক্তি ব্যবহার করে তিনি ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তিতে অগ্রসর হতে পারেন। যেটাকে তিনি অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করেন। গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় বিপর্যস্ত হয়েছে ইরানের মিত্ররা। এ ক্ষেত্রেও চুক্তি আসতে পারে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ ভ্লাদিমির পুতিনের চেয়ে আমেরিকার মিত্রদের ওপর তার বেশি লিভারেজ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তার সহজ উপায় হতে পারে কিয়েভকে ছাড় ও সহায়তা বন্ধ করে দেয়া।
ক্ষমতার আশাবাদী ব্যবহারের কিছুটা সুবিধা রয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিরক্ষায় ট্রাম্প ন্যাটো সদস্যদের অব্যাহত চাপ দিয়ে যাবেন, যা ভালো দিক। তবে এর নেতিবাচক দিকও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ন্যাটো ওয়াক আউট, বাণিজ্য নিয়ে বিবাদ, বিদ্রোহী জাতীয় রক্ষণশীল দলগুলোকে সমর্থন ও গ্রিনল্যান্ডের ইস্যু ব্যবহার করতে পারে। আমেরিকার মতো আফগানিস্তানে ডেনমার্কও সেনা হারিয়েছে। গ্রিনল্যান্ডের সাথে বিবাদের কারণে আমেরিকা তাদের কাছে হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
সর্বজনীন মূল্যবোধ থেকে সরে এলে স্বৈরাচারীরা সুযোগ নেবে। ট্রাম্পের কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও পানামা ইস্যুতেও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আসতে পারে। কারণ বিষয়টি রাশিয়ার জর্জিয়া দখলের লোভ ও দক্ষিণ চীন সাগরকে চীনের দাবির মতো হয়ে যায়। তা ছাড়া ট্রাম্প যদি জাতিসঙ্ঘের মতো প্রতিষ্ঠানকে আঘাত করতে থাকেন তাহলে চীন ও রাশিয়া সেখানে আধিপত্য বিস্তার করবে। দেশ দু’টি এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবে।
ট্রাম্প প্রশাসনে যেসব ব্যক্তি স্থান পেয়েছেন তাতে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও বিশৃঙ্খলা ছড়াবে। ট্রাম্প নিজের স্বার্থকে দেশের থেকে আলাদা করতে অনুপযুক্ত, বিশেষ করে যদি তিনি ও সহযোগীরা অর্থঝুঁকিতে থাকেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা