১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

সাজা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আপিলের রায় আজ

-


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ তিনজনের আপিলের শুনানি শেষে আজ বুধবার রায়ের দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মো: মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ। কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও মোহাম্মদ অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে শুনানি করে আইনজীবী মো: আসিফ হাসান।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, এই মামলায় নিম্ন আদালত দিয়েছিল পাঁচ বছর আর হাইকোর্ট সেই সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করে। কোনো এভিডেন্স ছাড়া, কোনো রেকর্ড এবং কোনো তথ্য-প্রমাণ ছিল না নি¤œ আদালতের রায়ে। তারপরও এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হাইকোর্টে বিচারের নামে অবিচার হয়েছে।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিক স্কিমের অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেআইনিভাবে পাঁচ বছর সাজা দেয়া হয়। এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কোনো অভিযোগ নেই, কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। এ মামলার নথিতে উনার কোনো যোগসূত্র নেই। তিনি আরো বলেন, হাইকোর্ট অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তাকে এ সাজা দিয়েছে। অথচ ফৌজদারি মামলায় অনুমানের ভিত্তিতে সাজা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমের সময় এটা ফরমায়েশি রায় ছিল। তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আপিল বিভাগে বেগম খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন।
দুদকের আইনজীবী মো: আসিফ হাসান বলেন, এখানে কোনো আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি। তিনি বলেন, শুনানিতে আমরা ফ্যাক্ট তুলে ধরেছি। ল’পয়েন্টে বক্তব্য দিয়েছি। এখন আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর এ মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা পৃথক দু’টি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একই সাথে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো: আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসাথে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
পরে একই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। ওই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার শেষ মুহূর্তে বিক্ষোভের মুখে বাইডেন, ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে স্লোগান পারিশ্রমিক নিয়ে টালবাহানা, রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কট গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে : কাতার গলাচিপায় ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা ফ্যাসিবাদ ঠেকানোর দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে : দুদু জামায়াত আমিরের সাথে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ আনিসুল-দীপু মনি-পলকসহ নতুন মামলায় ৯ জন গ্রেফতার ঘণ্টা চুক্তি ভাড়া নিয়ে কিশোর রিকশাচালককে হত্যা : গ্রেফতার ২ সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা মারবার্গ ভাইরাসে তানজানিয়ায় ৮ জনের মৃত্যু

সকল