আলেমদের ওপর নির্যাতনকারী ফ্যাসিস্ট সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দকে গুম-খুন করেছে। এজন্য নির্যাতনকারী ফ্যাসিস্ট সরকার শেষ পর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
গতকাল কুয়েতের রওদায় জমিয়াতুল ইসলাহ মিলনায়তনে কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দ্বিবার্ষিক সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডা: শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের মানুষের উপর সব ধরনের অত্যাচার নির্যাতন করেছে। বিশেষ করে ইসলামপন্থীদের প্রতি তাদের রোষানল ছিল সবচেয়ে বেশি। দেশের শীর্ষ ইসলামী নেতাদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। আলেমদের ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে নির্যাতন করেছে। রিমান্ডের নামে অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে। এ ছাড়াও হাজার হাজার মানুষকে গুম-খুন করেছে। মামলা দিয়ে লাখ লাখ মানুষকে হয়রানি-বাড়িছাড়া করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। ব্যাংক লুটপাট করে আর্থিক খাত ধ্বংস করেছে। দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করে দেশকে দখলদার শক্তির হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত করেছিল হাসিনা সরকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। এজন্য বহু মানুষকে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। দুই হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। কারো চোখ নেই, কারো হাত-পা নেই। হাসপাতালে তাদের দেখতে গেলেও চোখে পানি চলে আসে। আন্দোলনের সময় প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ সময় প্রবাসীরাও আন্দোলনে সমর্থন করেছেন। এজন্য অনেক দেশে তাদের জেলেও যেতে হয়েছে। অনেককে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আর এখন প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখছেন। তারা আমাদের জাতীয় বীর। তাদের আমরা ভোটাধিকার প্রদানের দাবি জানিয়েছি। কারণ অনেক দেশেই প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেয়া হয়। তাদের রেমিট্যান্স আমরা নেবো, আর তাদের ভোটার করব না তাতো হতে পারে না। তিনি কুয়েত প্রবাসীদের সে দেশের নিয়ম কানুন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কুয়েতের স্বার্থবিরোধী, নৈতিকতা বিবর্জিত ও আমাদের দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজে জড়িত থাকা যাবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা