কৃষক ঠকিয়ে মোটাতাজা বালাইনাশক ব্যবসায়ীরা
- কাওসার আজম
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২১
বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনে ক্রমশ বাড়ছে কৃষি রাসায়নিক বা বালাইনাশকের ব্যবহার। ৫ দশকের ব্যবধানে কৃষিতে অত্যাবশ্যক ব্যবহার্য বালাইনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ১০ গুণেরও বেশি। ফলে বড় হচ্ছে বালাইনাশকের বাজারও, প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। এটি সরকারি সূত্রের তথ্য। কিন্তু, অসমর্থিত সূত্রের খবর বলছে, বালাইনাশকের বাজার আরো বড়, প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। যার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসাই করছে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। বৃহৎ এ বালাইনাশক বাজার স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমদানি নির্ভরই রয়ে গেছে। অথচ একই দেশের ওষুধ শিল্প স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বিশ্বের বহু দেশেই এখন ওষুধ রফতানি করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাংলাদেশের কীটনাশক বা বালাইনাশক মার্কেট প্রায় ৭০ শতাংশই দখলে রেখেছে সিনজেনটা, বায়ার ক্রপসহ বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি। অভিযোগ রয়েছে, দেশের বালাইনাশক আইন, রুলস এমনভাবে তৈরি করা আছে যাতে করে এসব বহুজাতিক কোম্পানির একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে।
সিন্ডিকেটে ঠকছে কৃষক : ধানের বাদামি গাছ ফড়িং, সবজির ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা, জাব পোকা, সাদা মাছি ও বিভিন্ন ধরনের শোষক পোকা দমনের কাজে ব্যবহার করা হয় ‘মানিক ২০ এসপি’ নামের একটি বালাইনাশক। বিদেশ থেকে প্রতিকেজি বাংলাদেশী মুদ্রায় এটি কেনা হচ্ছে ৬৯৬ টাকায়। আমদানি ব্যয়, পরিবহন, প্যাকিং খরচ, অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন, বাজারজাত সব মিলে প্রতিটি পণ্যে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ খরচ হয়। সে হিসাবে ৬৯৬ টাকার পণ্যে সর্বোচ্চ ২৪৪ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে। আর লাভ ১২ শতাংশ হিসাবে ১১২ টাকা। সবমিলিয়ে এ পণ্যটি কৃষককের কাছে ১ হাজার ১৫৬ টাকায় বিক্রি করা উচিত। কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে ৩ হাজার ২৪০ টাকায়।
একইভাবে ১৪৪ টাকায় প্যারাকুয়েট কিনে বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকায়, ১ হাজার ২০ টাকায় কারটাপ নামের বালাইনাশক কিনে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪শ টাকায়। ম্যানকোজেব মেটাল এক্সিল প্রতিকেজি ৪৩৮ টাকায় কিনে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০ টাকায়। এতো গেল মিমপেক্স এগ্রোকেমিক্যালস লিমিটেড নামের একটি মাত্র দেশীয় কোম্পানির বালাইনাশক ব্যবসায় পকেট কাটার ধরন। কোম্পানিটির কর্ণধার এম সাইদুজ্জামান সম্প্রতি নয়া দিগন্তকে জানান, এটা শুধু আমার কোম্পানি নয়, যারা অভিযোগ করছে তারাও করছে। কিভাবে তিন-চার গুণ করে কৃষককের কাছ থেকে এভাবে বেশি নেয়া হচ্ছে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বালাইনাশক আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্রপ প্রটেকশন এসোসিয়েশনের এ সভাপতি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানির চেয়ে এভাবে তিন-চারগুণ বেশি দামে বিক্রি করছে অধিকাংশ বালাইনাশক আমদানিকারক। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে দ্রব্যমূল্যের বাজারে। আর কৃষককে ঠকিয়ে পেট মোটা করছেন আমদানিকারক/ব্যবসায়ীরা।
সূূত্র বলছে, বর্তমানে দেশে মাত্র ২২টি কোম্পানি কাঁচামাল (সক্রিয় উপাদান) আমদানি করে বালাইনাশক উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে। এর বিপরীতে প্রায় ৭শ’টি কোম্পানি ফিনিশড প্রোডাক্ট আমদানি করে সরাসরি বা পুনরায় প্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাজারজাত করছে। অর্থাৎ বালাইনাশকে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের অবদান ১০ শতাংশেরও কম।
কৃষকের স্বার্থবিরোধী কাজ করছে পিটাক!
পেস্টিসাইড টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি কমিটি (পিটাক)। পেস্টিসাইড সংশ্লিষ্ট সব নীতি নির্ধারণ করে থাকে এ কমিটি। যার সভাপতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান। সদস্যসচিব হিসেবে থাকেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক। কমিটিতে ব্যবসায়ী কমিউনিটির প্রতিনিধি বাংলাদেশ ক্রপ প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন। এর বাইরে বিভিন্ন নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও এ কমিটির সদস্য। তবে, বরাবরই মুখ্য ভূমিকায় থাকে বিএআরসি চেয়ারম্যান, ডিএইর উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক এবং বাংলাদেশ ক্রপ প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। নিয়ম অনুযায়ী এ পিটাক কমিটি সুপারিশ দেয়ার কথা কৃষি মন্ত্রণালয়কে। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে পিটাক কমিটি সুপারিশের পরিবর্তে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় বলে জানা যায়। বিশেষ করে বিএআরসির সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং তার স্ত্রী সাবেক কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার দম্পতির একচেটিয়া অবস্থানের কারণে পিটাক তাদের একক সিদ্ধান্তেই পরিচালিত হতো বলে মনে করেন ব্যবসায়ীদের একটি অংশ। পিটাক কমিটি বিগত সময়ে কৃষকের স্বার্থ না দেখে নিজেদের স্বার্থেই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। বিএআরসি, ডিএই এবং বাংলাদেশ ক্রপ প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের কথিত সিন্ডিকেটের কারণেই কৃষকরা ঠকছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন। অভিযোগ উঠেছে, একটি মহল পিটাকে আমদানি নীতি ও কৌশল নির্ধারণেও প্রভাব রেখেছেন। যারা আবার আমদানিকারক ও বহুজাতিক কোম্পানির সুবিধামতো নীতি তৈরিতে সহযোগিতা করেন।
আইন ও বিধি অমান্য, সিন্ডিকেট : পেস্টিসাইড টেকনিক্যাল কমিটি মূলত কৃষি মন্ত্রণালয় বিধিমালা অনুযায়ী এ সমস্ত সুপারিশ কার্যকরী করার কথা। কিন্তু তারা এগুলোকে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই নিজেদের মতো করে কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছে না। অভিযোগ রয়েছে, পিটাকের ৬৬তম সভায় কিছু দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানি নিজেদের স্বার্থে কিছু শর্ত পরিবর্তন করে নেয়। যেমন বহুজাতিক কোম্পানি যাদের ক্রয়ের সোর্স ছিল সুইজারলান্ড, ফ্রান্স বা জার্মানি- সেই সমস্ত উন্নত দেশের সোর্সকে তারা নমুনার রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে ৬৮তম পিটাক পর্যন্ত সময়ে তারা তাদের সোর্স পরিবর্তন করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং চীন করে নিয়ে আসছে। যেখানে তাদের মূল্য সুবিধা এ সমস্ত দেশ থেকে তারা মালামাল ক্রয় করতে পারছে। ৬৮তম পিটাকে তাদের নিজেদের সুবিধা মতো সোর্স পরিবর্তন করার পরেই তারা ৬৯তম পিটাকে আর্ন্তজাতিক কোম্পানিগুলো এবং দেশীয় কোম্পানি তাদের সবিধার জন্য তারা এ সোর্সগুলোকে আর পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে নানারকম বাধানিষেধ প্রদান করে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্র্রথমত, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সোর্সের ক্ষেত্রে তাদের কোনো বিধিবিধান দ্বারা তাদেরকে নিয়ন্ত্রিত করার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। তারা শুধুমাত্র কান্ট্রি অব অরিজিনের একটি সার্টিফিকেট দিয়ে যেকোনো দেশ থেকে তাদের মালামাল ক্রয় করতে পারে। পেস্টিসাইড টেকনিক্যাল কমিনিটিতে তারা এটা সুপারিশ করে। অন্য দিকে, উৎপাদনকারী কাঁচামাল আমদানি করে দেশে উৎপাদন করবেন যারা, সে সমস্ত কোম্পানির জন্য কঠিন কঠিন শর্ত আরোপ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ৬৯,৭৭ ও ৮৪ তম পিটা সভায় তারা দেশে যেন বালাইনাশক উৎপাদন হতে না পারে সে সমস্ত কঠিন শর্ত আরোপ করে।
কারো কথা শোনে না পিটাক : ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বালাইনাশক বিধিমালায় সোর্স উন্মুক্ত বা ৫টি সংযোজনের বিষয়ে মতামত দিয়ে বিএআরসির চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেয়। সেখানে বলা হয়, গুণগত মানসম্পন্ন বালাইনাশক প্রতিযোগিতামূলক বাজারমূল্যে কৃষকের নিকট সরবরাহ নিশ্চিত করতে একাধিক সোর্সের নাম/সোর্স বৃদ্ধি করা যুক্তিসঙ্গত। তা ছাড়া দুই বছর সময়সীমার শর্তও হ্রাস করা যেতে পারে। সোর্স পরিবর্তনের যে বিধান রাখা আছে তাতে কেমিক্যালের ভৌত ও রাসায়নিক গুণাগুণ একই থাকলে ল্যাব টেস্টের পর মাঠ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তাও থাকে বলে মনে হয় না। তবে প্রতিটি শিপমেন্টের মালামাল হতে সারের অনুরূপ নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া সমীচীন।
চিঠিতে আরো বলা হয়, কীটনাশক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে কৃষি মন্ত্রণালয় হতে প্রত্যয়নপত্র সংশ্লিষ্ট কমিশনার অব কাস্টমস বরাবরে দাখিল করতে হয়। বিদ্যমান এ বিধানের সহজীকরণ করে মন্ত্রণালয়ের এ দায়িত্ব কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ওপর ন্যস্ত করা যায়।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, দেশীয় বালাইনাশক ম্যানুফ্যাকচারার্স কর্তৃক উৎপাদিত বালাইনাশকসমূহ স্থানীয় বাজারে বিক্রয়ের বিধিবিধান নাই। বর্তমানে ২২টি দেশীয় কোম্পানি প্রয়োজনীয় পরিমাণ কাঁচামাল আমদানি করে বালাইনাশক ফরমুলেশন করে থাকে। এদের কেউ কেউ অনিয়মিত। উৎপাদিত বালাইনাশক বিক্রির বিষয়ে আইন ও বিধিমালার কোন বিধিনিষেধ নাই। পেটেন্ট প্রযোজ্য না হওয়া সত্ত্বেও আইন বিরোধীভাবে বাধ্যবাধকতা আরোপ করার বিষয়ে ডিএইর সংশ্লিষ্ট উইং জানায়, মূল উপাদানের প্রস্তুতকারক/সোর্স কোম্পানির অথারাইজেশনসাপেক্ষে যেকোনো কোম্পানিকে বালাইনাশক নিবন্ধন দেয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধিমালায় কোন বিধিনিষেধ নাই। বালাইনাশক কারিগরী উপদেষ্টা কমিটিতে পিটাক বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যালস্ ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের (বামা) প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মতামত দেয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এ মতামতের পর কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপকরণ-২ শাখা থেকে পিটাক সভাপতি ও সদস্যসচিবকে গত ২১ ডিসেম্বর চিঠি দেয়া হয়। এতে বলা হয় কাঁচামাল ও সহযোগী উপাদান আমদানির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দেশীয় বালাইনাশক উৎপাদনকারীদের জন্য সোর্স উন্মুক্ত করণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর আগে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকেও মতামত নেয়া হয়। এতে বলা হয়, উৎপাদক বা প্রস্তুতকারকের নিকট হতে বালাইনাশক আমদানির একক উৎস নীতি বিদ্যমান থাকলে, সঠিক মূল্য ও গুণগত মান যাচাই সাপেক্ষে আমদানি করার সুযোগ থাকবে না। এ ক্ষেত্রে বালাইনাশক রেজিস্ট্রেশন সনদে রেজিস্টার্ড বালাইনাশকের উৎপাদনকারী সোর্স, প্রস্তুতকারী উন্মুক্ত কিংবা ন্যূনতম ৫টি উৎস কোম্পানির নাম সংযোজন করা যেতে পারে। যাতে একক উৎস কোম্পানির প্রস্তাবিত মূল্য এবং মানের একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ বন্ধ হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার মূল্যের মাধ্যমে গুণগতমান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বালাইনাশক কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে বালাইনাশক কারিগরী উপদেষ্টা কমিটি (পিটাক) কর্তৃক একক উৎস নীতি বা সিঙেল কান্ট্রি সোর্স থেকে আমদানিকরণ বাধ্যতামূলক রাখা বা সিঙেল কান্ট্রি সোর্স উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল মান্যুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন (বামা)।
গত ২৮ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ আবেদনের বিষয়ে কৃষি সচিবকে চিঠি দেয়। এতে বলা হয়, ‘...বিধান অনুযায়ী সর্বাপক্ষো প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য আমদানির বিষয়টি অনুসরণের জন্য আবেদনটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে প্রেরণ করা হলো।’ এসব বিষয়ে বামা সভাপতি কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাই যেখানে উন্মুক্ত সোর্সের কথা বলেছে, সেখানে পিটাক কিভাবে একক সিদ্ধান্তে এটা আটকে রাখতে পারে? এ বিষয়ে আর আমার কী-ই বা বক্তব্য থাকতে পারে?
আইন হলেও ৬ বছরেও বিধি হয়নি
দীর্ঘসূত্রতার পর ২০১৮ সালে বালাইনাশক আইন হলেও বিভিন্ন পক্ষের ঠেলাঠেলিতে অর্ধযুগ ধরে এটি আটকে আছে বিধিপ্রণয়নের কাজ। এখানেও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো প্রভাব বলয় তৈরি করছে বলে বিভিন্ন সূত্রের খবর।
এসব বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) আহমেদ ফয়সল ইমাম বলেন, সিঙেল সোর্সের বিষয়ে গত নভেম্বরে পিটাকের কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখনো জবাব পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পিটাক সভাপতি ও বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিমকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা