আজ থেকে কয়েকদিন থাকবে টানা শীত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৭
আজ মঙ্গলবার থেকে কয়েকদিন টানা শীত পড়তে পারে। আবারো বাংলাদেশের কিছু অঞ্চল শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়তে পারে। সেই সাথে আবারো মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কুয়াশা এত ঘন হতে পারে যে, বিমানসহ অন্যান্য যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। আবহাওয়া দফতর বলছে, কয়েকদিন টানা আবারো ঘন কুয়াশা আসতে পারে। কুয়াশায় সূর্য ঢেকে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে দেখা দেবে অস্বস্তি।
অন্য দিকে আজ মঙ্গলবার দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় জেলাগুলোতে একটু বেশিই বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র বৃষ্টি না হলে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। বৃষ্টির কারণে আজ দিনের বেলা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে যেতে পারে। অন্য দিকে কুয়াশা থাকলে সূর্যের আলো পেতেও দেরি হতে পারে। ফলে তাপমাত্রা যাই হ্রাস পাক, শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। এই শীতে কেন বৃষ্টি হবে এই প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়াবিদ বজলুর রহমান বলেন, পশ্চিমা ও পূবালী বায়ুর সংমিশ্রণে এই বৃষ্টি হতে পারে। এই দুই বিপরীত দিকের বায়ুতে কিছু জলীয় বাষ্প থাকে। আজকে বাংলাদেশের কিছু কিছু অঞ্চলে পশ্চিমা ও পূবালী বায়ু মিশে যেতে এবং বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়ার আগামী তিন দিনের পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টি হওয়া ছাড়াও আজ দিনের বেলা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমলেও গত সোমবার দিবাগত রাতের তাপমাত্রা সামান্যই কমার ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। অন্য দিকে কাল বুধবারে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। বৃষ্টির কারণে কুয়াশার পরিমাণ কমে যেতে পারে। মঙ্গরবার রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে; কিন্তু দিনের বেলা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে যেতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশেই মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সে কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। বুধবার রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। এরপর আরো একদিন রাতের তাপমাত্রা আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গতকাল সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অন্যতম শীতল স্থান তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ মঙ্গলবার উপমহাদেশের উচ্চ চাপ বলয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বিস্তৃত থাকবে। এর ফলে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকবে।
বায়ুদূষণে বিশ্বকে টপকালো ঢাকা : বায়ুদূষণে বিশ্বকে টপকালো ঢাকা। বিশ্বের ১২৩ নগরীর মধ্যে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে গতকাল সকালে বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষে ছিল ঢাকা। সকাল ৮টায় আইকিউএয়ার মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ২৫২। যা ছিল ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। সেই সতর্কবার্তায় নগরবাসীর উদ্দেশে আইকিউএয়ারের পরামর্শ, বাইরে বেরোলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরার কথা বলা হয়েছে।
গতকাল বিশ্বে বায়ুদূষণে ২৪৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। এরপর ভিয়েতনামের হ্যানয়ের স্কোর ২৩২।
অন্য দিকে দেশের অন্য বিভাগীয় শহরের মধ্যে চট্টগ্রামের বায়ুর মান ১০৪, রাজশাহীতে ১৭৪ আর খুলনায় ১৭৬। আশপাশের তিনটি সর্বোচ্চ দূষিত এলাকার মধ্যে আছে, গুলশান-২-এর রব ভবন (৩৪১), ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এলাকা (৩৩৪) ও ইস্টার্ন হাউজিং (২৯৪)।
এর আগে রোববার সকালে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ৪৫২। পরে তা আরো বেড়েছিল। বায়ুর মান ৩০০-এর বেশি হলেই তাকে দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করা হয়। গতকাল ঢাকার সবচেয়ে দূষিত ১০টি স্থানের প্রতিটির মানই ছিল দুর্যোগপূর্ণ। এর মধ্যে গুলশানের দু’টি স্থানে স্কোর ছিল ৭০০-এর ওপরে।
গত ডিসেম্বর মাসের একটি দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বর মাসে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ।
যদি কোনো অঞ্চলে পরপর তিন দিন তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বাই রোমান ৩০০-এর বেশি থাকে বা দুর্যোগপূর্ণ থাকে, তবে সেই অঞ্চলে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা দরকার বলে মনে করেন পরিবেশবিদেরা।
ক্যাপসের গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে বায়ুর গড় মান ছিল ২৮৮। ২০১৬ থেকে এত খারাপ কখনোই হয়নি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বায়ুর মান ছিল ১৯৫। গত ৯ বছরে ডিসেম্বর মাসে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ২১৯ দশমিক ৫৪। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই মান ৩১ ভাগের বেশি বেড়েছে। আর ২০২৩ সালের চেয়ে বেড়েছে ২৬ ভাগের বেশি।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। গতকাল ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ৩৩ গুণ বেশি ছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা