০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৪ মামলা বাতিলের রায় বহাল -

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তারেক রহমানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, রাগিব রউফ চৌধুরী ও মো: মাকসুদ উল্লাহ।

শুনানিতে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তারেক রহমানকে এ মামলায় শ্যোন এরেস্ট করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। টর্চার করা হয়েছে। ব্রুটালি টর্চার (নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন) করা হয়েছে। মাজার (কোমর) হাড় গুঁড়ো করে ফেলেছে। এটা কখেনো রিপেয়ার হবে না। অথচ মামলাগুলোতে তার নামই ছিল না।
আপিল বিভাগের আদেশের পর ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, এ মামলার এফআইআর-এ তারেক রহমানের নাম ছিল না। রাজনৈতিকভাবে তারেক রহমান ও বিএনপিকে বিতর্কিত করার জন্য এসব মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্ট মামলাগুলো স্টে করে রুল জারি করেন। গত কয়েক মাস আগে রুল শুনানি করি। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ মামলাগুলো বাতিল করে দেন। বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। দুই পক্ষে শুনানি শেষে আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে হাইকোর্ট মামলাগুলো যে বাতিল করেছিলেন, সেই বাতিলের রায় বহাল থাকল।
তিনি আরো বলেন, মামলাগুলোতে বলা হলো, চাঁদা দাবি করা হয়েছে। কিন্তু কে করেছে সেটা নেই। টাকাগুলো কোথায় গিয়েছে সে হদিসটাও নেই। এ সব মামলায় তারেক রহমানকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছিল। আমিন আহমেদের মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিলো। সে মামলায় তারেক রহমানকে উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে টর্চার করা হয়। এই টর্চারের কারণে তাকে লন্ডনে চিকিৎসা নিতে হয়। এমন নির্যাতন করা হয়েছিল, তাকে দীর্ঘদিন বিছানায় থাকতে হয়।

আইনজীবীরা জানান, একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।
আরেকটি কোম্পানির কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ মে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।
২০০৭ সালের ৮ মার্চ ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভূঁঁইয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দ্রুতবিচার আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।
ঠিকাদার মীর জাহির হোসেন ধানমন্ডি থানায় ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল একটি মামলা করেন। ওই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমান সে-সময় হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (চূড়ান্ত) ঘোষণা করে ২৩ অক্টোবর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। পরে এ চার মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।


আরো সংবাদ



premium cement
অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজ জুনের মধ্যে শেষ করার আহ্বান উপদেষ্টা ফারুকীর রাবি ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি মোস্তাকুর, সেক্রেটারি মুজাহিদ মুন্সীগঞ্জে সেতু থেকে লাফ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বৃত্তির তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি আল আমিন শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে অবৈধ ইসরাইলিদের ফিলিস্তিন ত্যাগ করতে হবে : ইয়েমেন কিশোরগঞ্জে উন্নত পদ্ধতিতে ইট উৎপাদন বিষয়ে মতবিনিময় কুয়কাটায় শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী ‘পর্যটন মেলা’ প্লাস্টিকের বোতল স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি করছে স্ত্রীসহ সাবেক এমপি শিখরের নামে দুদকের দুই মামলা খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা : ফিরোজার সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়

সকল