হাইকোর্টে দ্রুত মামলার শুনানি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে মায়ের আবেদন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সেনাবাহিনীর মেজর (অব:) সিনহা মো: রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল দ্রুত শুনানির উদ্যোগ গ্রহণ করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আবেদন করেছেন তার মা নাসিমা আক্তার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এ আবেদন করেন। পরে মামলাটি দ্রুত শুনানির আশ্বাস দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান।
মেজর সিনহার মা নাসিমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে ছিল প্রাণের উৎস। সে যখনই সুযোগ পেয়েছে শুধু মানুষের কল্যাণে এগিয়ে গেছে। যেসব নরপিশাচরা আমার ছেলেকে হত্যা করে আমার বুক খালি করেছে, তাদের আমি কোনো দিন ক্ষমা করব না, পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে তো বিচার দিয়েই রেখেছি। আমার একমাত্র প্রত্যাশা যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, সেসব হত্যাকারী মানুষ নামধারী নরকের কীটদের যেন দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। আমি আশায় বুক বেঁধে আছি, সেই দিনের জন্য যেদিন এদের ফাঁসি হবে, আমার মনটা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। তিনি বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এই বিচারের রায় কার্যকর হবে এবং এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে মানুষের জন্য। যাতে আর কেউ এভাবে মায়ের বুক খালি করার মতো দুঃসাহস দেখাবে না।
এর আগে ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে নিহত হন সিনহা মো: রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় দু’টি এবং রামু থানায় একটি মামলা করে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং মাদক আইনে এসব মামলা করা হয়। টেকনাফ থানায় দায়ের করা দুই মামলায় নিহত সিনহার সঙ্গী সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আসামি করা হয়। আর রামু থানায় মাদক আইনে করা মামলায় আসামি করা হয় সিনহার অপর সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে। পরে নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ২০২০ সালের ৫ আগস্ট বাদি হয়ে কক্সবাজার আদালতে টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান করে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে বাকিদের খালাস দেন বিচারিক আদালত। একই বছরের বছর ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার যাবতীয় নথিসহ ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। আর বিচারিক আদালতের রায়ের দুই সপ্তাহের মাথায় খালাসের পাশাপাশি রায় বাতিল ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন প্রদীপ-লিয়াকত। পরে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া দণ্ডিতরাও আপিল করেন। এখন পর্যন্ত এ মামলাটি পেপারবুক শাখায় আছে বলে ওসি প্রদীপের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্ত জানিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা