০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১, ৩ রজব ১৪৪৬
`

নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছেন তারেক রহমান : নয়া দিগন্ত -

বিভ্রান্ত না হয়ে জনগণকে নির্বাচনের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান।
গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত স্বচ্ছ জনগণ কোন রাজনৈতিক দলকে গ্রহণ করবে কিংবা বর্জন করবে নির্বাচনের মাধ্যমে সেই রায় দেবে জনগণের আদালত। তবে যারা জনগণের আদালতের রায়ের মুখোমুখি হতে ভয় পায় কিংবা যাদের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে তারাই নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে নানারকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি আহ্বান, আপনারা ধৈর্য হারাবেন না, নির্বাচনের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে থাকুন। নির্বাচন কমিশন তাদের অর্পিত দায়িত্ব যথারীতি পালন করবে সেই বিশ্বাস রাখুন।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনারা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। বরং সতর্ক থাকবেন। নিজেরা এমন কোনো কাজে সম্পৃক্ত হবেন না যাতে কেউ অপপ্রচারের সুযোগ পায়। নিজেদেরকে জনগণের আস্থায় রাখুন। জনগণের আস্থায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।
কোনো হঠাকারী সিদ্ধান্ত নয় : তারেক রহমান বলেন, আমাদের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে, কোনো হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে যাতে গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বিনষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। এ ব্যাপারে ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
মনে রাখা দরকার লোভ বা লাভের উর্ধ্বে উঠে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ করে ছাত্র-তরুণদের ভূমিকা অপরিসীম।
সংস্কার কর্মসূচি প্রসঙ্গে : তারেক রহমান বলেন, কোনো কোনো মহল থেকে সংস্কার নাকি নির্বাচন এই ধরনের জিজ্ঞাসাকে বিএনপি তথা দেশপ্রেমিক সকল মানুষ, সকল রাজনৈতিক দল শ্রেফ অসৎউদ্দেশ্যপ্রণোদিত কুট তর্ক বলেই বিবেচনা করে। বরং আমাদের দল বিএনপি মনে করে রাষ্ট্র, রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলের গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন। বিদ্যমান ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করতে সংস্কার একটি অনিবার্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। একইভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টেকসই এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর পন্থা। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ ভোটের অধিকার প্রয়োগের যে সুযোগটি পায় সেটি রাষ্ট্র-জনগণের রাজনীতির ক্ষমতা নিশ্চিত করে।
বিএনপি মনে করে রাষ্ট্রে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা না গেলে গণতন্ত্র, মানবাধিকার কিংবা পূঁথিগত সংস্কার শেষ পর্যন্ত কোনো কিছুই টেকসই হয় না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, সংস্কার কার্যক্রম অবশ্যই প্রয়োজন। এই কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়তো তাদের দৃষ্টিতে অনেক বড় বড় সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তবে এসব কর্মসূচির আড়ালে জনগণের নিত্যদিনের দুদর্শা উপেক্ষিত থাকলে জনগণ হয়তো ক্ষোভে সরকারের সংস্কার দাবি নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠেছে পলাতক স্বৈরাচারের আমলে সৃষ্ট বাজার সিন্ডিকেট ভেফু দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার ভেতর আনতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট আমলে দায়ের করা লাখ লাখ মামলায় এখনো কেন প্রতিদিন মানুষকে আদালতের বারান্দায় ছোটাছুটি করতে হচ্ছে।
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিএনপি বারবার যে কথাটির ওপরে জোর দিতে চায় সেটি হলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সংস্কার কিংবা গৃহীত পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার নির্ধারণে ব্যর্থতার পরিচয় দিতে চাইলে ষড়যন্ত্রকারীর ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট বিনষ্ট করার সুযোগ নেবে। এরই মধ্যে তারা একাধিকবার অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টা চালিয়েছে। হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা দেশে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি দেখতে চায় না। এই কারণে জনগণের পক্ষের রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এই সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
গণতান্ত্রিক উদ্যোগকে বিএনপি স্বাগত জানায় : তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র, রাজনীতি, সরকার প্রচলিত বিধি ব্যবস্থা সংস্কার করে আরা উন্নত বিধি ব্যবস্থার পক্ষে ছাত্র-তরুণরা অবস্থান নেবে। সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে দেশের তরুণ জনশক্তি ভূমিকা রাখবে এটাই স্বাভাবিক এটাই তারুণ্যের ধর্ম।
দেশে প্রয়োজনে আরো নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটবে এটাই গণতান্ত্রিক রীতি এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রয়োজনে বিএনপি সব গণতান্ত্রিক উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। বিএনপি তার জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত সব পরিস্থিতিতে সবসময়ে বহুদল ও মতের চর্চার পক্ষে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই আলোচনা সভা হয়। মিলনায়তন ছাড়াও ইনস্টিটিউশনের বাইরেও প্যান্ডেল টানানো হয় এবং বড় পর্দার স্ক্রিন স্থাপন করা হয়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেন।
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে সংগঠনের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী শেরেবাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ছাত্রদলকে লেখাপড়া করতে হবে : প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, তোমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে শিক্ষার্থীরা জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে প্রধান হাতিয়ার। রাষ্ট্র ও রাজনীতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। তবে শিক্ষার্থী হিসেবে তোমাদের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হতে হবে লেখাপড়া, লেখাপড়া এবং লেখাপড়া।
লেখাপড়ার পাশাপাশি তোমরা নিজেদেরকে জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত রাখো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেকে একজন আদর্শ শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হও। শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবক আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখা জরুরি আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশ। সুতরাং শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ করা না গেলে নিশ্চিতভাবে হয়তো আবারো পথ হারাবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।
আবারো ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের যে অবস্থা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে, এই সঙ্কট একমাত্র সমাধান হতে পারে একটা সফল নির্বাচনের মাধ্যমে, এটা ইতিহাসেও প্রমাণিত। আমরা সেই কথা বারবার বলে আসছি।
আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে সেই চক্রান্তের ধারা শুরু হয়েছে। যেটা অতীতে হয়েছে বহুবার। যার ফলে আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হারিয়েছি, যারই ফলে আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ৬ বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে, যার ফলে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবকে বিদেশে থাকতে হচ্ছে। এই চক্রান্ত আবার শুরু হয়েছে কি করে সত্যিকারভাবে যারা বাংলাদেশে বিশ্বাসী, যারা জোর গলায় বলতে পারে সবার আগে বাংলাদেশ, সেই দলকে সেই দলের নেতাকে আজকে তারা দূরে সরিয়ে রাখতে চায়।
আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, অতিদ্রুত একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশের মানুষকে এই সঙ্কট থেকে মুক্ত করতে হবে, বাংলাদেশের মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোরালোভাবে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের মধ্যে শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, আমান উল্লাহ আমান, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, রাকিবুল ইসলাম বকুল, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আকরামুল হাসান, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, রাশেদ ইকবাল খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের গণেশ চন্দ্র রায় সাহস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আন্দোলনের মালিকানা হাইজ্যাকের চেষ্টা করবেন না : চট্টগ্রামে আমীর খসরু
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, একটি মহল আন্দোলন হাইজ্যাক করে নিয়ে যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আন্দোলনে পাওয়ার, নতুন নতুন বয়ান শোনা যাচ্ছে। আন্দোলন হাইজ্যাক করে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। বয়ান দেয়ার আগে একটু চিন্তা করে দেখবেন। আমরা এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না। এ আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আন্দোলন। তিনি গতকাল বিকেলে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেটস্থ বিপ্লব উদ্যানের পাশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের র‌্যালি পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শোভাযাত্রা নিয়ে দুই নম্বর গেট থেকে শুরু করে জিইসি মোড় হয়ে ওয়াসা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি একা এই আন্দোলন করেনি। সমস্ত মানুষ মিলে আমরা আন্দোলন করে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছি। আন্দোলন ও আন্দোলনের মালিকানা কেউ নেয়ার চেষ্টা করবেন না। মালিকানার হিসাব যদি করতে হয়, আমরা (বিএনপি) যেই হিসাব দিব আপনারা লজ্জা পাবেন।
রংপুরে ছাত্রদলের শোভাযাত্রা
মান্নান রংপুর ব্যুরো জানায়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রংপুর মহানগরীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে মহানগর ও জেলা ছাত্রদল।
গতকাল বিকেলে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা সদস্যসচিব আফতাবুজ্জামান সুজন। নগরীর জীবন বীমা মোড়, প্রেস ক্লাব, পায়রা চত্বর, নগর ভবন, টাউন হলে ঘুরে আবার দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। অন্য দিকে রংপুর জেলা স্কুল মাঠ থেকে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নওয়াজ জোহার নেতৃত্বে আরেক শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ ছাড়াও মহানগর ছাত্রদলও নগরীতে বের করে আনন্দ শোভাযাত্রা।


আরো সংবাদ



premium cement