০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১, ৩ রজব ১৪৪৬
`

দিল্লির সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় ঢাকা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

-

ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি দিল্লির সাথে ঢাকা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রশ্ন ছিল, শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে নোট ভারবাল (কূটনৈতিক পত্র) দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। হাসিনাকে ফেরত না পাঠানো হলে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে কি না?
জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি মনে করি দুটোই পাশাপাশি চলবে। শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো হলো একটি ইস্যু। আমাদের দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আরো অনেক ইস্যু রয়েছে। আমরা সেগুলো নিয়ে পাশাপাশি আগাবো।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠাতে সম্প্রতি ভারতের কাছে কূটনৈতিক পত্র পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। গত জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তা তামিল করতে পদক্ষেপ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফিরিয়ে দিতে দিল্লিকে কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে ঢাকা। ভারতের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রফিকুল আলম।
বাংলাদেশের সামনে কোন ধরনের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা সব দেশের বিষয়ে মনোনিবেশ করবো। আমরা আমাদের প্রতিবেশীর সাথে ভালো সম্পর্ক চাই। যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও ভালো সম্পর্ক চাই, চীনের সাথেও ভালো সম্পর্ক চাই। প্রতিটি দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থ রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যাদের কথা বললাম, ভালো সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদেরও স্বার্থ নিহিত আছে। নতুন বছরে এ বিষয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। চলতি বছর শেষে আমরা আরো অনেক নিশ্চিত করে বলতে পারবো যে আমাদের প্রতিবেশী এবং অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক ভালো হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, রাখাইন পরিস্থিতি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ এখানে গ্রাউন্ড রিয়েলিটি পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার সাথে ফেরত পাঠানো। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে তারা ফেরত যাবে না।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসঙ্ঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংস্থা এখনো রিপোর্ট জমা দেয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এখনো সব রিপোর্ট আসেনি। তবে আসার পথে আছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমরা অবস্থান জানাতে পারবো এবং তারা তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারবে।


আরো সংবাদ



premium cement