০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১, ৩ রজব ১৪৪৬
`

২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক দৃশ্যপট

-


মানব সভ্যতার বয়সে যুক্ত হলো আরেকটি বছর। শেষ হলো ২০২৪ সাল। বছরটিকে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিল যুদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উত্তেজনা বেড়ে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বেড়েছে। এ বছর এ অঞ্চলে চারটি যুদ্ধে লিপ্ত থেকেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন অব্যাহত রেখেই ইরান, ইয়েমেন ও লেবাননের সাথেও সঙ্ঘাতে লিপ্ত হয়েছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল। সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের ঝড়ো আক্রমণের মুখে পতন হয়েছে বাশার আল-আসাদের দীর্ঘদিনের শাসনের। মিয়ানমারে যুদ্ধ পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেছে। দু’বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের যুদ্ধে এ বছরও শান্তির আশা সুদূর পরাহত থেকেছে। এতসব সঙ্ঘাতের মধ্যেও এ বছর নির্বাচনী ডামাডোল ছিল বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রিটেনে দীর্ঘ টোরি শাসনের অবসানে ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টির সরকার। ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা উল্লেখ করা হলো। তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, আলজাজিরা, সিএনএন ও অন্যান্য।

গাজা যুদ্ধের এক বছর : ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলার জেরে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসন ২০২৪ এর পুরোটা জুড়ে চলেছে। জানুয়ারির শুরুর দিকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩০০০, কিন্তু জুলাইয়ের শেষ দিকে এ সংখ্যাটি ৪০০০০ ছুঁই ছুঁই ছিল। আর বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের শেষ দিকে তা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। জাতিসঙ্ঘের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক আর তাদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। ফেব্রুয়ারিতে রাফায় স্থল অভিযান শুরুর পর গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই উদ্বাস্তুতে পরিণত হন। আর পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে প্রায় দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ বছরে হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ার, মোহাম্মদ দেইফ, সালেহ আল-আরৌরি, মারওয়ান ঈসাসহ অধিকাংশ শীর্ষ নেতাকে হত্যা করে ইসরাইল। নিহত হয় শতাধিক ইসরাইলি সেনাও। জাতিসঙ্ঘসহ আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়লেও গাজায় আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু : ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি। জানা যায়, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সাথে আরস নদীর উপরে একটি বাঁধ উদ্বোধন করার কথা ছিল রাইসির। সেই কর্মসূচিই ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনে। একটি পার্বত্য অঞ্চল পেরিয়ে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তর-পশ্চিম ইরানের একটি পাহাড়ে আছড়ে পড়ে।
হানিয়া হত্যা : ইবরাহিম রাইসির আকস্মিক মৃত্যুর পর নির্বাচন হয় ইরানে। ৬ জুলাই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি পরাজিত করেন সাইদ জালিলিকে। পেজেশকিয়ানের শপথগ্রহণে গিয়েই গুপ্তঘাতকের হাতে তেহরানে মৃত্যু হয় হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার। শেষ পর্যন্ত এই খুনের দায় স্বীকার ইসরাইলর।

হিজবুল্লাহ ইসরাইল যুদ্ধ : ১৯ সেপ্টেম্বর পেজার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে লেবানন। দেশটির প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সদস্যসহ প্রাণ যায় অন্তত ৫০০ জনের। আহতের সংখ্যা চার হাজার পেরিয়ে যায়। এই ঘটনার পরদিন থেকেই লেবাননে হামলা শুরু করে ইসরাইল। ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরাইলি হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। কয়েক দিনের মধ্যেই তার উত্তরসূরি হাশিম সাফিউদ্দিনকেও হত্যা করে তেল আবিব।
ইয়াহিয়া সিনওয়ার হত্যা : ১৮ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করে ইসরাইল। দক্ষিণ গাজায় এক অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানায় ইসরাইলি বাহিনী। ইরানের রাজধানী তেহরানে গত জুলাইয়ে ইসরাইলের হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এরপর সিনওয়ারকে হামাসের প্রধান করা হয়।

ইরান-ইসরাইল সঙ্ঘাত : ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। প্রাণ হারান অন্তত ১৩ জন। মৃতদের মধ্যে ছিলেন তিন ইরানি সেনাকর্তাও। এই হামলার পিছনে ইসরাইলকে দায়ী করে তেহরান। লাগাতার সতর্কবার্তার পর ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে একের পর এক মিসাইল ছুড়তে শুরু করে ইরান। সব মিলিয়ে ৩০০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। ১৯ এপ্রিল দেশটিতে পালটা হামলা চালায় ইসরাইল।
ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন : ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় যুক্তরাষ্ট্রে। শুরুতে ৮২ বছরের জো বাইডেনকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু পরে ভোটের লড়াই থেকে সরে যান বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে শামিল হন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা যায় কমলাকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচন জিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটান তিনি।
বাশার আল আসাদের পতন : ২৭ নভেম্বর সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। বিদ্রোহী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এর নেতৃত্বে আলেপ্পো দখল করে নেয়ার ঘোষণা করে বিদ্রোহীরা। তারপর একে একে দারা, হোমসের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করার পর ৮ ডিসেম্বর রাজধানী দামেস্কে পৌঁছয় বিদ্রোহীরা। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীকে পিছু হঠতে বাধ্য করে তারা। পতন ঘটে আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের।

গৃহযুদ্ধে উত্তাল মিয়ানমার : ২০২১ সালে সামরিক ক্যুয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলে নেয় দেশটির জান্তা বাহিনী। এরপর থেকে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। তবে সাম্প্রতিক সময় সংঘর্ষের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। ডিসেম্বরেই দেশটির রাখাইন রাজ্যের উত্তর সীমান্ত এলাকা পুরোপুরি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে দেশটিতে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। জান্তার দখলে ৫০ শতাংশেরও কম এলাকা।
ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ে রুশ সেনারা। দুই প্রাক্তন সোভিয়েত সদস্যভুক্ত দেশের মধ্যে শুরু হয় প্রবল যুদ্ধ। কিন্তু এখনো কিয়েভ দখল করতে পারেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। লড়াইয়ে কয়েক হাজার সেনা ও বিপুল অস্ত্র খুইয়েছে মস্কো। দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করে ভাঁড়ারে টান পড়েছে ইউক্রেনেরও। কিন্তু থামেনি সঙ্ঘাত। এভাবেই যুদ্ধের দু’বছর পূর্ণ করেছে দু’পক্ষ। একের একের বিপুল অঙ্কের সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করে বন্ধু কিয়েভের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটেনে লেবার পার্টির জয়- ব্রিটেনে : ৪ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পায় কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি। এতে দেশটিতে টানা ১৪ বছর ধরে চলা টোরি শাসনের অবসান হয়। নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে মধ্য বামপন্থী দল লেবার পার্টি সরকার গঠন করে।

ফ্রান্সের নির্বাচন : ওই দিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম নেতৃস্থানীয় দেশ ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফলে কট্টর ডানপন্থীদের হতাশ করে জয় পায় বামপন্থীরা। এর আগে জুনের প্রথমদিকে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফ্রান্সে ডানপন্থীদের জয়ের পর হতাশ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ দেশে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের ডাক দেন। ইইউয়ের নির্বাচনে ডানপন্থীদের জোয়ারে মাক্রোঁর মধ্যপন্থী দল খারাপ ফল করায় তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর জন্যও একটি ধাক্কা হয়ে আসে, কারণ মাক্রোঁর মধ্যপন্থী এনসেম্বল জোট নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। সবাইকে অবাক করে শীর্ষস্থান দখল করে বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি)। তবে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) তৃতীয় হয়। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট তিনটি বড় জোট-বামপন্থী, মধ্যপন্থী ও ডানপন্থীর মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ম্যাক্রোঁর নিয়োগ করার তিন মাসের মাথায় প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের সরকারের পতন হয় ঝুলন্ত পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে। কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতা অবসানের চেষ্টায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মধ্যপন্থী নেতা ফ্রাঁসোয়া বায়রুর নাম ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ।

ভারত ও পাকিস্তানে নির্বাচন : ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাত দফায় ভারতের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে লোকসভায় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টির চেয়ে বেশি আসন (২৯৩টি) পেলেও মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আর আগের দুইবারের মতো (২০১৪ ও ২০১৯) একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, এবার তারা পায় ২৪০টি আসন। এ নির্বাচনে কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়ার পুনরুত্থান ঘটে, তারা জয়ী হয় ২৩৪টি আসনে। ভারতের মনিপুর রাজ্যে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে বছরজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করে আর বিভিন্ন সংঘর্ষে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

৩০ জানুয়ারি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করার দায়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ইমরানের নেতৃত্বাধীন নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) সদস্যরা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পান। কিন্তু দল নিষিদ্ধ থাকায় তারা সরকার গঠন করতে পারেননি। সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগের মধ্যেই পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) নওয়াজ শরিফ জয় দাবি করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি পিএমএল-এন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং মিত্র অন্য দলগুলো মিলে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। শাহবাজ শরিফ দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। মার্চে আসিফ আলি জারদারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে : এ বছরের আরেক উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক হাওয়া বদলের ঘটনা ঘটে শ্রীলঙ্কায়। সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি করে জয়ী হন বামপন্থী প্রার্থী অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই দিশানায়েকে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ডাক দেন। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকের ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এদিকে মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) বিশাল জয় পায়। দেশটির ৯৩ আসনের পার্লামেন্টে পিএনসির প্রার্থীরা দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে জয়ী হয়। নির্বাচনের এই ফল ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটিকে দীর্ঘ দিনের মিত্র ভারত থেকে দূরে সরিয়ে চীনের আরো ঘনিষ্ঠ করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
অ্যাসাঞ্জের মুক্তি : মার্কিন ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ আইন লঙ্ঘনের দায় স্বীকার করে নেয়ার চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সাথে আপস রফায় পৌঁছানোর পর ২৩ জুন যুক্তরাজ্যের একটি উচ্চ নিরাপত্তার কারাগার থেকে মুক্তি পান উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এর মাধ্যমে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ বহু বছর পর মুক্ত জীবনে ফেরেন। পাঁচ বছর ধরে ব্রিটেনের বেলমার্শ কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
হাসিনাকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে যা বলল ভারত অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ কারওয়ান বাজার এলাকার শীর্ষ চাঁদাবাজ রাসেল জমাদ্দার গ্রেফতার ঢাকার হ্যাটট্রিক হার, খুলনার দ্বিতীয় জয় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর’ প্রতিবেদন খতমে নবুওয়ত না মানলে ঈমান থাকবে না : মুফতি সাইফুল ইসলাম শেষ নবীর খোঁজে জনকল্যাণমূলক সরকার গঠনে দেশ উপকৃত হবে : জামায়াত আমির রাঙ্গামাটির বন্দুকভাঙ্গা রেঞ্জে ইউপিডিএফের ২ ক্যাম্পের সন্ধান খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার লাদাখের ভূখণ্ড নিয়ে ২ নতুন প্রদেশ চীনের, তীব্র প্রতিবাদ ভারতের

সকল