ইয়েমেনে ইসরাইলি হামলা উদ্বেগজনক : জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব

লোহিত সাগরের অন্যতম বন্দর এবং ইয়েমেনের রাজধানী সানা বিমানবন্দরে ইসরাইলি বিমান হামলা ‘উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেই সাথে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এ হামলা মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের জন্য গুরুতর ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। আর এটি হচ্ছে এমন একসময়ে, যখন লাখ লাখ মানুষ জীবন রক্ষার সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।
এক বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ইয়েমেনি সশস্ত্রবাহিনী (ওয়াইএএফ) ও ইসরাইলের মধ্যে শত্রুতা বৃদ্ধি এবং সানা বিমানবন্দরে হামলাকে ‘বিশেষভাবে উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র জানান, সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, লোহিত সাগরের বন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ইসরাইলের বিমান হামলা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক।

এ দিন সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ইয়েমেনের অন্যান্য স্থানে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এই আগ্রাসনে ছয়জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আদানোম গেব্রেয়েসুস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি ওই হামলার সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। জাতিসঙ্ঘের মতে, এ হামলায় তাদের এক বিমানকর্মী আহত হয়েছেন এবং মোট তিনজন নিহত এবং ডজনখানেক আহত হয়েছেন। গুতেরেস বলেন, পরিবহন অবকাঠামোতে ইসরাইলি হামলা ইয়েমেনে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে গুরুতর প্রভাব ফেলছে। যেখানে ৮০ শতাংশ জনগণ এই মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র বলেন, মহাসচিব এ অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনার ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করতে এবং সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইয়েমেনের প্রতিক্রিয়া
এ দিকে ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় আনসারুল্লাহর রাজনৈতিক ব্যুরো জানায়, তারা ‘উত্তেজনার প্রতিক্রিয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত’ এবং যেকোনো মূল্যে নিজেদের রক্ষা করবে। এক বিবৃতিতে থইয়েমেনি গোষ্ঠীটি বলেছে, এ ধরনের হামলা ইয়েমেনি জনগণকে গাজার প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন থেকে বিরত রাখতে পারবে না।