চীন কেবল কৌশলগত অংশীদারই নয়, বন্ধুও : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১১
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবেলায় চীনের সাথে কাজ করবে বাংলাদেশ। চীন কেবল কৌশলগত অংশীদারই নয়, বাংলাদেশের বন্ধুও বটে।
গতকাল রাজধানীর নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ) আয়োজিত ‘চীন-দক্ষিণ এশিয়া সভ্যতা এবং কানেক্টিভিটি : ইতিহাস ও সমসাময়িক বিষয়’ শীর্ষক দুই দিনব্যপী এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন। চায়না-সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর সোসিও কালচারাল স্টাডিজ (সিএসসিএসএস), এনএসইউ এবং চীনের ইউনান ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে। এনএসইউর ভিসি অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ প্রয়োজন। এ সংযোগের জন্য সবচেয়ে কার্যকর রুটটি মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে গেছে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মিয়ানমার প্রত্যাশা করছি; যাতে আমাদের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য এই সংযোগ স্থাপন করা যায়। এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাস এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য সহায়ক হবে। আমরা একই সাথে অধিকার ও নিরাপত্তার সাথে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন চাই।
২০১৬ সালে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে জোরদার করেছে উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ওই সময় আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত করা হয়। চলতি বছর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে উন্নীত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে এই নতুন অংশীদারত্ব আস্থা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ থেকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বাণিজ্য, শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে অবদান রেখে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির যাত্রাপথে চীন অবিচল অংশীদার। সেতু এবং শিল্প পার্ক থেকে শুরু করে মানবসম্পদ উন্নয়নে বৃত্তি এবং প্রশিক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত। বাংলাদেশের আকাক্সক্ষা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে চীনের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন সব সময় বাংলাদেশের পাশে ছিল। কোভিড কিংবা জুলাই আন্দোলনেও চীনা কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। সব প্রকল্প সময় মতো শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সাথে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এই অঞ্চলের সাথে একযোগে কাজ করতে চায় চীন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা