বিএসএফের বাধা উপেক্ষা করে মুহুরী নদীতে সেচপাম্প চালু
- ছাগলনাইয়া-পরশুরাম (ফেনী) সংবাদদাতা
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০১
ভারতীয় বিএসএফের সব কথা আমাদের শোনতে হবে কেন? আমাদের দেশের মাটিতে আগে থেকেই ওই জমিতে সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি তুলে কৃষকরা চাষাবাদ করে আসছেন। তাদের বাধা দেয়ার সুযোগ নেই, আমরা তাদের বাধা শোনারও অবকাশ নেই। বিএসএফের বাধা উপেক্ষা করে ২৪ ঘণ্টার মাথায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে মুহুরী নদীতে সেচ পাম্প চালু ও সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্তের সাথে কথাগুলো বলছিলেন বিজিবি-৪ ফেনীর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। মুহুরী নদীতে সেচ পাম্প বসানোর খবরে স্থানীয় বাংলাদেশীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অন্যদিকে বিজিবির ভূমিকায় খুশিও স্থানীয় কৃষকরা।
জানা গেছে, অর্ধশতাব্দী ধরে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার নিজকালিকাপুর সীমান্তে মুহুরী নদীতে সেচ পাম্প বসিয়ে কয়েক শ’ একর জমিতে স্থানীয় কৃষকরা শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ করে আসছেন। চলতি মৌসুমে কয়েকদিন চেষ্টা করেও ভারতীয় বিএসএফের বাধার কারণে নদীতে সেচ পাম্প বসাতে পারেনি বাংলাদেশী কৃষকরা। বিএসএফের বাধার কারণে বাংলাদেশী কৃষকদের ফসলি জমি অনাবাধি থাকার আশঙ্কার মধ্যে এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিজিবি-৪ ফেনীর কমান্ডিং অফিসার মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএসএফের সাথে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশী (কৃষক সমিতি) নিজকালিকাপুর আদর্শ জনকল্যাণ সমিতির সদস্যরা স্কিম চালু করতে সেচ পাম্প বসাতে গেলে আবারো ভারতীয় বিএসএফের পক্ষ থেকে বাধা দেয় হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মো: শাহাজানের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যদের সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে বিএসএফ বাধা প্রদান থেকে বিরত হয়। বাংলাদেশী কৃষকরা মুহুরী নদী থেকে সেচ পাম্প দিয়ে পানি তোলা শুরু করেছেন বলে গতকাল বিকেল ৫টায় সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিজিবির-৪ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোশারফ হোসেন ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা