২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সচিবালয়ে নাশকতার আগুন!

সচিবালয়ের ভেতরে দুই ভবনে লাগা আগুন থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ার কুণ্ডলী : নয়া দিগন্ত -

- মধ্য রাতে লাগা ভয়াবহ আগুন ৬ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে
- নাহিদ ও আসিফের মন্ত্রণালয় টার্গেট
- নেপথ্যের রহস্য উদঘাটনে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি
- ট্রাক চাপায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু
- প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে ৪ স্থানে আগুন নাশকতার লক্ষণ

বড়দিন উপলক্ষে সরকারি বন্ধের দিনে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এই অগ্নিকাণ্ড কোনো দুর্র্ঘটনা নয়, নাশকতা। বুধবার মধ্যরাতে লাগা ভয়াবহ আগুন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। আগুনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও আসবাবপত্র পুড়ে গেলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার সময় ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকচাপায় নিহত হন। তার নাম সোয়ানুজ্জামান। গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়।
ফায়ার সার্ভিস সংশ্লিষ্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ছয়তলা থেকে নয়তলার পৃথক চারটি স্থানে আগুন লাগে। এর মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ডাক টেলিযোগাযোগ, স্থানীয় সরকার এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র আগুনে পুড়ে যায়। এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
সচিবালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আগুনের ঘটনায় বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের নেয়া সড়কের মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, সরকারি বিভিন্ন নথিপত্র, ভবনের ফ্যান, এসি থেকে শুরু করে প্রায় সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনেকে এ আগুনকে রহস্যজনক এবং পূর্বপরিকল্পিত ও নাশকতামূলক হতে পারে বলে মনে করছেন। বিশেষ করে সরকারি অফিস বন্ধের দিনে কিভাবে ভবনের একাধিক স্থানে আগুনের ঘটনাটি ঘটল তা নিয়ে জনমনেও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গতকাল টক অব দ্য কান্ট্রি ছিল সচিবালয়ের এ অগ্নিকাণ্ড।

আগুনের ঘটনাটি স্রেফ দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত নাশকতা, সেই রহস্য উদঘাটনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল ভোর থেকে সরেজমিন দেখা যায়, সচিবালয় প্রধানগেটসহ আশপাশের পুরো এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। এ সময় সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের কাউকে ঢোকার অনুমতি দেয়া হচ্ছিল না। পরে তাদেরকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ৫ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়। তবে আগুন লাগার পর বিকেল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো সংবাদকর্মীকে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
দুপুরে ৫ নম্বর গেট দিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতে চাইলে সাংবাদিকদের বাধা দেন কর্তব্যরত পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মামুন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ওপর থেকে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে না দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা স্যার এসে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। এরপর তিনি আগুন লাগার ঘটনার হালকা বিবরণ দিয়ে বলেন, আমি সচিবালয় এলাকাতেই ছিলাম। তবে ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের কাছে শুনেছি, ৭ নম্বর ভবনের যেখানে আগুন লেগেছে ওই ভবনের প্রতিটি কলাপসিবল গেট ঘটনার সময় বন্ধ ছিল। আর যখন আগুন লেগেছিল, তখন ছিল মধ্যরাত। শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে আবার না-ও হতে পারে। প্রতিটি ভবনের বিভিন্ন তলায় স্যারদের রুম সাজানোর জন্য দামি কাঠের আসবাবপত্র এনে রাখা ছিল। এর ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

দুপুরের পরে দেখা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থান পরিদর্শন করছেন। অনেকে ছবি তুলছেন। ভবনের বাইরে থেকে দেখা গেছে, ৭ নম্বর ভবনের পূর্ব পাশের জানালার কিছু অংশ (৬ থেকে ৯ তলা) পুড়ে গেছে। একইভাবে উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব দক্ষিণ দিকের ৬ থেকে ৯ তলার একাংশে আগুন লাগার চিহ্ন রয়েছে। একটি আগুনের ঘটনায় বিচ্ছিন্নভাবে কয়েক জায়গায় আগুন লাগার চিহ্ন দেখে অনেকেই নানা মন্তব্য করছিলেন। কেউ বলছিলেন, এই আগুন এমনিতে লাগেনি। এটি লাগানো হয়েছে। এটি পরিকল্পিত স্যাবোটাজ।
গতকাল একজন সচিব, যুগ্মসচিবসহ কয়েকজন কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা যতটুকু খবর পাচ্ছি, তাতে মনে হয়েছে এ ঘটনাটি পূর্র্বপরিকল্পিত। বলতে পারেন এটি স্যাবোটাজ। আর স্যাবোটাজ হবে না কেন? এখনো সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আস্থাভাজন সচিব, অতিরিক্ত সচিব, উপসচিব ও কর্মচারীরা বহাল তবিয়তে আছেন। তারা জানেন, কোন নথি কোথায় আছে। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আমাদের জানা মতে, এমন একজন অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন যিনি আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তাকেও এনে এই মন্ত্রণালয়ে বসানো হয়েছে।

৭ নম্বর ভবনের পাশের একটি রেস্টুরেন্টের একাধিক কর্মচারী আগুন লাগার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গতকাল দুপুরে নয়া দিগন্তকে বলেন, রাত ১২টার দিকে আমরা বাইরে থেকে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করি। খাওয়া-দাওয়া শেষে সবাই ঘুমাতে যাই। রাত দেড়টার দিকে সচিবালয়ের পূর্ব দিকের ওয়াচ টাওয়ার থেকে জনৈক পুলিশ আগুন আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। আমরা তখনই ঘুম থেকে উঠে পড়ি। এরপর দেখি তিনি প্রধান গেটের দায়িত্বশীলদের আগুনের কথা বলছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি গাড়ি। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের বড় বড় কোনো গাড়িই ভেতরে ঢুকতে পারছিল না। তবে ছোট গাড়িগুলো দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। তারা বলেন, আগুন প্রথমে লাগে ৭ নম্বর ভবনের লিফটের সামনের দিকে। এরপর লাগে পূর্ব পাশের মানে আমাদের ছাদের উপরের অংশে। এরপর দেখি আগুন আবার পূর্ব পাশে লাগে। পরে আবার দেখি বিল্ডিংয়ের শেষ (পশ্চিম) দিকে আগুন। আবার এক জায়গায় আগুন দেখি লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই নিভে যেতে। এ ব্যাপারে তারা বলেন, আগুন লাগলে তো একটানা সব জায়গায় লাগবে। এভাবে জায়গায় জায়গায় লাগবে কেন? এর কারণ তো আমরাও বুঝতে পারছি না। এ ঘটনার পর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আমাদের সবার নাম-ঠিকানা ও ছবি তুলে নিয়ে গেছে। আর বলে গেছে, যখন ডাকা হবে তখন হাজির হতে হবে। তারা বলেন, আগুনে একটি কুকুরও পুড়ে মরেছে।
সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬তলায় আগুন লেগে তা উপরে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬তলায় বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। ১টা ৫২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। ১টা ৫৪ মিনিট থেকে তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনি আরো বলেন, ‘কী হয়েছে, তা আমরা দেখব। পুরোটা সার্চ করার পরে কিছু পাওয়া যায় কি না আমরা জানাব।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, পানির সংযোগ দেয়ার জন্য পাইপ নিয়ে সচিবালয়ের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় সোয়ানুজ্জামান নয়ন নামের একজন ফায়ার ফাইটার দ্রুতগামী ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন। আহতও হয়েছেন একজন। তিনি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো: খোদা বখস চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে জানান পরিচালক (জনসংযোগ) কর্মকর্তা ফয়সল হাসান।
ফয়সল হাসান নয়া দিগন্তকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নিহত নয়নের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আরো পাঁচ লাখ টাকা দেয়ার কথা জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এর মধ্যে ১০টি ইউনিট সরাসরি কাজ করেছে। ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়িগুলো ভেতরে ঢোকানো যাচ্ছিল না। দু’টি গাড়ি ঢোকানোর সময় গেটও ভেঙে যায়। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের ২১১ জন সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা : ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক নিরাপত্তাকর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাত ১টা ৪০-এর দিকে ওয়াশরুম ব্যবহারের জন্য সচিবালয়ের ১ নং গেটে আসেন পুলিশ সদস্য রামেশ^র উরাং। ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে রাত ১টা ৪০ থেকে ৪৫-এর দিকে তিনি টাওয়ারে ফেরত আসার সময় উপরের দিকে দৃষ্টি দিলে ৭ নং ভবনের পশ্চিম দিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম তলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। তখন তিনি আগুন লেগেছে বলে চিৎকার করলে সচিবালয়ে রাত্রিকালীন ডিউটিরত পুলিশ সদস্য লিটন এবং সাজ্জাদুল ইসলাম ৭ নং ভবনের পশ্চিম দিকে ছুটে আসেন। তখন ১ নং গেটে ডিউটিরত ডিএমপি-এপিবিএনসহ অনেক পুলিশ সদস্য চলে আসেন।
ঘটনাস্থলে রামেশ^র উরাং সচিবালয়ের তালাচাবির দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য সোকানুর ইসলামকে জানান। তিনি ১টা ৫৮ মিনিটে ঘটনাস্থলে এসে ৭ নং ভবনের নিচতলার মাঝখানের সিঁড়ির কলাপসিবল গেটের তালা খুলে দেন। এরপরে ৭ নং ভবনের পশ্চিম পাশের নিচতলার পূর্বপাশের কলাপসিবল গেটের তালা খুলে দেন এবং উভয় পাশের্^র কলাপসিবল গেট ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা কেটে ফেলেন।
পরিদর্শনে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ তলার মোট ৪৭টি কক্ষের মধ্যে ৪৫টি কক্ষ আংশিক ও ২টি কক্ষ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৭ম তলার ৪৫টি কক্ষের মধ্যে ৪১টি আংশিক এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৮ম তলার মোট ৫৩টি কক্ষের মধ্যে ৪৩টি আংশিক ও ১০টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৯ম তলার মোট ৪৪টি কক্ষের মধ্যে ৪৩টি আংশিক ও ১টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ ভবনের ৬ তলায় যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ৭ তলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ, ৮ তলায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ৯ তলায় রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন নতুন কমিটি গঠন : দিনে ঘোষিত তদন্ত কমিটি বাদ দিয়ে রাতে নতুন কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দেয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সচিবালয়ে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে আগে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সরকার। সেই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আহ্বায়ক ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালককে সদস্যসচিব করে গতকাল রাতে আট সদস্যের এ কমিটি গঠনের তথ্য এক আদেশে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অপর সদস্যরা হলেন- পুলিশ মহাপরিদর্শক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক তানভীর মনজুর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রাসেল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: ইয়াছির আরাফাত খান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: ইয়াসির আরাফাত খান।
তদন্তের প্রয়োজনে এ কমিটি এক বা একাধিক সদস্য (কো-অপ্ট) নিতে পারবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে হবে কমিটিকে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ উদ্ঘাটন, অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারো ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কি না সেটি উদ্ঘাটন এবং এমন ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ করবে এ কমিটি। সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়েও সুপারিশ দেবে তারা।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এর আগে দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করেছে সরকার।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ জেলে হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বার্তাকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে অবকাঠামোয় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল গাজায় সচল শেষ হাসপাতালটিতে আগুন দিলো ইসরাইলি বাহিনী সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সাথে চলবে : প্রধান উপদেষ্টা হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই আমরা ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন চাই ছুটিতে যারা ভেতরে ছিলেন তাদের দিকেই সন্দেহের তীর নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজ দখলদার থাকবে না ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোতে ঢোকার অপচেষ্টা আওয়ামী নেতাকর্মীদের বিমানে স্বর্ণ পাচার রোধে কঠোর হচ্ছে কাস্টমস গোয়েন্দা

সকল