মানবিক দেশ গড়ায় চিকিৎসকদের সামনে থেকে পথ দেখাতে হবে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০১
সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় চিকিৎসক সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার মাধ্যমে জাতিকে পথ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের একার পক্ষে হয়তো মানবিক দেশ গড়া সম্ভব নয়, তবে তাদেরকে সামনে থেকে পথ দেখাতে হবে। আমরা যে কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ দেখতে চাই, সেটি গড়তে চিকিৎসকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। এ জন্য স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আরো বেশি মানবিক হতে হবে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) আয়োজিত জাতীয় চিকিৎসক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির এসব কথা বলেন। এনডিএফের সভাপতি অধ্যাপক ডা: মো: নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। এনডিএফের চিকিৎসক সমাবেশে সারা দেশ থেকে ছয় হাজার চিকিৎসক যোগদান করেন।
সম্মেলনে বিপুলসংখ্যক নারীচিকিৎসকও অংশগ্রহণ করেন। এনডিএফের চিকিৎসক সম্মেলনটি পরিচালনা করেন এনডিএফের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা: মাহমুদ হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন এনডিএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা: এন এ কামরুল আহসান, এনডিএফের সিনিয়র সহসভাপতি ডা: এ কে এম ওয়ালীউল্লাহ, এনডিএফের বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি ডা: মো: আতিয়ার রহমান, ডা: এম জি ফারুকসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ। সকাল ৮.৪৫টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয়সঙ্গীত বাজানোর মাধ্যমে যথাসময়ে এনডিএফের চিকিৎসক সম্মেলন শুরু হয়। প্রতিটি পর্যায়ে পূর্বপরিকল্পনা থাকায় বিপুলসংখ্যক চিকিৎসক উপস্থিত হলেও সুশৃঙ্খলভাবে সম্মেলনটি শুরু এবং শেষ হয়।
জাতীয় চিকিৎসক সম্মেলনে আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান বলেন, কাক্সিক্ষত দেশ গড়ার কাজে অন্যদের চেয়ে চিকিৎসকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহকে পাওয়া সহজ, এর মাধ্যমেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে এনডিএফের মাধ্যমে স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিবর্তন আসবে এটা আমার বিশ্বাস।
জামায়াত আমির বলেন, আমাদের স্মার্ট সার্ভিস উপহার দিতে হবে। সেবাপ্রত্যাশীদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনার-আমার আজকের এ অবস্থানে আসার পেছনে শুধু বাবার টাকাই নয়, খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষেরও টাকা রয়েছে। রাষ্ট্রের ট্যাক্সের টাকা ধনী-গরিব সব একসাথে রাখা হয়, প্রতিটি অবকাঠামোর ইট-পাথরে খেটে খাওয়া মানুষের ঘাম লেগে আছে। এজন্য একটা মানবিক দেশ গড়তে চাই আমরা। যেখানে পথ দেখাতে হবে চিকিৎসকদের।
ডা: শফিকুর রহমান বলেন, চিকিৎসকদের জ্ঞানের রাজ্যে শ্রেষ্ঠ হতে হবে, এজন্য বেশি বেশি পড়াশোনা ও কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে। এই চিকিৎসকদের মধ্য থেকেই আবার কিছু মানুষকে গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। দুর্ভাগ্যক্রমে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় না। কিন্তু চিকিৎসাসেবায় গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য একদল মানুষকে গবেষণায় নিজেকে কোরবানি দেয়ারও আহ্বান জানান জামায়াত আমির।
ডা: শফিকুর রহমান বলেন, দেশের চিকিৎসা এগিয়ে গেলেও ওষুধের কাঁচামালে এখনো আমদানিনির্ভর। এক্ষেত্রে সরকারকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে অধিকার চাইতে হয় না, এমনিতেই পেয়ে যায়। একটা সময় মুসলমানরা শিক্ষা, চিকিৎসা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে শীর্ষে থাকলেও এখন তারা পেছনের সারিতে, এই অবস্থা কত দিন চলবে?
তিনি বলেন, সব কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে, মানুষের কল্যাণে। আর মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে তার ইবাদত ও পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য। মানুষকে শুধু খাওয়া-পরার জন্য নয়, অনেক সম্মান দিয়ে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। জামায়াত আমির আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোসহ সবার মধ্যে, সব স্থানের বৈষম্য দূর করতে হবে। চিকিৎসকদের প্রতি দেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, তা পূরণে কাজ করার আহবান জানান তিনি। সেইসাথে চিকিৎসকদের নিজেদের মেধার সর্বোচ্চ দিয়ে, বিগত সরকারের ধসে যাওয়া চিকিৎসাব্যবস্থাকে নতুন করে গড়ে তোলারও আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, আল্লাহ অন্য সবাইকে সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য আর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পরস্পরকে সেবা দেয়ার জন্য।
এনডিএফের সম্মেলনে ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, চিকিৎসকদের পক্ষে কথা বলার জন্য বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জন্ম; কিন্তু গত ১৫ বছরে এই সংগঠনটি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন নয়; বরং বাংলাদেশ মরা অ্যাসোসিয়েশনে পরিণত হয়েছে। পেশাগত উন্নয়নে গত ১৫ বছরে বিএমএ’র কোনো ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, এনডিএফকে দেশের সব চিকিৎসকের আস্থা অর্জন করতে হবে। তাদের জন্য এনডিএফকে লড়াই করতে হবে। তিনি বলেন, আপনাদের সবাইকে যোগ্য চিকিৎসক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে যেন যেকোনো একজন চিকিৎসক স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতে পারেন। আবার একই সাথে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিবও চিকিৎসকদের মধ্যে থেকে হতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। একটি বৈষম্যহীন চিকিৎসক সমাজ গড়ে তুলতে এনডিএফের চিকিৎসকদের সবার আগে থাকতে হবে।
ডা: আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, বাংলাদেশে চিকিৎসকরা বৈষম্যের শিকার। স্কুল-কলেজে চিকিৎসকরা ছিলেন সবচেয়ে মেধাবী; কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে তারা অন্যান্য ক্যাডারের পেছনে। তিনি বলেন, একজন চিকিৎসকের ন্যূনতম বেতন হওয়া উচিত ৫০ হাজার টাকা। একজন ইউএনও বিশাল সুযোগ-সুবিধা পেলেও একজন বিসিএস চিকিৎসককে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে হ্যারিকেন জ্বালিয়ে কাজ করতে হয়। তাদের ইউএনও’র সমপরিমাণ সুযোগ দেয়ার দাবি করেন তিনি। সব জায়গায় আদর্শ ও সৎ মানুষ প্রতিষ্ঠিত করে দুর্নীতি দূর করতে চিকিৎসকদেরও ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যপেশায় আমরা দুর্নীতি দেখতে চাই না। উপস্থিত চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের চেহারাতেই এনডিএফ ফুটিয়ে তুলতে হবে যেন মানুষ তা দেখেই বুঝে নিতে পারেন। রোগীর প্রতি আপনাদের থাকতে হবে সহমর্মিতা, যা সহানুভূতির চেয়ে বেশি কিছু, কেবল সহানুভূতি নয়। ডা: তাহের বলেন, গত ১৫ বছরের বেশির ভাগ সময় আমি জেলে ছিলাম। এটা আমার জন্য গৌরবের, কষ্টের নয়। তিনি চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের জনমুখী হতে হবে এবং একটি কার্যকর চিকিৎসাব্যবস্থা চালু করতে ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রকৌশলীদের দক্ষ হওয়ার সাথে সাথে গবেষণাও করতে হবে : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান প্রকৌশলীদের উদ্দেশে বলেন, সৎ ও দক্ষ হওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডেও মনোনিবেশ করতে হবে। প্রকৌশলীদের প্রতি দেশের উন্নয়নে নিজেদের প্রকৌশলবিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে সৎ ও দক্ষতার দেশ গড়ার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করার আহ্বান জানান তিনি।
নতুন বাংলাদেশের অঙ্গীকার, সৎ ও দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার স্লোগানে গতকাল বুধবার কাকরাইলের আইডিইবি মিলনায়তনে ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এফডিইবি) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী মো: গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন ও যুগ্ম সম্পাদক আবদুল বাতেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে ফ্যাসিস্ট সরকারের কবল থেকে মুক্ত করেছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসন, জুলুম-নির্যাতন ও গুম-খুন থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে, শান্তিতে-স্বস্তিতে থাকার সুযোগ পাচ্ছে এবং বাংলাদেশ আজ ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে মুক্তি লাভের চেষ্টা করছে। ডা: শফিকুর রহমান বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দেশী-বিদেশী দোসররা আবার দেশকে নানা কূটকৌশল ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি দেশবাসীর প্রতি ঐক্যবদ্ধভাবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।
’২৪-এর স্বাধীনতার জন্য ৯ জন প্রকৌশলী জীবন দিয়েছেন উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, তাদের আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং মহান আল্লাহর কাছে তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য দোয়া করছি। প্রধান বক্তা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, আপনাদের নিজেদের ও গণমানুষের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, নতুন বাংলাদেশ হবে দুর্নীতিমুক্ত, গুম-খুনমুক্ত। দেশকে সমৃদ্ধশালী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রযুক্তিনির্ভর শক্তিশালী সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইডিইবির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী কবীর হোসেন, সদস্যসচিব প্রকৌশলী কাজী শাখাওয়াত হোসেন, ফোরামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি প্রকৌশলী মির্জা মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন শেখ, প্রকৌশলী তৈয়বুর রহমান জাহাঙ্গীর, প্রকৌশলী আবুল হাসেম, প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল, প্রকৌশলী আবু মেহেদী, প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, প্রকৌশলী আবদুল হাই, প্রকৌশলী আবদুস সামাদ সরদার, প্রকৌশলী শাহজাহান কবির রিপন, প্রকৌশলী ফজলুল হক, প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
হাতিরঝিলে সেলাই মেশিন ও শীতবস্ত্র বিতরণ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, এক শ্রেণীর আত্মকেন্দ্রিক ও মূল্যবোধহীন রাজনীতিকের কারণে আমাদের রাজনীতি গণমুখী চরিত্র হারিয়েছে। তারা জনগণের কাছে ভোট নিয়ে নিজেরাই দেশের মালিক-মোক্তার হয়ে যান। তাই রাজনীতির এই অশুভ বৃত্ত থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি নেতিবাচক রাজনীতির পরিবর্তে দেশে ইতিবাচক রাজনীতি সূচনা করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি গতকাল সকালে রাজধানীর মগবাজারের রমনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে হাতিরঝিল পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে সেলাই মেশিন ও শীতবস্ত্র উপহার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমির ইউসুফ আলী মোল্লার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম রাশেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাতিরঝিল অঞ্চল পরিচালক হেমায়াতে হোসাইন এবং মহানগরীর প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। উপস্থিত ছিলে থানা নায়েবে আমির নূরুল ইসলাম আকন্দ, জামায়াত নেতা মাওলানা গোলাম মাওলা, শামীম হোসাইন ও পেশাজীবী নেতা আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতিতে অবক্ষয় এখন প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে প্রচলিত রাজনীতি চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই রাজনীতি থেকে এদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা