যুক্তরাষ্ট্রে ‘পাচার’ করতে ভারতজুড়ে ৩৫০০ এজেন্ট
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ভিসা ছাড়া বেআইনিভাবে ভারতীয়দের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর কাজে জড়িত একটি বিশেষ চক্র নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই চক্রের সাথে শুধু ভারতেই সাড়ে তিন হাজার এজেন্ট যুক্ত রয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই গুজরাটের। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা গতকাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটি বলছে, একেকজনকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করাতে ৫৫-৬০ লাখ ভারতীয় রুপি করে নেয়া হতো বলে সন্দেহ করছে ইডি। কানাডা সীমান্ত হয়ে ভারতীয়দের অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করানোর চক্রের কথা অতীতেও বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। ইডির দাবি, এই চক্রের সাথে কানাডার কিছু কলেজ ও ভারতের বেশ কয়েকটি সংস্থা জড়িত রয়েছে।
গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে চার ভারতীয়র মৃত্যু হয়। তারা একই পরিবারের বাসিন্দা। তাদের বাড়ি ছিল গুজরাটের একটি গ্রামে। অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে গিয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় মৃত্যু হয় তাদের। ওই ঘটনায় গুজরাটের আহমেদাবাদে মামলা হয়। মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে ভবেশ অশোকভাই প্যাটেলের নাম।
আহমেদাবাদ পুলিশের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মাঠে নামে ইডিও। এই চক্রের সাথে জড়িত আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে একটি পৃথক মামলা করে ইডি। ইডির তদন্তে উঠে আসে- বিভিন্ন বেআইনি পথে কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হতো ভারতীয়দের। যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইতেন, তাদের আগে কানাডার কিছু কলেজে ভর্তি করানোর ‘ব্যবস্থা’ করা হতো। তাদের জন্য করা হতো কানাডার স্টুডেন্ট ভিসাও।
কিন্তু কানাডায় পৌঁছানোর পর কলেজে ভর্তি করানোর বদলে সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে তাদের পাঠিয়ে দেয়া হতো যুক্তরাষ্ট্রে।
সম্প্রতি এই মামলার তদন্তে মুম্বাই, নাগপুর, গান্ধীনগর ও বড়োদরার আটটি জায়গায় অভিযান চালান ইডির কর্মকর্তারা। তাতে মুম্বাইয়ের দু’টি সংস্থা ও নাগপুরের একটি সংস্থার এই অবৈধ চক্রের সাথে যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
ইডির দাবি, এই চক্রের সাথে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় সাড়ে তিন হাজার এজেন্ট জড়িয়ে রয়েছেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৭০০ জন এজেন্ট শুধু গুজরাটেই রয়েছেন। এদের মধ্যে সক্রিয় রয়েছেন অন্তত ৮০০ এজেন্ট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা