স্কুলে ভর্তির অনিয়ম ঠেকাতে মাউশির একাধিক কমিটি
- শাহেদ মতিউর রহমান
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
স্কুলে ভর্তিতে তদবির আর অনিয়ম ঠেকাতে কয়েকটি ধাপে কমিটি গঠন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতেই গঠন করা হয়েছে ১৬টি কমিটি। এর বাইরে জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়েও গঠন করা হয়েছে একাধিক কমিটি। সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিভিন্নভাবে স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নীতিমালার বাইরে কোনো আসন সংরক্ষণ, ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ অনিয়ম হচ্ছে কি না তা তদারকিতে এই বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সাথে এনসিটিবির অনুমোদনবিহীন বই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে কি না, তাও দেখবে এই কমিটি।
মাউশির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর, অঞ্চল, জেলা ও উপজেলাভিত্তিক আলাদা গঠিত কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব নির্দেশনা দিয়ে পাঠানো চিঠি গত মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে মাউশি। এ দিকে জানা গেছে, দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণী-এন্ট্রি ক্লাস ও অন্যান্য শ্রেণীর শূন্য আসনের বিপরীতে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্বাচিত তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে কি না কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শূন্য আসনের বিপরীতে বেশি-কম শিক্ষার্থীর চাহিদা অনলাইনে দিয়েছেন কি না, ভর্তি নীতিমালার বাইরে কোনো আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে কি না, শিক্ষার্থী ভর্তি, সেশন ফি ও ফরম পূরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ফি এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায়সহ এনসিটিবির অনুমোদনবিহীন বই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করছেন কি না, এ বিষয়ে গঠিত বিশেষ মনিটরিং কমিটিকে ঢাকা মহানগর, অঞ্চল, জেলা ও উপজেলাভিত্তিক কর্ম এলাকা মনিটরিং করে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
২০২৫ সালে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণী-এন্ট্রি ক্লাস ও অন্যান্য শ্রেণীর শূন্য আসনের বিপরীতে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্বাচিত তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে কি না, প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শূন্য আসনের বিপরীতে বেশি বা কম শিক্ষার্থীর চাহিদা অনলাইনে দিয়েছেন কি না তার তথ্য সংগ্রহ করে অবহিত করবেন।
একই সাথে আসছে বছরে ভর্তিকৃত, সেশন ফি প্রদান করা ও ফরম পূরণকৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিষ্ঠান হতে সংগ্রহ করে এই তালিকা প্রতিষ্ঠান প্রধান সরবরাহ করবেন। তালিকায় বর্ণিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে ভর্তি ফি, সেশন ফি ও ফরম পূরণে কী পরিমাণ ফি দিয়েছেন, তার প্রমাণ সংগ্রহ করবে কমিটি। অনুরূপভাবে ভর্তি ফি, সেশন ফি ও ফরম পূরণে বিভিন্ন নামে ও খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়কারী এবং ভর্তিতে অনিয়মকারী প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে এ ক্ষেত্রে সরকারি পরিপত্র অনুসরণ করেছেন কি না তাও নিশ্চিত করবে এই কমিটি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফির বাইরে ২০২৫-এ ভর্তি ফি, সেশন ফি ও ফরম পূরণে বিভিন্ন নামে ও খাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় হয়ে থাকলে তা চিহ্নিতকরণ এবং সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে এনসিটিবির সরবরাহ করা বই বিতরণে টাকা আদায় করা হয়েছে কি না এবং এনসিটিবির অনুমোদনবিহীন বই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে। কমিটিকে অনধিক ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা