বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান স্থানীয় সোমবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সময় তিনি ৮ আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। জ্যাক সুলিভান বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং রাজনৈতিক, নির্বাচন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগের জন্য বিশেষ করে অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন।
এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় অধ্যাপক ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি অব্যাহত মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন। ফোনালাপে তারা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সুলিভান অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। তিনি গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্ক সফরের সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন।
ড. ইউনূস জানান, আগামী জানুয়ারির মধ্যে ছয়টি প্রধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার প্রত্যাশা করছি। এরপর সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য জাতিকে প্রস্তুত করতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. ইউনূসের প্রশংসা হোয়াইট হাউজের : সোমবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউজের এক রিডআউটে বলা হয়েছে, ‘সুলিভান একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে টেলিফোন আলাপের পর হোয়াইট হাউজ এ বিবৃতি দিয়েছে।
হোয়াইট হাউজ বলেছে, ‘উভয় নেতাই ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের মানবাধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।’