তরুণরা কতটা শক্তিশালী বাংলাদেশই তার উদাহরণ
ইকোনমিস্টকে ড. ইউনূস- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না। তরুণরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটা শুধু একটি দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় না। বাংলাদেশ যা করেছে এটি একটি উদাহরণ যে, তরুণরা কত শক্তিশালী হতে পারে। আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেয়া। বিশেষ করে তরুণীদের ওপর।
শুক্রবার ড. ইউনূস ইকোনমিস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘তরুণরা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেয়া, যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে, তাদের সক্ষমতাও রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছেন। তারা বেশ সক্ষম। এই তরুণরা গত শতাব্দীর মতো নয়। তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যের মতোই সক্ষম।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার পতনের পর দ্য ইকোনমিস্ট বাংলাদেশকে এ বছর বর্ষসেরা দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে রেখেছে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারটি নেয় ব্রিটিশ সাময়িকীটি। ইকোনমিস্টের জিওপলিটিক্স বিভাগে ইউনূসের সাক্ষাৎকারের শিরোনাম দেয়া হয় ‘কান্ট্রি অব দি ইয়ার : অ্যান ইন্টারভিউ ইটস লিডার’।
২০২৫ সালে নির্বাচন আয়োজনের পর তিনি কী করবেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাময়িকীটিকে আশ্বস্ত করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমার চাকরি আসলে কেড়ে নেয়া হয়েছে, আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমাকে জোর করেই এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম। এ জন্যই আমি প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে টেনে আনা হয়েছে অন্য কিছু করার জন্য। সুতরাং আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হবো, যা আমি আমার সারা জীবন ধরে করেছি। আর তরুণরাও এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আমার সেই দলে বা আন্দোলনে ফিরে যাবো যেটা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।’
বাংলাদেশ সম্পর্কে ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের এবারের বিজয়ী বাংলাদেশ, যারা এক স্বৈরশাসককে উৎখাত করেছে। আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, যিনি সাড়ে ১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশটি প্রায় ১৬ বছর ধরে শাসন করছিলেন। দেশের স্বাধীনতার হিরোর এক কন্যা হিসেবে তিনি একসময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন; কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি দমন-নিপীড়ন শুরু করেন, নির্বাচনে কারচুপি করেন, বিরোধীদের কারাগারে পাঠান এবং নিরাপত্তাবাহিনীকে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। তার শাসনামলে বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ এবং দেশের বাইরে পাচার করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা