চাঁদা না দেয়ায় কারখানা মালিককে পিটিয়ে হত্যা
- মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেয়ায় এক পাওয়ারলুম কারখানা মালিককে পিটিয়ে ও শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। শনিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে অভিযুক্তদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। নিহত নুর মোহাম্মদ (৪৮) সদর উপজেলার মাধবদী কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে। তিনি নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও ট্রেক্সটাইল কারখানার মালিক ছিলেন।
অটককৃতরা হলো- নরসিংদীর মাধবদী কাঁঠালিয়া গ্রামের রববানির ছেলে রবিন (২১), এবাদুল্লাহর ছেলে রুবেল (২২), কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আবদুল আজিজ ছেলে আলামিন (৪২) ও আবদুল রশিদের ছেলে রকিব হোসেন (২১) ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মাধবদী কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ নিজ নামিয় নূর মোহাম্মদ পাওয়ারলুম ও ট্রেক্সটাইল কারখানার পরিচালনা করে আসছিলেন। সম্প্রতি এলাকার রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তবে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। সর্বশেষ তারা পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। এতেও মিল মালিক অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে তাদের সাথে কারখানা মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে এনে একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে পিটিয়ে ও শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে ভোরে লাশ বস্তাবন্দী করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে ফেলে দিতে যায়। সে সময় স্থানীয় লোকজন তাদের দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায় এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে চারজনকে হেফাজতে নেয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতা মো: ইসাক মিয়া বলেন, পুলিশ যাদেরকে আটক করেছে, তারা এলাকার চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক কারবারি। আটকের পর চাঁদার কারণে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা