দেড় মাসে ৫০ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ

গত দেড় মাসে দেশে পলিথিনবিরোধী অভিযানে ৫০ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। এতে ৪১৪টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩০০ টাকা। পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার রোধে গঠিত মনিটরিং কমিটির সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাস গতকাল এ কথা জানান।
রাজধানীর কাওরানবাজার পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দেড় মাসে প্রায় ৫০ হাজার কেজি পলিথিন ব্যাগ জব্দ করেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, পরিবেশবান্ধব ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইন প্রয়োগ আরো কঠোর করা হবে। এ উদ্যোগ (পলিথিন নিষিদ্ধ) সফল করতে মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশব্যাপী নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। দেশের পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সরকারের এ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অভিযানে দোকানদার ও ক্রেতাদের চট বা কাপড়ের তৈরি কিংবা মোমের প্রলেপযুক্ত ব্রাউন পেপারের ব্যাগ ব্যবহার উৎসাহিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইন করে সাধারণ পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাত নিষিদ্ধ হয় ২০০২ সালে। কিন্তু সেই আইন কার্যকর করতে না পারায় পলিথিনের অতিব্যবহার পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ দিকে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার রোধে গঠিত মনিটরিং কমিটির সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাসকে উদ্ধৃত করে গতকাল মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩ নভেম্বর থেকে দেশে ১৯৯টি অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে ৪১৪টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ৫০ হাজার ৫৫৬ কেজি পলিথিন ব্যাগ।
এর আগে গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের ঘোষণা দেন। এর অংশ হিসেবে গত ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে এই ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। আর ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারেও পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের ব্যাগ (টিস্যু ব্যাগ) ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর বিভিন্ন বাজার ও পলিথিন কারখানায় অভিযান শুরু করে পরিবেশ অধিদফতর।