বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয় উদযাপন
- সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
- ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪১
দিনভর বর্ণাঢ্য সব আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয়ের ৫৩ বর্ষ উদযাপন করছে দেশের মানুষ। দিনটি ঘিরে গতকাল ভোর থেকেই সাভার স্মৃতিসৌধসহ রাজধানী সর্বত্র ছিল মানুষের ঢল। সব বিনোদন কেন্দ্র, টিএসসি, শহীদ মিনার, পার্ক, চিড়িয়াখানা, হাতিরঝিলসহ মানুষে একাকার ছিল রাজধানী। এর মধ্যে ছিল একাধিক কনসার্ট আয়োজন, যাতে দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
দিনের শুরুতে ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করা হয়। দেশের জন্য আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে। ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।
এ ছাড়া ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন দলের র্যালিতে ঢাকা ছিল উৎসবমুখর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিজয় র্যালি বের করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-শাহবাগ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় র্যালি। এ ছাড়া বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ একাধিক রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠন বিজয় উৎসব ও র্যালি করেছে।
বিজয় উদযাপনে সকাল থেকেই নগরীর রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন নানা বয়সের মানুষ। এ সময় তাদের হাতে-মুখে শোভা পাচ্ছিল জাতীয় পতাকা এবং গায়ে লাল-সবুজের পোশাক। মুখেও রঙ-তুলিতে কেউ কেউ আঁকেন জাতীয় পতাকা। বিলাসবহুল গাড়ি কিংবা বাড়ির ছাদ সবখানেই যেন আজ লাল-সবুজের মেলা। বিজয়ের এ উল্লাস মিছিলে যোগ দেন বয়োবৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল ফুলেল শ্রদ্ধায় বীর শহীদদের স্মরণ
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধায় বীর শহীদদের স্মরণ করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। ৫৪তম বিজয় দিবসে গতকাল সকাল থেকেই শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামে। ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এ বছর বিজয় দিবস ছিল মহা আনন্দের। ভোরের আলো ফোটার পরই বিভিন্ন সংগঠন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সাভারে জড়ো হতে থাকেন। বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় সাভারের স্মৃতিসৌধের বেদি। বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সকাল সাড়ে ৬টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পূর্বতিমুরের (তিমুর লেস্তে) প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তাকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় অন্য উপদেষ্টারাও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর চৌকস দল স্যালুট জানায়। বেজে ওঠে বিউগলের করুণ সুর। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে জাতি গতকাল সোমবার নতুন করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকার রাজপথে জনবিস্ফোরণের মধ্যদিয়ে উৎখাত হন। ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য তার সরকার ক্ষুব্ধ জনতার রাজনৈতিক রোষানলের মুখে পড়লে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এ বছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর, বাংলাদেশের নবযাত্রায় জাতি নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে দিনটি উদযাপন করে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর অধিকাংশ দেশবাসী এ সময়টাকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলেও অভিহিত করছে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ থেকে বের হওয়ার পর স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন। একে একে বিভিন সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সজাগ (সমাজ ও জাতি গঠন), গণ বিশ্ববিদ্যালয়, গণ অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, আশুলিয়া থানা বিএনপি, ঢাকা জেলা শ্রমিক দল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ভিসি (বিএসএমএমইউ), ঢাকা জেলা বিএনপি, সাভার থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, সাভার পৌর যুবদল, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দল, ঢাকা জেলা যুবদল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ,পরমাণু শক্তি কমিশন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টারদা সূর্য সেন হল, অমর একুশে হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হল, ভিসি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষক সমিতি, সোস্যাল আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (সাস), বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ হোস্টেল, জাতীয় যুব জোট কেন্দ্রীয় কার্যকর কমিটি, জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব), ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন-ডিইউএএ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় নাগরিক কমিটি, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, সাভার সিটিজেন ক্লাব, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, আমার বাংলাদেশে পার্ট (এবি পার্টি), কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পোশাকশিল্প শ্রমিক জোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি আবু সালেহ আকন্দের নেতৃত্বে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল, কর্মসংস্থান ব্যাংক, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি, বাসদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, গণফোরাম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি প্রমুখ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় ঢাবিতে বিজয় দিবস উদযাপন
ঢাবি প্রতিনিধি জানান, দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলার পর পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পরাজয় বরণ করে। বাংলাদেশ পরিণত হয় এক নতুন রাষ্ট্রে। এই দিনে স্বাধীন জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে। সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আলোকোজ্জ্বল দিনটিকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য এই দিনে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করেছে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক,রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
ঢাবি প্রশাসনের নানা কর্মসূচির মধ্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল সোমবার বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচিগুলো হলো : ভিসি ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত এবং ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ। এ ছাড়াও বিভিন্ন আবাসিক হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্র প্রদর্শনী/চলচ্চিত্র প্রদর্শনী/প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বাঁধনের উদ্যোগে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে কলা ভবন, কার্জন হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ও স্মৃতি চিরন্তনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় করা হচ্ছে আলোকসজ্জা। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল এবং আবাসিক এলাকার মসজিদে শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উপাসনালয়ে শহদীদের রূহের জন্য রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির বিজয় র্যালি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। র্যালিতে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করা হয়েছে।
গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বাংলামটর মোড় থেকে জাতীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশে বিজয় র্যালির যাত্রা শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি নেতাকর্মীরা।বিজয় র্যালিতে ঢাকার বিভিন্ন থানা কমিটি ও উপজেলার কমিটির সদস্যরা যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাও র্যালিতে অংশ নিয়েছেন।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোওয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা: তাসনিম জারা, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সদস্য অণিক রয়, সদস্য আদিবসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শোভাযাত্রা
গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারে মিলিত হন নেতাকর্মীরা।
শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার, ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান, তারিকুল ইসলাম, দফতর সেলের সম্পাদক জাহিদ আহসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত
বিজয় দিবস উপলক্ষে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা একটি বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি আয়োজন করেছে। র্যালিটি টিএসসি চত্বর থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদ, লাইব্রেরি, ডাকসু, মধুর ক্যান্টিন, অপরাজেয় বাংলা হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়। ঢাবি সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দীনের সঞ্চালনায় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাতের সভাপতিত্বে র্যালি-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান।
বশেমুরকৃবিতে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি
মোহাম্মদ আলী ঝিলন গাজীপুর জানান, আনন্দমুখরতা, বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হলো মহান বিজয় দিবস। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মার্চপাস্টের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। গতকাল সকালে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিজয় র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলগুলোর প্রভোস্টদের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন প্রীতি খেলাধুলা এবং পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে বিজয় দিবসের আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: রমিজ উদ্দিন মিঞা, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. মো: গোলাম রসুল এবং রেজিস্ট্রার মো: আবদুল্লাহ মৃধা বক্তৃতা করেন।
ব্রিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) সোমবার মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ভোরে ইনস্টিটিউটের গাজীপুর সদর দফতরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্রির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন ব্রির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সিএসও এবং প্রধান ড. মো: শহীদুল ইসলাম। এরপর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। ব্রির অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। কর্মসূচিতে ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো: আবদুল লতিফ, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মুন্নুজান খানম, মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. মো: আনোয়ারুল হকসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা, ব্রিতে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক এবং বি আর আর আই উচ্চবিদ্যালয়, ব্রি প্রগতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাউবিতে বিজয় দিবস পালিত
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকালে মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ভিসি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস, রেজিস্ট্রার, ডিন, পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বারিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদ্যাপিত হয়েছে।
সকালে বারির প্রধান কার্যালয়ের সামনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন বারির মহাপরিচালক ড. মো: আবদুল্লাহ ইউছুফ আখন্দ। এ সময় আনসার সদস্যদের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বারির পরিচালক (গবেষণা) ড. মুন্সী রাশীদ আহমদ; বারির পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ; পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান; পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো: মনিরুল ইসলাম; পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. এফ এম আবদুর রউফ; পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো: মতিয়ার রহমান, পরিচালক (মহাপরিচালক মহোদয়ের দফতর) ড. এম এম কামরুজ্জামান, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা, বারি বিজ্ঞানী সমিতি (বারিসা), বারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি (বারিকা), বারি চতুর্থ শ্রেণী কল্যাণ সমিতি (বারিচা), ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বারি শাখা, বারি শ্রমিক সমিতির নেতারা এবং ইনস্টিটিউটের সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক, বিএআরআই উচ্চবিদ্যালয় এবং আনন্দ শিশুকাননের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। গতকাল প্রত্যুষে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভিসি। বীর সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শহীদদের স্মরণে সেখানে তিনি কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় ভিসির সাথে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি চ্যান্সেলর-১ প্রফেসর মো: লুৎফর রহমান, প্রো-ভিসি-২ প্রফেসর ড. মো: নূরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বিডিইউ-তে বিজয় দিবস উদযাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে (বিডিইউ) যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদথযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সূর্যোদয়ের সময় অ্যাকাডেমিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। সকালে ভিসির নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আতাউর রহমান খান, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর, ছাত্র হলের প্রভোস্ট, শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাউয়েট ক্যাম্পাসে মহান বিজয় ও জাতীয় দিবস উদযাপন
বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বাউয়েট) ক্যাম্পাসে গতকাল মহান বিজয় ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। সকালে ক্যাম্পাসে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন ও সম্মান প্রদর্শন করেন যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মিজানুজ্জামান এবং রেজিস্ট্রার লে. কর্নেল কে এফ এ সোহেল (অব:)।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল ইসলাম, সিএসই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ভূঁঞা, প্রক্টর এবং সিই বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো: মাহমুদুর রহমান, ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা এবং গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: মাছুদার রহমান, এমই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেজর মো: আবদুল হামিদ (অব:) ডেপুটি রেজিস্ট্রার (অ্যাকাডেমিক) মো: আশরাফুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষকমণ্ডলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ধানমন্ডি সোসাইটির মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান :বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে ধানমন্ডি সোসাইটি। ধানমন্ডি ৪ নম্বর ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনের প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষে সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হয়। ধানমন্ডি সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে রংপুর রাইডার্স।
ধানমন্ডি সোসাইটি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রথম দিনে ছিল চিত্রকলা প্রদর্শনী এবং শিশুদের জন্য খেলার আয়োজন। এ দিন বেলা ৩টায় মেলার উদ্বোধন করা হয়। এরপর সাড়ে ৪টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন ও কুরআন তেলাওয়াত করা হয়।
সন্ধ্যায় শুরু হয় নৃত্যানুষ্ঠান (বাফা),সঙ্গীতানুষ্ঠান, ধানমন্ডি সোসাইটির প্রামাণ্য চিত্র, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত, মনমুগ্ধকর ম্যাজিক শো। একই সাথে চলে বিজয় মেলাও। সোমবার সকালে চিত্রকলা প্রদর্শনী এবং শিশুদের খেলার আয়োজন দিয়ে শুরু হয়। পরে দিনভর সাপের খেলা, বায়োস্কোপ, লাঠিম খেলা, বানর খেলা, মার্বেল খেলা, ভাগ্য গণনা শিশুরা উপভোগ করে।
১৩২ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিলো চসিক
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ১৩২ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। সোমবার সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা ও সম্মানির টাকা তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুরের ছোট ভাই ডা: মোহাম্মদ রকিব উল্লাহ। এ দিকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ডিসি পার্কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে। তোপধ্বনি শেষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সিটি মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেন প্রথমে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন, পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো: আহসান হাবীব পলাশ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান তাদের নিজ কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
হয় মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব, না হয় শহীদ হবো : চট্টগ্রামে শিবির সেক্রেটারি
শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের এই ভূখণ্ডের ইতিহাস বারবার লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস, জীবন দেয়ার ইতিহাস। মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগতিতিক্ষার ইতিহাস। বর্তমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের সামনে দু’টি রাস্তা খোলা, হয় মাতৃভূমিকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব না হয় শহীদ হবো।
সোমবার সকালে চট্টগ্রামে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর কর্তৃক আয়োজিত বিজয় র্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল সোয়া ৯টায় মোটর শোভাযাত্রাসহ বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালিটি নগরীর টাইগারপাস থেকে শুরু হয়ে ২নং গেটে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি তানজির হোসেন জুয়েল, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ইব্রাহিম হোসেন রনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইবরাহীম, জেলা সভাপতিরা, মহানগর ও সব জেলা শাখার সেক্রেটারিয়েটসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।
খুলনায় বিজয় দিবস উদযাপিত
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল সোমবার মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নগরীর গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রত্যুষে নগরীর বয়রাস্থ মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর ইউনিট, বিভাগীয় কমিশনার মো: ফিরোজ সরকার, কেসিসির প্রশাসক, রেঞ্জ ডিআইজি মো: রেজাউল হক, পুলিশ কমিশনার মো: জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি দফতর, বিএনপি, খুলনা প্রেস ক্লাব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বগুড়ায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে। এ উপলক্ষে বগুড়ায় সকলে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করা হয়। সোমবার ভোর ৬টায় বগুড়া শহরের মুক্তির ফুলবাড়ি স্মৃতিফলকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন, বগুড়া প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রথমে জেলা প্রশাসন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মাসুম আলী বেগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি (হাইওয়ে পুলিশ বগুড়ার পুলিশ সুপার) শহিদুল্লাহ, অতিরিক্ত ডিআইজি (পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার) শাহ মমতাজ উদ্দিন, বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, মোতাহার হোসেন। বগুড়া জেলা বিএনপি এদিন সকালে মুক্তির ফুলবাড়ি স্মৃতিফলকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আলহাজ মোশারফ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, এম আর ইসলাম স্বাধীন, মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, শহিদ উন-নবী সালাম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার উদ্যোগে বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শহর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ বেগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শহর সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বগুড়া শহর শাখার সভাপতি আজগর আলী, শাহীন মিয়া, ড. হেদাইতুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ বেগ, নুরুল ইসলাম আকন্দ প্রমুখ।
শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বগুড়া প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক ওয়াসিকুর রহমান বেচান, সদস্যসচিব শবুর শাহ লোটাস, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও রাহাত রিটু, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ফেরদৌস রহমান প্রমুখ।
রংপুর শহীদ মিনার ও মেলায় মানুষের ঢল
রংপুর ব্যুরো জানায়, বিজয়ের ৫৪ বছর পূর্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে ভেদাভেদ, বৈষম্য দূর করে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বিনির্মাসের মানবিক, সাম্য ও ন্যায্যতার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় জানিয়েছেন রংপুরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ও নানা বয়সী মানুষ।
সকাল সাড়ে ৬টায় রংপুর শহীদ মিনারে ৩১ বার তোপোধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার মো: মজিদ আলী ডিসি মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, এসপি মো: শরীফ উদ্দিনসহ জেলা ও বিভাগের সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ ছাড়াও জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, বাসদ, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক পেশাজীবী সংগঠন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শিবিরের শোভাযাত্রা : বেলা সাড়ে ১১টায় রংপুর মহানগরীতে শোভাযাত্রা করে ইসলামী ছাত্রশিবির। শোভাযাত্রাটি সিও বাজার থেকে শুরু হয়ে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে নেতৃত্ব দেন মহানগর শিবির সভাপতি ও সেক্রেটারি।
বিএনপির শোভাযাত্রা : বেলা সাড়ে ৩টায় নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় থেকে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে মিছিলটি শুরু হয়। এতে আরো নেতৃত্ব দেন জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী ডন। শোভযাত্রাটি নগরীর জীবনবীমা মোড়, প্রেস ক্লাব, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট চত্বর, ভাঙ্গা মসজিদ হয়ে আবার একই পথে গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ফ্রান্স বিএনপির উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন
ফ্রান্সের প্যারিস থেকে সংবাদদাতা জানান, ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়কে ভারত ছিনতাই করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল; যা এ দেশের জনগণ প্রতিহত করেছিল।
রোববার প্যারিসের ম্যারি দা ওভারবিলিয়ের একটি পার্টি সেন্টারে বিএনপি ফ্রান্স শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
ফ্রান্স শাখা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আহমেদের পরিচালনায় প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বেলজিয়াম শাখা বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান লিটন, বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মান শাখা বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়া, লন্ডন থেকে টেলি কনফারেন্সে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করে বিএনপি চেয়ারপারসনে উপদেষ্টা এম এ মালেক, এ ছাড়াও অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল মান্নান আযাদ, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইন, বিএনপি নেতা শাহ জামাল, এম এ রশীদ পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম, প্রফেসার তাসলিম উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, মিয়া আব্দুর রহিম, আব্দুল মালেক, ফারুক আহমেদ ও জাহিদুল ইসলাম শিপার প্রমুখ।
কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, নগরীর কুমিল্লা টাউন হল মাঠের শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার, পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর রশিদ ইয়াছিনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দফতরের প্রধান।
এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি, বেসরকারি নানা দফতরের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, চেঙ্গী স্কোয়ারসংলগ্ন স্মৃতিসৌধে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ফুল দেয়া হয়। এরপর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান, জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ দিকে জামায়াতে ইসলামী পানছড়ি উপজেলার উদ্যোগে সকালে সভাপতি জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। পরে জিয়া স্কোয়ারে আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। এ ছাড়া জামায়াতের উদ্যোগে বিভিন্ন উপজেলায় আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার বশির আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা: মোকছেদুল মোমেনিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিয়ার খান শিপার ও আবুল হাসেম মাস্টার, নয়া দিগন্তের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি শাহানুর ইসলাম। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা আমীর হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন। মুন্নু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প।
বগুড়া অফিস জানায়, জামায়াতে ইসলামী বগুড়ার কাহালু উপজেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আমির মাওলানা আব্দুস শাহীদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা জামায়াতের নেতা কাহালু উপজেলা পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল বাছেত, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাহালু সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল মোমেন, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা শহীদুল্লাহ, সেক্রেটারি শহিদুর রহমান সবুজ প্রমুখ।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, কালেক্টরেট চত্বরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ফুল দিয়ে শ্রোদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। এ সময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। জামায়াতের উদ্যোগে শহরের চৌড়হাস মোড় থেকে বিজয় র্যালি শুরু হয়ে কুষ্টিয়া মজমপুরগেটে শেষ হয়। বিজয় র্যালিতে নেতৃত্ব দেন জামায়াতের জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশিম ও সেক্রটারি অধ্যাপক সুজাউদ্দিন জোয়ার্দার। এ ছাড়া বিএনপির উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমি চত্বর থেকে বিজয় র্যালি বের হয়।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, প্রথমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসির উদ্দীন কালু, পুলিশ সুপার মো: নজরুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, শহিদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক দলসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরে শহিদ মুক্তিযোদ্ধার স্মরণ, দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়। স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। পরে বিজয় মেলার উদ্বোধন ও ডিসি মুক্ত মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শহরে বিজয় র্যালি বের হয়।
করা হয়। বিজয় র্যালিতে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসাইন, জেলা তালবিয়াত সেক্রেটারী মাওলানা অলিউল্লাহ, শহর আমির জযরাল আবেদীন, পৌর সেক্রেটারী নাসির উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতার অমর সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন আশরাফুর রহমানসহ জেলার সর্বস্তরের মানুষ।
এ সময় পুলিশ সুপার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
ইবি সংবাদদাতা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের উদ্দেশে ‘মুক্ত বাংলা’য় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন ভিসি প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এ সময় প্রোভিসি অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও বিজয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নজিবুল হকসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ববি প্রতিনিধি জানান, ভিসি প্রফেসর ড. শুচিতা শরমিনের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বিজয় র্যালি বের হঢ।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে বরিশাল ডিসি অফিস সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় প্রোভিসি প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানিসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট, প্রক্টর, দফতর প্রধান, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
গৌরনদী (বরিশাল) সংবাদদাতা জানান, সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজয় মেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক আবু আবদুল্লাহ খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রাজিব হোসেন, ওসি ইউনুস মিয়া, হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সরোয়ার আলম বিপ্লব, সদস্যসচিব জহির সাজ্জাদ হান্নান, পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম জহির প্রমুখ।
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) সংবাদদাতা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুন নাহার তামান্না, বীরপ্রতীক রত্তন আলী শরীফ, ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার, ওসি আমিনুল ইসলাম, বিমানবন্দর থানার ওসি মোহাম্মাদ জাকির শিকদার, অধ্যক্ষ আজম সামসুল আলম,কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ প্রমুখ।
ধামরাই (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহাম্মেদ অনিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান তুলা ও ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাফফাত আরা সাঈদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফারসিম তারান্নুম হক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার আহামেদুর হক তিতাস, কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা এম এ হাসান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা আক্তার জাহান, পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম ফয়সাল মাহমুদ, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার সোহেল রানা প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা