ঐক্যবদ্ধ থাকার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে : ডা: শফিকুর রহমান
- সিলেট ব্যুরো
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকার মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে সব চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দাওয়াতে উপস্থিত হয়ে দেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সব রাজনৈতিক দল সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, কারো চোখ রাঙানিতে আমরা ভয় করি না। কোনো অপশক্তির কাছে বাংলাদেশ মাথানত করতে পারে না। একইভাবে সব ধর্মের অভিভাবকরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থিত হয়ে সবাই মিলেমিশে কাক্সিক্ষত জাতীয় ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ এখন শান্তিতে আছে। নিরাপদে আছে। জাতি এখন আগের চেয়ে অনেক সজাগ। সাধারণ মানুষ তাদের ভালো মন্দ বুঝতে শিখেছে। তাই সমগ্র জাতি একটার পর একটা ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। জুডিশিয়ারি নিয়ে ষড়যন্ত্র, আনসার বাহিনী নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। সর্বশেষ ইসকন কাণ্ড নিয়ে সারা দেশে উসকানিমূলক তৎপরতার দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছে জাতি। চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পৈশাচিক কায়দায় খুন করা হয়েছে। তারপর উসকানিমূলক তৎপরতা শুরু করে পরাজিত ওই শক্তি। আমরা দেশপ্রেমিক মানুষকে, বিশেষ করে মুসলমানদের শান্ত থাকার আর মাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানাই। এ দেশের মানুষ এই ইস্যুতে চরম ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ।
ফলে সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে গেছে তাদের।
ডা: শফিকুর রহমান গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেটের সরকারি আলিয়া মাদরাসা ময়দানে জেলা জামায়াতের ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার সময় এসব কথা বলেন।
জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি মাশুক আহমদের সঞ্চালনায় সিলেটের আলিয়া মাদরাসা ময়দানে ডা: শফিকুর রহমান বলেন, আমরা একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ মানবিক দেশ চাই। আমরা একটা দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই। সুবিচারপূর্ণ একটি সমাজ চাই। আমরা আমাদের যুবকদেরকে এ দেশের উন্নয়নের কারিগর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব আমরা ক্রমান্বয়ে তাদের হাতে তুলে দিতে চাই। এমন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গঠনে, মানবিক বাংলাদেশ গঠনে আমরা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রতি সম্মান রেখে সবাইকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা আশাবাদী প্রিয় দেশবাসীর সহযোগিতা পেলে একটা কাক্সিক্ষত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। এজন্য আমরা দেশপ্রেমিক সব জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই। জাতীয় স্বার্থের জায়গায় আমরা যেন বিভক্ত না হই, বরং আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি। জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে জাতির বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করবে তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে। আল্লাহ তাদেরকে ব্যর্থ করে দিবেন ইনশা আল্লাহ।
ডা: শফিক বলেন, দেশ যখন পরিবর্তনের ইতিবাচক ধারায় আছে তখন আমরা লক্ষ্য করছি, এই দেশকে অশান্ত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা দেশে-বিদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারা আমাদের সমাজকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বাংলাদেশের বিচক্ষণ দেশপ্রেমিক জনতা তাদের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে তাদেরকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্র আল্লাহ তায়ালা ব্যর্থ করে দিয়েছেন। তাদের এই অপপ্রয়াস জাতিকে আরেকবার ঐক্যবদ্ধ হতে সহযোগিতা করেছে। এই দেশের মানুষ আর কারো কাছে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করবে না এবং কোনো রক্ত চক্ষুকে পরোয়া করবে না।
জামায়াতের আমির বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু ভাইয়েরা এখন ভালো আছেন, তাদেরকে ভালো থাকতে দেয়ার কথা উল্লেখ করে তারা বলেছেন, আমাদেরকে নিয়ে বহু খেলা হয়েছে। আর কোনো খেলা নয়। ৫ আগস্টের পর মুসলমানরা আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা বলেছেন, আমরা সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাঝে জীবনযাপন করছি। মিথ্যা অজুহাতে গত দুর্গাপূজা পালন না করতে হিন্দুদের উসকে দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু দায়িত্বশীল হিন্দুদের সজাগ দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে চক্রান্তকারীদের সবকিছু ভেস্তে যায়। হিন্দুসমাজ সগৌরবে দুর্গাপূজা উদযাপন করে।
কারাবন্দী জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের ব্যাপারে আমরা নতুন কিছু, ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছি। আল্লাহ যেন তাকে আমাদের মধ্যে ফিরিয়ে আনেন। কারাগারে তার সাথে নিষ্ঠুরতম আচরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষসহ আমরা সবাই আমাদের আজহার ভাইয়ের জন্য দোয়া করি।
কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, রক্তাক্ত গণবিপ্লবের মাধ্যমে জাতি ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারের চিরবিদায় দিয়েছে। বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচার ফিরে আসবে না। সুন্দর ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীর আন্দোলনে, নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে এ দেশবাসী প্রিয় ঠিকানা হিসেবে বেছে নেবে ইনশা আল্লাহ।
কর্মী সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন কোনো আবেগের নাম নয়। বাংলাদেশের রাজনীতির এক অনিবার্য বাস্তবতা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
কর্মী সম্মেলনের শুরুতে দারসে কুরআন পেশ করেন সম্মেলনের সভাপতি ও সিলেট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান। তিনি জেহাদ ও তরবিয়তের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, কর্মীদের আল কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে ইসলামী বিপ্লবের প্রস্তুতি নিতে হবে।
সিলেট জেলা জামায়াতের এই ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, সিলেট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক আবদুল হান্নান, নায়েবে আমির হাফিজ মাওলানা আনোয়ার হোসাইন খান, হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমদ, জেলা জামায়াতের নেতা ও সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মাওলানা লোকমান আহমদ, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ফয়জুল্লাহ বাহার, সিলেট মহানগর শিবিরের সভাপতি শরীফ মাহমুদ, শাবি শিবিরের সভাপতি তারেক মনোয়ার,সিলেট পূর্ব জেলা শিবিরের সভাপতি মারুফ আহমদ রাজু, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজ মাওলানা নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
চকবাজার ওয়ার্ড দক্ষিণের কর্মী সম্মেলন
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেছেন, ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন কেউই দাওয়াতের বাইরে থাকবে না। যতই বাধা আসুক আমাদের ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
গতকাল সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানার ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড দক্ষিণের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ ফিরোজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহিবুল হাসান সাকিবের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকবাজার থানা জামায়াতের আমির আহমদ খালেদুল আনোয়ার, থানা নায়েবে আমির আব্দুল হান্নান, সেক্রেটারি সাদুর রশিদ চৌধুরী, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এমারতের আমির শহিদুল্লাহ, সেক্রেটারি এরশাদুল ইসলাম, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম ও খালেদ জামাল, জামায়াত নেতা মাওলানা আহমদ হোসাইন প্রমুখ। এতে দারসুল কুরআন পেশ করেন চট্টগ্রাম কলেজ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আবু তৈয়ব।
‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ‘মহান বিজয় দিবস’ পালনের আহ্বান : যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে এ দু’টি দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেসব শহীদ বুদ্ধিজীবী ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং মহান আল্লাহর কাছে তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। যারা দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে মুক্ত করেছেন আমি সেসব মুক্তিযোদ্ধাদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। সেই সাথে জুলাই-আগস্টের গণ-অভুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। নিহতদের পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
এ সময় তিনি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আলোচনা সভা, র্যালি ও দোয়ার মাধ্যমে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন করার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সব শাখা ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং দেশবাসীর সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
ঢাকা মহানগরী উত্তর : আগামী ২০ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানা দক্ষিণের কর্মী সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল বাদ জুমা কাওরান বাজার আম্বরশাহ জামে মসজিদের সামনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাওরান বাজার শাখার উদ্যোগে একটি সমাবেশ তেজগাঁও থানা দক্ষিণের নায়েবে আমির এস এম মনির আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য, প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য, এবং তেজগাঁও থানা দক্ষিণের আমির ইঞ্জিনিয়ার চৌধুরী নোমান আহমদী। সমাবেশ শেষে সম্মেলন স্বাগত মিছিল কাওরান বাজার আম্বরশাহ মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাওরান বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক দিয়ে জনতা টাওয়ারের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও থানা দক্ষিণের সেক্রেটারি ফরিদ আহমদ রুবেল, কর্মপরিষদ সদস্য ও তরবিয়ত সম্পাদক মো: আব্দুল হক, কর্মপরিষদ সদস্য অর্থ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, কর্মপরিষদ সদস্য ও অফিস সম্পাদক ডা: সৈয়দ তৌফিকুল হাসান, কর্মপরিষদ সদস্য রেলওয়ে কলোনি ওয়ার্ডের সভাপতি মো: আলী আকবর হোসাইন ও কর্মপরিষদ সদস্য বসুন্ধরা ওয়ার্ডের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা