১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১১ রজব ১৪৪৬
`

স্বর্ণের দোকানে ওঁৎ পেতে থাকা ওরা ভয়ঙ্কর ডাকাত

-

পারিবারিক বা ব্যবসায়িক কারণে অনেকে স্বর্ণালঙ্কার দোকানে গিয়ে স্বর্ণ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে আসেন। যে দোকানে স্বর্ণ বিক্রি করে সেখানেই ছদ্মবেশী ভয়ঙ্কর ডাকাতরা ওঁত পেতে থাকে। ডাকাতদের তথ্যের ভিত্তিতেই সুযোগ বুঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে বাসে বা প্রাইভেটকারে ওঠে অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ প্রদর্শন করে লুটে নেয় লাখ লাখ টাকা। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে গত ৪ ডিসেম্বর দিন-দুপুরে। ওইদিন ডেমরার মাতুয়াইলের ট্রাসমি কোম্পানি লিমিটেডের ডিএমডি সাইফুল ইসলাম তাঁতিবাজারের রামের গদি নামে স্বর্ণালঙ্কারের দোকান থেকে নগদ ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা একটি স্কুলব্যাগের ভিতরে নিয়ে বাড্ডার বাসায় যাওয়ার জন্য বংশাল চৌরাস্তা থেকে প্রচেষ্টা বাসে ওঠেন। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় বাসটি রমনার কাকরাইল মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে পড়লে হঠাৎ ১০-১২ জন লোক ওই বাসে ওঠে নিজেদেরকে র‌্যাবের সদস্য পরিচয় দেয়। তাদের মধ্যে একজন ‘র‌্যাব’ লেখা জ্যাকেট পরে ছিল এবং তার কাছে হ্যান্ডকাফ ও ওয়্যারলেস সেট ছিল। তারা যাত্রীদের বলে, এ গাড়িতে মামলার আসামি রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ভিকটিম সাইফুল ইসলামকে দেখিয়ে দিলে, অন্যরা তাকে ধরে জোরপূর্বক টানাহ্যাঁচড়া করে বাস থেকে নামিয়ে তাদের ব্যবহৃত একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে ওঠায়। মাইক্রোবাসের মধ্যে তারা ভিকটিম মো: সাইফুল ইসলামের দুই হাত পেছনে নিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং ধারাল ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এমনকি প্যান্টের বেল্টসহ সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে দুই হাত ও চোখ বেঁধে ডেমরা এলাকার রাস্তায় ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় গত ১১ ডিসেম্বর মো: সাইফুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির রমনা মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা রুজু হয়। ওই মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয় এবং চালক মো: কবির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কবিরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বংশাল থেকে সাজ্জাদ, শরিফ, মনির, হাবিবুরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও আটটি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রমনা মডেল থানার বরাত দিয়ে ডিসি বলেন, সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। তারা ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বাহিনীর সদস্যের মতো চেইন অব কমান্ড মেনে ডাকাতি করে থাকে। এ ক্ষেত্রে তারা নেতৃত্ব স্থানীয় সদস্যদের ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করে এবং সে অনুযায়ী ডাকাতির পর ভাগের টাকা নির্ধারণ করে। তাদের এ দলের মোট সদস্যসংখ্যা ১০-১২ জন। যারা একেকটি ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন ধাপে কাজ করে থাকে। গতকাল তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
লেবার পার্টির সাথে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক ভারত কেন এখন আফগান তালেবানের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চায়? তামাবিল মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় নারী নিহত বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জামায়াতের পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করা হবে : উপদেষ্টা ট্রেবলজয়ীদের গোলবন্যায় ভাসল সালফোর্ড সিটি ‘আওয়ামী লীগের সময় খেলাধুলা ছিল রাজনৈতিক চক্রে আবদ্ধ’ প্লট জালিয়াতি : হাসিনা-রেহানা-পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা গাজার পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল : মালালা সামরিক বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরো ৬০ দিন মণিপুরে আসাম রাইফেলসের ক্যাম্পে উত্তেজিত জনতার হামলা

সকল