ঢাকা মুক্ত হওয়ার পথে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
ঢাকা মুক্ত হওয়ার একেবারে দ্বারপ্রান্তে চলে আসে। সম্মিলিত বাহিনী ঢুকে পড়ে ঢাকার ভেতরে। ১১ নম্বর সেক্টরের মুক্তিবাহিনী চলে আসে ঢাকার উপকণ্ঠে। এতে ঢাকায় আটকে পড়া পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ১৯৭১ সালের এই দিনে আত্মসমর্পণের বিষয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি তার সহকর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। এ দিকে ঢাকা ছাড়া গোটা দেশ মূলত মুক্ত হয়ে যায়। ঢাকার চার দিক থেকে ঘিরে রাখে মিত্রবাহিনী। খুলনা, বগুড়া ও চট্টগ্রামে পাকিস্তানি অধিনায়করা শেষ লড়াই চালিয়ে যায়। এ অবস্থায় বিভিন্ন অঞ্চলে দলে দলে পাকিস্তানি সৈন্যরা আত্মসমর্পণ শুরু করে। কুমিল্লার ময়নামতিতেই এক হাজার ১১৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে। বিভিন্ন এলাকা পাকিস্তানি সৈন্যদের দখলমুক্ত হওয়ায় রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে অবরুদ্ধ জনতা। যারা বাড়িঘর ছেড়ে দূর-দূরান্তে আশ্রয় নিয়েছিল তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করে। চার দিকে চলে বিজয় উৎসবের প্রস্তুতি। এক দিকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মুক্ত পরিবেশে নিঃশ্বাসের অনুপম স্বাদ অনুভব করতে থাকে মানুষ। অন্য দিকে শূন্য ভিটায় ফিরে স্বজন হারানোর বেদনা আর অশ্রুতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠতে থাকে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী দুই দিন বিরতি দিয়ে এ দিন আবার ঢাকায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে। এ ঘটনায় কুর্মিটোলা বিমানবন্দর ও বঙ্গভবন (তৎকালীন গভর্নর হাউজ) মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা