১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
মিয়ানমারে সঙ্ঘাত

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

-

মিয়ানমারে সঙ্ঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট ও মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাইকিং করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তবে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া থেকে সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ দিকে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের অভিযোগ- টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের কারণে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসঙ্কটে পড়েছেন তারা।
দ্বীপবাসীর দাবি- এ সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে অবস্থা খুব সঙ্কটাপন্ন হবে। আর বিকল্প পথে যাত্রী ও পণ্য পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ঢাকা পোস্ট
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের বোট মালিক সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, মিয়ানমারে সঙ্ঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখতে নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এখন পর্যটন মৌসুম। সেখানে সরকার নির্ধারিত দুই হাজার পর্যটক যায়। তার মধ্যে দ্বীপের ১০ হাজার বাসিন্দা। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় বাসিন্দাদের খাদ্য ও নিত্যপণ্য আসে টেকনাফ থেকে। আর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌরুট। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিদিনই দ্বীপের বাসিন্দারা আসা-যাওয়া করে ট্রলারে। একই সাথে খাদ্যপণ্য পরিবহনেও ব্যবহৃত হয় ট্রলার। এটি দ্রুত সমাধান না করলে দ্বীপে দ্রুত খাদ্যসঙ্কট দেখা দেবে।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বিকল্প পথে খাদ্যপণ্য পরিবহনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম জিহাদী বলেন, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বসবাস করে ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা। তার মধ্যে প্রতিদিন দুই হাজার পর্যটক আসে। সব খাদ্যপণ্য টেকনাফ থেকে আসে। মিয়ানমারে সঙ্ঘাতের কারণে টেকনাফ থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এটি সমাধান করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চাই আমরা।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সঙ্ঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল থেকে মাছ শিকারের ট্রলার, পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রলার টেকনাফে যায়নি এবং আসেওনি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এতে এই পারের ঝুঁকি বেড়েছে। যার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিকল্প পথে খাদ্যপণ্য নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement