১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এস আলম থেকে কেনা হচ্ছে ১৯৬ কোটি টাকার সয়াবিন ও পামওয়েল

-


স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল এবং ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পামওয়েল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য ব্যয় হবে ১৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা দিয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে।
অন্য দিকে সিঙ্গাপুর থেকে ৭০৮ কোটি টাকায় এক কার্গোএলএনজি ও তিন দেশ থেকে ৬৬১ কোটি টাকার সার কেনারও অনুমতি দেয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। পরে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বাজারে আলু ছাড়া অন্য সব পণ্যের দাম সহনীয় রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো কেনা প্রয়োজন সেগুলো অনুমোদন দিয়ে থাকি। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার, এলএনজি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার পরিশোধিত লুজ সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতিলিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৪০ টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরেক প্রস্তাবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার লুজ পামওয়েল কেনার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার পামওয়েলের দাম ধরা হয়েছে ১৩০ টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি টাকা। এই তেলও টিসিবির জন্য কেনা হবে।
এ ছাড়া টিসিবির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার আরেকটি প্রস্তাব করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি সেটাও অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৫ টাকা ৯৭ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে এই মসুর ডাল কেনা হবে।

দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অত্যাবশ্যকীয় জিনিস বা জরুরি জিনিস দ্রুত অনুমোদন দিতে আমরা ঘন ঘন ক্রয় কমিটির মিটিং করি। আর এটাই প্রমাণ করে সরকার মোটামুটি কর্মব্যস্ত। তিনি বলেন, বাজারে আলুর দাম বাড়লেও, অন্য জিনিস সাশ্রয়ী হয়েছে। প্রত্যেকটার দাম কমানো সম্ভব না। বাজার এমন একটা জিনিস একটার দাম কমবে, একটার বাড়বে।
সালেহউদ্দিন বলেন, অনেকের মধ্যে একটি মিস কনসেপশন (ভুল ধারণা) আছে, সেটা গতকাল বাণিজ্য উপদেষ্টা ক্লিয়ার করেছেন, প্রতি টনে সয়াবিন তেলের কত দাম বেড়েছে, ৩০-৪০ বছরে এত দাম বাড়েনি। যা হোক আন্তর্জাতিক বাজার তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।
আপনারা যেভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তার প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না। একজন সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করলে তার উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্রভাব যে একেবারে নেই তা নয়। আপনারা খালি দেখেন আলুর দাম বেড়েছে, অন্যগুলো যে সাশ্রয়ী হয়েছে। আপনি বাজারে এক হাজার টাকা নিয়ে যান কোনটার দাম বেশি হবে, কোনটা কম হবে। প্রত্যেকটার দাম কমানো ডিফিকাল্ট। আজকে আমি বাজার করলাম, কালকে সকালে দেখব একটার দাম কমেছে, একটার দাম বেড়েছে। যেটি কমে সেটি তো বলা হয় না, শুধু বৃদ্ধিটা বলা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement