২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মৃত্যুদণ্ড থেকে বাবরের খালাস চেয়েছেন আইনজীবী

-


বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী শিশির মনির। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিতে বাবরের আইনজীবী শিশির মনির এ আবেদন করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসিফ ইমরান জিসান। অন্য পাঁচ আসামির পক্ষে শুনানিতে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

এর আগে ৬ নভেম্বর এ শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ প্রয়োজনীয় নথি উপস্থাপনের পর যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তি তর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। আইনজীবী শিশির মনির বলেন, লুৎফুজ্জামান বাবর মূলত এ মামলার আসামি ছিলেন না।
২৮টি সাক্ষী হয়ে যাওয়ার পরে আবার তদন্তের জন্য একটি নির্দেশনা দেয়া হয়। ফের তদন্ত করা হয়। ওই তদন্তের মাধ্যমে বাবরসহ ১১ জনকে নতুন করে আসামি করা হয়। পরে ৫৩ জনের সাক্ষী নিয়ে বাবরকে নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়।
আমরা বলেছি, এভাবে মামলা চলা অবস্থায় ২৮ সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়ে যাওয়ার পর যে তদন্তের আদেশ দেয়া হয়েছে, তা আইনানুযায়ী হয়নি, বেআইনিভাবে করা হয়েছে। তার নামে কোনো সরাসরি এভিডেন্স ও কোনো দেখা সাক্ষী নেই।
রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ করে শিশির মনির বলেন, তারা বলেছেন- তার (বাবর) নির্দেশে পাঁচজনকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পাঁচজনের কাউকে ছাড়া হয়নি। সবাই জেলে আছে। এ আইনজীবী বলেন, বাবরের বিরুদ্ধে তিনি তদন্ত রিপোর্টকে প্রভাবিত করেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তৎকালীন তদন্ত কমিটির সভাপতি ও সচিব বিপরীত বক্তব্য দিয়েছেন।

শিশির মনিরের মতে, যেহেতু কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ নেই, তাই অতিদ্রুত যেন এ মামলা থেকে তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ঘটনা ঘটেছে এটা সঠিক। কিন্তু প্রকৃত দোষীকে নির্ধারণ করা যায়নি। ফলে আমরা আদালতের সামনে লুৎফুজ্জামান বাবরের বেকসুর খালাস দাবি করেছি।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক সংক্রান্ত দু’টি মামলার মধ্যে চোরাচালান মামলায় (বিশেষ ক্ষমতা আইনে) সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের আদালত।
অস্ত্র আইনে দায়ের করা অন্য মামলাটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন একই আসামিরা। এছাড়া অস্ত্র আটক মামলার অপর ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দেন বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্য ১১ জন হলেন, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক (নিরাপত্তা) অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এনএসআইয়ের সাবেক উপপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, এনএসআইয়ের সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন তালুকদার, সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিন, চোরাচালানি হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান, অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ ও ট্রলার মালিক হাজী আবদুস সোবহান।


আরো সংবাদ



premium cement
আ’লীগ নেতাদের নিয়ে ’জাগোনারীর’ সমাবেশ, আমন্ত্রণে নেই বিএনপি-জামায়াত জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হলেন সরওয়ার আলম প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক পরিচালকের বিদায়ী সাক্ষাৎ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির অভিযানে ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার স্বামীসহ সাবেক এমপি হেনরীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সিলেটে ৫ হাজার কোটি টাকার দুই ‘মেগা’ প্রকল্প বাতিল পৌনে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ট্রেন যাবে খুলনায়, কাল উদ্বোধন দেশে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র এখনো চলছে : বিএনপি মহাসচিব চৌদ্দগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নাজেহাল করার ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা

সকল