মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত অধ্যায়ে রূপ নেয়
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৯
পাকিস্তান ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা শুরু করে। এরপরই ভারত ও বাংলাদেশ মিলে যৌথভাবে পাল্টা বিমান হামলা পরিচালনা করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ফলে মুক্তিযুদ্ধ সর্বাত্মক রূপ লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত অধ্যায়ের দিকে প্রবেশ করে ১৯৭১ সালের আজকের দিন থেকে।
১৯৭১ সালের আজকের দিনে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতের আগরতলা, অমৃতসর, পাঠানকোট, শ্রীনগর, অবন্তিপুর, উত্তরলাই, যোধপুর, আম্বালা এবং আগ্রা বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। বিকেলে কলকাতা প্যারেড গ্রাউন্ডে এক জনসভায় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভাষণ দানকালে বিমান হামলার খবর পান। দিল্লি ফিরে তিনি রাতে আকাশবাণীর দিল্লি বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এতে তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের যুদ্ধ ভারতের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে’।
ভাষণের আগে রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করেন। ভারতীয় পূর্বাঞ্চল কমান্ডের লে. জে. জগজিৎ সিং অরোরার অধিনায়কত্বে ঘোষিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যুক্ত কমান্ড। ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী মিত্রবাহিনী নাম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মুক্তি বাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে। ভারতীয় বিমানবাহিনী রাতেই বাংলাদেশের সব মুক্ত এলাকায় পৌঁছে যায়। সব রুট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর অবিরাম বিমান হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের সব বিমানঘাঁটি অচল করে দেয়। কুর্মিটোলা এয়ারপোর্টে ৫০ টন বোমা ফেলা হয়। পাকিস্তানের এক ডজনের বেশি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্ত হওয়া ভারতীয় বিমান হামলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত অধ্যায়। তবে প্রথমে আক্রমণ সূচনা করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। রাত সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল এবং চট্টগ্রামের দুটি ফুয়েল পাম্প ধ্বংস করা হয়। এরপর ভারত-বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আক্রমণ চলে চাঁদপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার এলাকায়।
যুদ্ধের এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি ১৯৫৯ সালের পাক-মার্কিন চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা