এস আলম গ্রুপের কোম্পানির বিরুদ্ধে জনতা ব্যাংকের মামলা
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬
এস আলম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের বিরুদ্ধে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলা দায়ের করেছে জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রামস্থ সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখা। ব্যাংকের পক্ষে অ্যাডভোকেট ড. মো: শফিকুল ইসলাম চৌধুরী গতকাল অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামে মামলাটি রুজু করেন। বিচারক মুজাহিদুর রহমানের আদালতে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত সাইফুল আলমের মালিকানায় থাকায় এফএসআইবির শেয়ার এবং আব্দুস সামাদ লাবুর মালিকানায় থাকা এআইবির শেয়ারগুলো ক্রোকাবদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদি পক্ষের প্রধান কৌশলী।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে দুই হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির মামলা দায়ের করেছে জনতা ব্যাংক। মামলার আবেদন আদালত গ্রহণ করেছেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, মামলায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলে ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর ২০২১ সালের এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা না মেনে ঋণসীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে। ২০১২ সালে সাধারণ বীমা ভবনে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম করপোরেট শাখা থেকে প্রাথমিকভাবে ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয় গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন।
এ ঋণ ২০২১ সাল পর্যন্ত সুদ-আসলে মোট এক হাজার ৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৬১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা পিএডি (পেমেন্ট এগেইনস্ট ডকুমেন্ট), ২২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা এলটিআর (লোন ট্রাস্ট রিসিপ্ট) ঋণ এবং ২২৯ কোটি ৯৯ কোটি টাকা সিসি হাইপো ঋণ। সুদ-আসল মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এস আলম গ্রুপের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন শিল্প কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য এবং নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসায় জড়িত ছিল। এর আগে, গত ২০ নভেম্বর জনতা ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়ে এস আলম গ্রুপের এক হাজার ৮৬০ শতাংশ জমি নিলামে তোলে। জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রামের সাধারণ বীমা ভবন করপোরেট শাখা থেকে এই ঋণ নেয়ার ফলে শাখাটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিলাম ডাকে। আপাতত গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের ঋণ আদায়ে নিলাম ডাকা হলেও ধীরে ধীরে বাকি ঋণের জন্য অন্য বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে তোলা হবে বলে জানা গেছে।
নিলামে তোলা সম্পদগুলো চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, কোতোয়ালি, চান্দগাঁও ও বাকলিয়া উপজেলায় এবং গাজীপুরে। এসব জমির বাজারমূল্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার মতো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা