যারা দেশকে ভালোবাসে তারা কখনো পালায় না
সাতক্ষীরায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে ডা: শফিকুর রহমান- সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
- ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৯
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা দেশকে ভালোবাসে তারা কখনো দেশ থেকে পালায় না। আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি বলেই গত ১৫ বছরের চরম নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করে, শত শত নেতাকর্মীকে হারিয়েও বাংলার মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকেছি। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে কারো কোনো কিছু দাবি করা লাগবে না। মন্দির, মসজিদ, মঠ, গীর্জা পাহারা দেয়া লাগবে না। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে একটি সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করা হবে, সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বিগত ফ্যাসিবাদের আমলের গুম, খুন নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, জামায়াতের নেতাদের প্রহসনের বিচার করে অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন মেধাবী দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাংলার জনগণ এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আগামীর বাংলাদেশকে যুবকদের হাতে তুলে দিতে চাই। তারাই দেশের অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করলে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করবে। নারীরা রাসুলের সময় থেকে পুরুষদের পাশে থেকে কাজ করেছেন, যুদ্ধ করেছেন। তাদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে বেকার থাকবে না। শিক্ষিত দুর্নীতিবাজ তৈরি হবে না। সার্টিফিকেটসর্বস্ব শিক্ষাব্যবস্থা না করে কর্মবান্ধব শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ৩টায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা জামায়াতের সভাপতি উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে এবং জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জতউল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য সাবেক জেলা আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খলিলুর রহমান মাদানী, অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ, প্রভাষক ওমর ফারুক প্রমুখ।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর জামায়াতে ইসলামীর রাজধানী নামে খ্যাত সাতক্ষীরার কর্মী সমাবেশ বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কর্মী সমাবেশ উপলক্ষে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ দুপুরের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল শহরের সব রাস্তায় মানুষের ভিড়ে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে।
কর্মী সম্মেলনে ডা: শফিকুর রহমান আরো বলেন, কয়েক হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। তারপরও ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা এখনো মাঝেমধ্যে ‘হুতুমপ্যাচা’ হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তাদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আগামীর যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যেন বাংলার মাটিতে আবার কোনো স্বৈরাচার দাঁত বসাতে না পারে।
তিনি বলেন, জামায়াতের ওপর বিগত সময়ে যে নির্যাতন হয়েছে তাতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাতক্ষীরার জনগণ। এর আগে সকালে তিনি শহরের পল্লী মঙ্গল হাইস্কুল মাঠে সাতক্ষীরা জামায়াতের এক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। রাতে সার্কিট হাউজে সুশীল সমাজের নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা ও নৈশভোজে মিলিত হন তিনি।
কলকাতায় বাংলাদেশী পতাকা পোড়ানোর প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক জানায়, ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে ভারতীয়দের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভারতের ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ’ নামক উগ্রবাদী সংগঠনের এ ঘটনা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিক্ষত ও দুঃখজনক।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ’ নামক একটি উগ্রবাদী সংগঠনের বাংলাদেশের জাতীয় পাতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। এ ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিনষ্ট করার এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ বলেই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ অবস্থায় কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন যথাযথ নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। ভারত সরকারের উচিত ভবিষ্যতে এ ধরনের অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা বিধান করা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল কথা হলো ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়।’ বাংলাদেশ সহাবস্থানের নীতিতে বিশ্বাসী একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। বাংলাদেশও বিশ্বের সব দেশের কাছে একই নীতি আশা করে।
ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের এবং ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কূটনীতিক ও অকূটনীতিক কর্মীদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মোহাম্মদপুরে জামায়াতের সুধী সমাবেশ : জামায়াত দেশকে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে অপশাসন-দুঃশাসন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি মিলনায়তনে মোহাম্মদপুর মধ্য থানা জামায়াতের ৩১ নং ওয়ার্ডের পেশাজীবী ইউনিট আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইউনিট সভাপতি সাইয়েদুল বাশার মোতালেবের সভাপতিত্বে ও অফিস সম্পাদক সেলিম সরদারের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, মোহাম্মদপুর মধ্য থানার আমির মশিউর রহমান, সেক্রেটারি ইমরান আলী প্রমুখ।
শ্রমিক কল্যাণের অনুষ্ঠানে মিয়া গোলাম পরওয়ার
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি ও আমাদের সাংগঠনিক দিক থেকে আগামী দুটো বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে আমরা আশাবাদী। আর এই নির্বাচনে ভালো করতে হলে এখন থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানের এই সম্ভাবনাময় সময়ে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, গুছিয়ে নেয়া, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা এবং নেতৃত্ব তৈরির কাজে লাগাতে হবে। বিপুলসংখ্যক শ্রমিক-জনতাকে বাদ দিয়ে রাজনৈতিক শক্তি অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই শ্রমিক-জনতাকে রাজনীতিসচেতন করে দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৬১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ গঠন ও কমিটির প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এসব কথা বলেন।
কার্যকরী পরিষদের শপথ অনুষ্ঠান ও প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগরীর নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক লস্কর মুহাম্মদ তসলিম, মহানগরীর উপদেষ্টা নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ নূরুল আমীন ও অধ্যক্ষ খায়রুল বাশার।
রাঙ্গামাটিতে বিশাল কর্মিসমাবেশ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানান, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মো: শাহজাহান বলেছেন, জামায়াত ইসলামীকে স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন বলে নিষিদ্ধ করতে গিয়ে ফ্যাসিবাদের দোসর, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা নিজেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন। শেখ হসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। তিনি বলেন, ১৭ বছর জামায়াত-শিবিরের ওপর নির্যাতন চালানোর পরও আমরা কেউ পালিয়ে যাইনি; কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ এক মাসও টিকতে পারেনি।
গতকাল শনিবার রাঙ্গামাটি আল আমিন ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে পৌরসভা জামায়াত আয়োজিত বিশাল কর্মিসমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১৭ বছর পর রাঙ্গামাটি শহরে পৌর জামায়াতে ইসলামীর বিশাল কর্মিসম্মেলনে হাজারো নেতাকর্মী যোগ দেন ।
সমাবেশে মাওলানা শাহজাহান, বলেন বিগত ১৫ বছর সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কারণেই আমরা খোলা মনে কথা বলতে পারিনি। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারিনি। রাজনৈতিকভাবে আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করা হয়েছে। অফিসগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হাজার হাজর নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জেলে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে খুন-গুমের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে যে সফল বিল্পব সাধন হয়েছে তা সমুন্নত রাখতে হবে। আগামী নির্বাচনে সৎ, যোগ্য এবং তাকওয়াবান নেতৃত্ব তৈরি করে জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচিত করতে দলের নেতাকর্মীদের কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
তিনি আগামীর বৈষম্যহীন, শোষণহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও কল্যাণকর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলার মানুষ আগামীতে জামায়াতকে ক্ষমতায় আনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির ও সাতকানিয়া লোহাগাড়া থেকে বারবার নির্বাচিত সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী।
রাঙ্গামাটি পৌর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিশাল কর্মিসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- রাঙ্গামাটি জেলা আমির অধ্যাপক মো: আব্দুল আলীম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মো: জাহাঙ্গীর আলম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মনছুরুল হক, রাঙ্গামাটি ইসলামিক সেন্টারের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ, রাঙ্গামাটি জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, আল আমিন ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল আলম ছিদ্দিকী, এলডিপির জেলা সভাপতি দিবাকর দেওয়ান, রাঙ্গামাটি জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: হারুনুর রশিদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, কাপ্তাই উপজেলা আমির, মো: হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা