লোকসভা কমিটিতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি আলোচনা হবে
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৭
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১১ ডিসেম্বর বৈঠক ডেকেছে ভারতের লোকসভার পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি। বর্তমানে এ কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেসের দলীয় আইনপ্রণেতা শশী থারুর।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বেশি কথা বলা ঠিক হবে না; যা ঘটছে তা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। একটি সার্বভৌম দেশ নিয়ে যা খুশি বলা যায় না। আমরা উদ্বেগ জানাচ্ছি, কথা বলছি। যদি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু বলার থাকে, তাহলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে এসে বললে ভালো হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নিজ দেশে সব সংখ্যালঘুর গণতান্ত্রিক অধিকার থাকা উচিত। এএনআই জানিয়েছে, বহিষ্কৃত ইসকন নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের ঘটনায় ভারতে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির অনেকে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। ভারতের লোকসভায় পরপর দুই দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লোকসভায় কয়েকজন সংসদ সদস্য জানতে চান, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েছে কি না। ভারত সরকার এ বিষয়টি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উত্থাপন করেছে কি না।
এসব প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে হিন্দু মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা শোনা গেছে। ভারত সরকার এ ব্যাপারে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তাঁতীবাজারে পূজামণ্ডপে হামলা, সাতক্ষীরার কালীমন্দির থেকে দুর্গাপূজার সময় স্বর্ণের মুকুট চুরির ঘটনা। তিনি বলেন, ভারত সরকার হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর প্রার্থনাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া সংখ্যালঘুসহ দেশটির সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
পরদিন লোকসভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতির ওপর ভারত গভীরভাবে নজর রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেশটির সরকারের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা