২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নোয়াবের অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ

নৈরাজ্য সৃষ্টি জাতিকে বিপর্যয়ে ঠেলে দেবে

নোয়াবের মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা : নয়া দিগন্ত -

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের লড়াই বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা যেকোনো মূল্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানুষের স্বাধীনতা, ভোটের স্বাধীনতা, জনগণের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব। আজকে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরও, মিডিয়ার ওপর আক্রমণের বিষয় নিয়ে আমাদের কথা বলতে হচ্ছে। আমি গত পরশুও বলেছি, তার আগে স্টেটমেন্ট দিয়েছি, এটাকে আমরা নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘আক্রমণের মুখে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান : রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে মতবিনিময়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাজনৈতিক নেতারা। অনুষ্ঠান আয়োজন করে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নোয়াব।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আমার অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চাই। এই বিষয়গুলো কিন্তু অত্যন্ত জরুরি বিষয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজ কিছু মানুষ জাতিকে বিভ্রান্তের চেষ্টা করছে। পুরোপুরি নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে বন্ধ করা দরকার। না হলে যে লক্ষ্য নিয়ে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে, মানুষজন প্রাণ দিয়েছে; এর সবটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে।

সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকে একটি গোষ্ঠীর হুমকি দেয়ার নিন্দা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। একই সাথে গণমাধ্যমের কাছে বৈষম্যহীন আচরণের প্রত্যাশা করেছেন রাজনৈতিক নেতারা।
অনুষ্ঠানে নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে যখন সংবাদপত্রগুলো চাপমুক্ত পরিবেশে কাজ করার কথা তখন কোনো কোনো সংবাদপত্রের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা ও হুমকি অব্যাহত রয়েছে। বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, সংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে অবশ্যই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন জামায়াত নেতা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, যেখানে গণমাধ্যম আক্রমণ শিকার হবে সেখানে ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, যেটা মানুষের মৌলিক ও বাক স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত তার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না। আইনি দিক থেকে সংবাদমাধ্যম সরকারি কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান না হলেও বৃহত্তর অংশে এটা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা অভিযোগ করেন, সংবাদ মাধ্যমে তাদের নিউজকে কম গুরুত্ব দেয়া হয়। তাদের বড় বড় সমাবেশের নিউজ পত্রিকায় ছাপা হয় না। আবার হলেও অনেক ক্ষেত্রে ভেতরের পাতায় ছোট করে হয়। তাই এ ক্ষেত্রে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর প্রতি বৈষম্যহীন আচরণ করার আহ্বান জানান তারা।


আরো সংবাদ



premium cement