২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘ভারতে থাকো, হিন্দি জানো না! তুমি কি বাংলাদেশী?’

-

ভারতের কলকাতা মেট্রোয় বাংলা ভাষা নিয়ে বিতর্ক। হিন্দিভাষী এক মেয়ে বাংলাভাষী এক মহিলাকে ‘বাংলাদেশী’ বলে তিরস্কার করার ঘটনার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আনন্দবাজার, আজতাক বাংলা, জি নিউজসহ বিভিন্ন ভারতীয় মিডিয়ায় এই ঘটনা ফলাও করে প্রচার পাচ্ছে।
বাংলাভাষী ওই তরুণী জানান, ঘটনাটি ঘটে ১৮ নভেম্বর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড স্টেশনে। এই ঝামেলার কারণে তিনি ও অন্য মেয়েটি সেখানে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে ছিলেন। শক্তিরুপা সাধুখান নামের ওই তরুণীর অভিযোগ, আমি হিন্দি বা কোনো ভাষাকে অপমান করিনি। কিন্তু আমি বাংলায় কথা বলি বলে পশ্চিমবঙ্গে আমাকে বাংলাদেশী বলা হলো! মেট্রো, আরপিএফ সবই কভার করে। তারা আমাকে বাংলাদেশী বলার জন্য লিখিত অভিযোগ করতে দেয়নি। ভারতের ভাষাগত বৈচিত্র্য সম্পর্কে হিন্দিভাষী মেয়েটির কোনো ধারণা নেই। তাদের ব্যবহারে ভারতের ঐক্য দুর্বল হয়েছে।’
কলকাতা মেট্রো স্টেশনে ওই হিন্দিভাষী মেয়ে তীর্যকভাবে হিন্দি ও ইংরেজিতে খোঁচা দিয়ে বাংলায় কথা বলার জন্যে শক্তিরুপা সাধুখানকে বলেন, ‘এটা বাংলাদেশ নয়, ভারত। আর ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ। হিন্দি ভারতের ভাষা! ভারতে থাকেন, হিন্দি জানেন না! আপনি কি বাংলাদেশী?’
জবাবে শক্তিরুপা সাধুখান উত্তরে বলেন, ‘আমি বাঙালি, আমি ভারতীয়!’ এটা আমার মাটির ভাষা।’ এরপর হিন্দিভাষী মেয়েটি বাংলায় কথা বলছে বলে হুমকি দেয়, ‘আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করব (আই উইল সু অ হার)।’ এ দৃশ্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এক লাখেরও বেশি মানুষ এটি দেখেছে। ভিডিওটি এখন অনেকের ফোনে ঘুরছে।

কলকাতার মেট্রো আরপিএফ দাবি করেছে যে, হিন্দিভাষী মেয়েটি শক্তিরুপাকে ‘বাংলাদেশী’ বলার জন্য ক্ষমা চেয়েছে। কথোপকথনের সময় একটি ভিডিও তৈরি করছিলেন শক্তিরুপা। তবে সেই ভিডিও মুছে ফেলার জন্য তাকে চাপ দেয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাত্রী শক্তিরুপা বলেন, ‘আমার চাকরি ও পড়াশোনা হারানোর হুমকির কারণে আমি ভিডিওটি মুছে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলাম। এ ছাড়া আমাকে লিখতে হয়েছে যে, আমি কোনো ব্যবস্থা নেব না!’ তবে ঘটনার ভিডিও কোনোভাবে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং তোলপাড় শুরু হয়। ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিল অনুসারে, হিন্দি ও বাংলাসহ ২২টি স্বীকৃত ভাষার সমান মর্যাদা রয়েছে। এশিয়া নেট নিউজ বলছে, ভারতের জাতীয় ভাষা হিন্দি- এ কথাটাই সম্পূর্ণ ভুল। ভারতের অফিসিয়াল ভাষা ইংরেজি ও হিন্দি। তাই ভারতে থাকলে হিন্দি জানতেই হবে এ কথা আপনাকে যে বলবে তাকে জানান। আর শুধু হিন্দি নয়, ভারতে এমন আরো ভাষা আছে যেগুলো আপনি নিজের জন্য শিখতে পারেন, তবে এর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বা আপনাকে নিজের মাতৃভাষার বাইরে অন্য ভাষা শিখতেই হবে ভারতে এমনও কোনো বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই। তবে কোনো ভাষাকে অপমান করার বিরুদ্ধে আপনি আইনি ব্যবস্থা নিতেই পারেন। বাঙালি হলে জোর গলায় বাংলা বলুন। নিজের মাতৃভাষাকে আগে নিজে সম্মান দিন।


আরো সংবাদ



premium cement
আইনজীবী হত্যায় উত্তাল চট্টগ্রাম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : ড. ইউনূস বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথিরের আহ্বান ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর তিন মাস পার হলেই সব ঋণ খেলাপি মিয়ানমারের জেনারেল মিন অংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইলেন আইসিসির প্রসিকিউটর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া কিছু মানুষ জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন : ফখরুল আইনজীবীর হত্যাকারী ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক’ শুভ কান্তি দাস কে? এশিয়া ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড পেল অধিকার চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি দেয়া অনধিকার চর্চা : উপদেষ্টা নাহিদ

সকল