২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা

চট্টগ্রাম কোর্ট এলাকায় চিন্ময় অনুসারীদের তাণ্ডব
আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা -


বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সঙ্ঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে হামলা চালায় তার কয়েক শ’ অনুসারী। এ সময় বিক্ষোভকারীদের নৃশংস হামলায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। তার শরীরে কোপানোর চিহ্ন, মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যে কোনোভাবে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলার চেষ্টা করছে।
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আদালত থেকে বাসায় ফেরার পথে সড়কে আইনজীবী সাইফুলের ওপর হামলা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার দাবি, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই আইনজীবীকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে। এ সময় আরো ২০ জন আইনজীবী আহত হয়েছেন।

৩৫ বছর বয়সী সাইফুল চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন বলে জানান তিনি। নিহত ওই আইনজীবী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
চিন্ময় কৃষ্ণকে আদালতে হাজির করা নিয়ে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়। গতকাল সকাল থেকে আদালত পাড়ায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এসময় আদালতে ঢুকতে কড়াকড়ি আরোপ করা হলে সনাতনী সম্প্রদায়ের আড়ালে আদালত ও আশপাশ এলাকায় পরিকল্পিতভাবে জড়ো হয় পতিত আওয়ামী ক্যাডাররা। আদালত চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন না মঞ্জুর করার সাথে সাথে তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং সেখানে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় নির্বিচারে। মসজিদে হামলা করা হয় এবং নিরীহ মুসল্লিদের আহত করা হয়। সাম্প্রদায়িক উসকানি দিতে মুসলমানদের উদ্দেশ করে গালিগালাজ এবং হামলার জন্য টার্গেট করা হয়। পাশাপাশি তারা প্রিজনভ্যান আটকে চিন্ময় কৃষ্ণকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা ‘জয় শ্রীরাম’, ‘দালালের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘জেলের তালা ভাঙব, চিন্ময় প্রভুকে আনবো’, ‘কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের পরিকল্পিত উসকানিমূলক তৎপরতার মাঝেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল একেবারেই শান্ত। তাদের বুঝিয়ে সরে যেতে বলে। কিন্তু কোনো কিছুতেই যেন কাজ হ্িচ্ছল না। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মৃদু লাঠিপেটা করে এবং গ্যাস গান ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত ভবনের প্রবেশমুখে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে পুলিশের সাথে চিন্ময় অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় সাইফুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদিতা ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আদালত ভবন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাইফুলকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের মামলায় চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে তাকে বহন করা প্রিজনভ্যান আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। অনুসারীরা প্রিজনভ্যানের আশপাশে অবস্থান নেয়। অনেকে মাটিতে শুয়ে পড়ে।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বোঝানোর পরও সরে না দাঁড়ানোর কারণে বেলা ২টা ৫০ মিনিটের দিকে অনুসারীদের পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা শুরু করে। পরপর কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়া হয়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় অবস্থানকারীরা। এরই মধ্যে পুলিশ প্রিজনভ্যানে করে নিয়ে যেতে চাইলে সেটির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয়া হয়। পরে পুলিশের গাড়িতে করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বেলা ১১টা থেকে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন থাকলেও শুরুতে তাদের হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি।
এদিকে চিন্ময় দাসের অনুসারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত চত্বর ত্যাগ করার সময় জেলা পরিষদের সামনে দাঁড়ানো সেনাবাহিনীর জিপ, সরকারি গাড়ি, গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেলসহ অন্তত ২০টি গাড়ি এবং আদালত চত্বরের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে। অনুসারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন কোতোয়ালি থানার ওসি কাজী রফিক। পুলিশের সাথে চিন্ময় অনুসারীদের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে রঙ্গম টাওয়ার, লালদীঘি, আন্দরকিল্লা এলাকায়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকেও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় লালদীঘি, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চিন্ময় অনুসারীরা প্রিজনভ্যান আটকে রাখে। তাদের দাবি, আবার শুনানি হতে হবে। তবে আসামি পক্ষের আবেদন সাপেক্ষে আজ মহানগর দায়রা জজ আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন শুনানি হতে পারে বলে তিনি জানান।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী সনাতন ধর্মবিশ্বাসী সংগঠন আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সঙ্ঘের (ইসকন) আলোচিত সংগঠক ছিলেন। জুলাইয়ে সংগঠনটি তাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়। চিন্ময় কৃষ্ণ বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরিক ধামের অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন।

প্রসঙ্গত গত ৩১ অক্টোবর নগরীর চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন অজয় দত্ত (৩৪), লীলা রাজ দাস ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাস (৩৮), কথক দাস (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাস (৩৮), রাজীব দাস (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে (৩৮), তুষার চক্রবর্তী (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাস (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) ও হৃদয় দাস (২৫)।
মামলার এজাহারে বাদি অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনো সেখানে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন। ওই দিন চন্দন কুমার ধরসহ ৯ জন আসামির ইন্ধনে বাকি আসামিরা নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেন। এ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঢাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ আটকের পর ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

চট্টগ্রামে আইনজীবীদের আদালত বর্জন : আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার প্রতিবাদে আজ বুধবার আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে সহকর্মীর লাশ দেখার পর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আদালত থেকে যাওয়ার পথে সনাতনীরা বেপরোয়া হামলা চালায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করেছে, মসজিদের গ্লাস ভেঙেছে। তাদের হামলায় আমাদের একজন আইনজীবী নিহত হয়েছেন। তাকে ধরে নিয়ে মেথরপট্টিতে নিয়ে গিয়ে কুপিয়েছে ইসকনের সন্ত্রাসীরা। এ ঘটার প্রতিবাদে আমরা সমিতির পক্ষ থেকে জরুরি সভা ডেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি মহানগর দায়রা জজ, জেলা দায়রা জজ, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সব আদালতের কার্যক্রম আমরা সাসপেন্ড ঘোষণা করছি।
এদিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরাও বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় হাইকার্টে মাজার গেটের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান তার বক্তৃতায় বলেন, আদালত পাড়ায় চিন্ময় সমর্থক সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। দ্রুত এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি।
রাষ্ট্রপক্ষ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি আজ বুধবার আইনজীবী আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বেলা ১টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।
চিন্ময় গোস্বামীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কোটালীপাড়ায় বিক্ষোভ
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় গুরু ইসকন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য চিন্ময় গোস্বামীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গারহাট তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী শত শত নারী-পুরুষ টি টি স্কুল মাঠে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিলটি ভাঙ্গারহাট প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভাঙ্গারহাট বাজারের মাহেন্দ্র স্ট্যান্ডে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কোটালীপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীর কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।

বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ
বরিশাল ব্যুরো জানায়, ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ঢাকা গ্রেফতার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ, সড়ক অবরোধ ও মিছিল হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদর রোডে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট বরিশালের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। সমাবেশ শেষে সনাতনীরা ঘণ্টাব্যাপী সদর রোড অবরোধ করলে জনদুর্ভোগ হয়। এরপর নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সমাবেশে বক্তৃতা দেন, সনাতনী জাগরণ জোট নেতা মানস ঘড়াল, বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement