সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করার আহ্বান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩
বাংলাদেশে কর্মরত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সরকারের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরার পাশাপাশি বিদ্যমান ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বহুজাতিক কোম্পানিসমূহের আবাসিক প্রধানদের এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এক টিমের সদস্য হিসেবে আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা দেশের জন্য একটি টিম। তিনি শীর্ষ নির্বাহীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে উঠুন, যা সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত করবে। শীর্ষ নির্বাহীরা বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ী নেতারা সরকারের কাছে লাইসেন্সিং এবং করহার ও করনীতির পূর্বানুমেয়তা নিশ্চিত করা, সহজে ব্যবসা করার পরিবেশ উন্নত করা, বিডার ওয়ান-স্টপ সার্ভিস আরো কার্যকর এবং ক্রেডিট রেটিং উন্নত করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, এগুলো করা গেলে বিনিয়োগকারীরা তখন বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত হবে। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ শ্রম অধিকার সংস্কারের জন্য সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এ ক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
নির্বাহীদেরকে ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্যবসা পরিচালনায় যেসব সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করুন যাতে আমরা সেগুলোর সমাধান করতে পারি।’
বৈঠকে লুৎফে সিদ্দিকী প্রধান নির্বাহীকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মানদণ্ড হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আগে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাসের ঘাটতি ছিল। আমাদের সেটি দূর করতে হবে।’
আশিক চৌধুরী জানান, ব্যবসায় কার্যক্রম সহজ করতে বিডায় রিলেশনশিপ ম্যানেজার পদ চালু করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, তিনি এবং বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী আগামী মাসে সিঙ্গাপুরে গিয়ে রেটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো চালু করার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই ব্যবস্থা ব্যবসা পরিচালনা উল্লেখযোগ্যভাবে সহজ করে দিবে।
বৈঠকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার, শেভরন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক এম ওয়াকার, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেডের (এইচএসবিসি) সিইও মো: মাহবুব উর রহমান, মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও মুহাম্মদ আলাউদ্দিন আহমদ, এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুর রশিদ, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম এইচ এম ফাইরোজ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসির সিইও নাজিথ মিওয়ানাজ, ওরাকল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুবাবা দৌলা, মারুবেনি করপোরেশনের কান্ট্রি হেড মনাবু সুগাওয়ারা, বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, ডিএইচএল ওয়ার্ল্ডওয়াইড এক্সপ্রেস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মিয়ারুল হক এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি হেড সুমিতাভ বসু উপস্থিত ছিলেন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডা: মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চার করে : প্রধান উপদেষ্টা
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডা: মিলনের আত্মত্যাগ ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার করে।
’৯০-এর ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঘাতকদের গুলিতে তিনি শহীদ হন।
আজ ডা: শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ডা: মিলন যে দিন শহীদ হন সে দিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। কিন্তু গত দেড় দশকে দেশে নতুন এক স্বৈরাচার জেঁকে বসে। তিনি ডা: শামসুল আলম খান মিলনের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা